অনলাইন

বাংলাদেশে খাদ্য পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে: এফএও

স্টাফ রিপোর্টার

৫ অক্টোবর ২০২০, সোমবার, ৭:০১ পূর্বাহ্ন

মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশে পর্যাপ্ত চাল, গম, আলু, ডাল ও ভুট্টার মজুদ রয়েছে। বর্তমানে চালের যে মজুদ আছে তা দিয়ে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। অন্যদিকে গম, আলু, ভোজ্যতেল, ডাল, এবং ভুট্টার মজুদ দিয়ে আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব যথাক্রমে ২১শে জানুয়ারি ২০২১, ৭ই এপ্রিল ২০২১, ২১শে নভেম্বর ২০২০, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ এবং ৩০শে এপ্রিল ২০২১ সাল পর্যন্ত। ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ধান কৃষকের ঘরে উঠবে। ফলে দেশের ধান-চাল আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। আজ সোমবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)  উদ্যোগে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মহামারিকালে বাংলাদেশের খাদ্য মজুদ ও বাণিজ্য’ শীর্র্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও)-এর সহযোগিতায় এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির বিভিন্ন দিক নিয়ে আয়োজিত ৫টি ওয়েবিনার সিরিজের এটি ছিলো চতুর্থ ওয়েবিনার।   
এফএও’র মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের বাজার ও বাণিজ্য নীতি উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান কোভিড-১৯ মহামারিকালে বাংলাদেশের খাদ্য মজুদ ও বাণিজ্য বিষয়ে ওয়েবিনারে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি তার  বক্তব্যে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বুরো ধানের উৎপাদন পূর্বের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। একই সময়ে গমের উৎপাদন হয়েছে ১ দশমিক ২৪৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন, যা গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর বাইরেও ৫ দশমিক ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা দিয়ে বাংলাদেশে গমের চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।
ড. মনিরুল হাসান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে, চলতি বুরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ১১ দমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ দশমিক ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ৭ দশমিক ৬৭ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করেছে। জুন ২০১৯ সালের ধান-চাল সংগ্রহের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০২০ সালে ক্রয় লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ৩১ শতাংশ কম।
ড. মনিরুল হাসান আরো বলেন, ২০১৯-২০ সালে সরকারিভাবে ৭৫ হাজার টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও গম কেনা হয়েছে মোট ৬৪ দমমিক ৫ হাজার টন। তিনি মনে করেন, পাবলিক ফুড ডিস্টিবিউশন সিস্টেম নির্বিঘেœ পরিচালনার জন্য সরকারের উচিত যথাসময়ে গম আমদানি করা। তিনি আরো বলেন, চলতি মৌসুমে দেশে আলুর উৎপাদন হয়েছে ১১ মিলিয়ন টন, যা দিয়ে দেশের আরো ১১ মাসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তাছাড়া দেশে বর্তমান ভুট্টার যে মজুদ আছে ১০ মাস পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ভোজ্যতেলের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূলত ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটাতে আমদানির নির্ভরশীল। প্রতিবছরে বিশাল পরিমাণ পাম অয়েল ও সয়াবিন আমদানি করতে হয়। ভোজ্য তেল আমদানির জন্য নিয়মিত এলসি খোলা হচ্ছে।           
এফএও’র মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের প্ল্যানিং অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন স্পেশালিস্ট ভাস্কর গোস্বামী খাদ্য পণ্যের বাণিজ্য বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ভাস্কর গোস্বামী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত কম ছিলো। তবে খাদ্যপণ্যের দাম জুন থেকে নিয়মিত বাড়ছে।     
পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের চিফ ট্যাকনিকাল অ্যাডভাইজর নাওকি মিনামিগওসি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের ন্যাশনাল পোভার্টি অ্যান্ড সোস্যাল প্রোটেকশান অ্যাডভাইজর অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল। অনুষ্ঠানে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন পিআইবি’র সিনিয়র প্রশিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status