বিশ্বজমিন
এইচআইভি থেকে ‘সুস্থ হওয়া’ টিমোথি মারা গেছেন
মানবজমিন ডেস্ক
১ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
প্রাণঘাতী এইচআইভি সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া প্রথম রোগী ৫৪ বছর বয়সে ক্যান্সারে মারা গেছেন। তার নাম টিমোথি রে ব্রাউন। তিনি ‘বার্লিন প্যাসেন্ট’ নামেই বেশি পরিচিতি পান। ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটি (আইএএস) বলেছে, তিনি লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এর পাঁচ মাস পরে মারা গেছেন। এ খবর দিয়ে অনলাইন সিএনএন বলছে, ২০০৮ সালে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠেন টিমোথি রে ব্রাউন। এর আগের বছরগুলোতে তিনি জার্মানির বার্লিনে বোন ম্যারে বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করান। কারণ তার শরীরে আলাদা একরকম অসুস্থতা ধরা পড়েছিল। সেটা হলো লিউকেমিয়া। তিনি অস্থিমজ্জা এমন একজন ডোনারের কাছ থেকে নিয়েছিলেন, যার জিনে একটি বিরল বৈশিষ্ট্য ছিল। তা হলো, তার জিন প্রাকৃতিকভাবে এইচআইভি’কে প্রতিরোধ করে। এই জিনটির নাম সিসিআর৫-ডেল্টা ৩২। এরপর তাকে এইচআইভিমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, এই সংক্রমণ থেকে তিনিই প্রথম সুস্থ হওয়া মানুষ। কিন্তু পরের ৬ মাস তার লিউকেমিয়া সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। ছড়িয়ে পড়ে তার মেরুদণ্ডে এবং ব্রেনে। অবশেষে বুধবার আইএএস-এর সভাপতি ও ইউনিভার্সিটি অব মালয়া-এর মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক প্রফেসর আদিবা কামরুলজামান ঘোষণা করেছেন, সদস্য ও পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে আইএএস টিমোথির পার্টনাম টিম, তার পরিবরের সদস্য ও বন্ধুদের প্রতি শোক জানাচ্ছি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা টিমোথি এবং তার চিকিৎসক গেরো হাটারের প্রতি কৃতজ্ঞ এ জন্য যে, তারা চিকিৎসার একটি দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছেন। তা হলো এইচআইভির হলে তা থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
জয়েন্ট ইউনাইটেড নেশনস প্রোগ্রাম অন এইচআইভি/এইডসের মতে, বিশ্বে বর্তমানে এইচআইভি বা এইডস নিয়ে বসবাস করছেন ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। বার্লিনে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একটি ক্যাফেতে কাজ করতেন টিমোথি ব্রাউন। ১৯৯৫ সালে তার এইচআইভি ধরা পড়ে।
জয়েন্ট ইউনাইটেড নেশনস প্রোগ্রাম অন এইচআইভি/এইডসের মতে, বিশ্বে বর্তমানে এইচআইভি বা এইডস নিয়ে বসবাস করছেন ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। বার্লিনে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একটি ক্যাফেতে কাজ করতেন টিমোথি ব্রাউন। ১৯৯৫ সালে তার এইচআইভি ধরা পড়ে।