দেশ বিদেশ

কোভিড পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা শনাক্তকরণই বড় চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে গেল এক বছরে মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪২ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতি লাখে ২২১ জন নতুন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং প্রতি লাখে মারা গেছেন ২৪ জন। গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২০-এর তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি) উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, দেশে প্রতিদিন ১০৭ জন করে যক্ষ্মায় মারা যাচ্ছেন! আর প্রতিদিন ২৪৭ জন উধাও। অর্থাৎ শনাক্তের বাইরে থাকছেন। দেশে গত ১৮ বছরে ২৯ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
গত ২৮শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড প্রেক্ষাপটে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি), বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশের মধ্যে যক্ষ্মারোগী সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে আশাব্যঞ্জক হচ্ছে, যদি যক্ষ্মারোগী নিয়মিত ও নির্দিষ্ট মেয়াদে ওষুধ সেবন করে তাহলে সবধরনের যক্ষ্মারোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার সাফল্যের হার প্রায় ৯৬ শতাংশ। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা (ঞবংঃ) বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এটাই এই সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, যক্ষ্মা শনাক্তকরণে জিন এক্সপার্ট মেশিনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে এই সংক্রান্ত সেবা আরো জোরদার হবে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, যক্ষ্মা শনাক্তকরণই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। শনাক্তকরণের হার বাড়লেই আমাদের এখন যক্ষ্মায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ৯৬ শতাংশ সাফল্য এসেছে, তা অব্যাহত রাখা যাবে। আর তা সম্ভব হয়েছে রোগীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা, সরকারি- বেসরকারি পর্যায়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজ ও ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটা বেশ আশাব্যঞ্জক। তবে এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা বাড়ানো। সম্ভাব্য রোগীদের সেবাকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তারা যক্ষ্মা বিষয়ে অনুসন্ধানী ও ইতিবাচক প্রতিবেদন করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম-এর সভাপতি তৌফিক মারুফ-এর সঞ্চালনায় বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত, এনটিপি বাংলাদেশ অন গ্লোবাল ফান্ড অ্যান্ড এমডিআর টিবি-এর অ্যাডভাইজার ডা. মো. আব্দুল হামিদ সেলিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাকিল আহমেদ প্রমুখ। বৈঠকে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ডা. রুপালি শিশির বানু।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status