বাংলারজমিন

ভাঙ্গায় গৃহবধূ চম্পারানী হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার, ৮:৪০ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের দুয়াইর গ্রামের মনোরঞ্জন দাসের মেয়ে চম্পারানী কর্মকার (২২) কে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে  হত্যার ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে  চম্পার পরিবার ও এলাকাবাসী। গতকাল সকালে এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের ভাঙ্গা-সদরপুর সড়কের দরগা বাজার নামক স্থানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পাষ- স্বামী অনুপ কর্মকারসহ জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে নিহতের বাবা মনোরঞ্জন দাস ও মা দুর্গারানী দাস কান্নায় ভেঙে পড়েন।  
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের ৮ই জানুয়ারি সদরপুর উপজেলার বাইশরশি গ্রামে চম্পারানীকে পাষ- স্বামী ও শাশুড়িসহ মিলে হত্যা করে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মামলাটির বিচার হয়নি। মামলাটি কার্যক্রম না থাকায় নিহতের পরিবার হতাশ হয়ে পড়েন। তারা অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন নিহতের পিতা মনোরঞ্জন দাস, বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হাজী আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় মিজান রেজা মিঠু, মহসিন মাতুব্বর, ওদুদ সর্দার, রায়হান খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার দুয়াইর গ্রামের চম্পারানীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দিয়েছিলেন এলাকার বাইশরশি গ্রামের অনুপ কর্মকারের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই নেশাগ্রস্ত স্বামী ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য তার ওপর চালায় অমানুষিক নির্যাতন। একপর্যায়ে চম্পারানী ফিরে এলো পিতার বাড়িতে। তবে জীবিত নয়, লাশ হয়ে। গত ৮ই জানুয়ারি-২০২০ইং স্বামী অনুপ কর্মকার ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজায়। মেয়ে চম্পাকে হারিয়ে মা দুর্গারানী দাস বাকরুদ্ধ। সারাক্ষণ শুধু মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন তিনি। চম্পার কথা বলতেই দু’চোখ তার অশ্রুসজল হয়ে ওঠে। তিনি জানান, মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করতো। হত্যাকাণ্ডের পর পিতা মনোরঞ্জন দাস বাদী হয়ে স্বামী অনুপ কর্মকারসহ ৫ জনকে আসামি করে সদরপুর থানায় ওই দিনই(৮ই জানুয়ারি-২০২০ইং) একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৩। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারণে শুধুমাত্র অনুপ কর্মকারকে আসামি করে মামলা গ্রহণ করে। পরে ওই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও মামলায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় নিহতের পরিবার মেয়ে হত্যার বিচার নিয়ে সন্ধিহান হয়ে পড়েন। অবশেষে ধারণাই সত্যি বলে পরিণত হলো।  
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status