খেলা
বন্দি থাকার কষ্টে রাহী
স্পোর্টস রিপোর্টার
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার, ৮:১৬ পূর্বাহ্ন
ক্রিকেটে ফিরবেন, বল হাতে জাতীয় দলের হয়ে দারুণ কিছু করবেন- এমনই স্বপ্ন ছিল পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহীর। সিলেটে বিসিবি’র ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তিগত অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়ে প্রস্তুতি নেন শ্রীলঙ্কা সফরের। দলের অন্যতম টেস্ট বোলার হিসেবে তার জায়গাটা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ঢাকায় পা রাখার পর ১৮ই সেপ্টেম্বর জানতে পারলেন করোনা ঝুঁকিতে তিনি। ২২ তারিখের টেস্টে জানলেন তিনি করোনা পজেটিভ। এরপর থেকে রাহী বন্দি বিসিবি’র একাডেমির ভবনে। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে যখন তার সতীর্থরা অনুশীলনে ব্যস্ত, তখন তার সময় কাটছে শুয়ে-বসে। এভাবে থাকতে একেবারেই ভালো লাগে না রাহীর। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘না, কোনোভাবেই বন্দি থাকতে ভালো লাগছে না। অসহ্য লাগছে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। মনে হচ্ছে বন্দি অবস্থা করোনার চেয়ে বেশি কষ্ট আর যন্ত্রণার।’
শ্রীলঙ্কা সফর হলেও রাহীর সেখানে যাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে এসছিল করোনা পজেটিভ হওয়ার কারণে। তবে সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় সুযোগ দেখছেন সিলেটের এই পেসার। তিনি বলেন, ‘পিছিয়ে গেছে সিরিজ, এটা আমাদের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়। আল্লাহ হয়তো কোনো মঙ্গলের জন্যই করেছেন। এখন নিজেদের আরো ভালো করে আন্তর্জতিক ক্রিকেটের জন্য তৈরি করতে পারবো। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের শক্তি, সামর্থ্য কতটা আছে তা বুঝতে পারবো। সেই সঙ্গে ম্যাচ ফিটনেসও ফিরে আসবে।’
করোনাআক্রান্ত রাহী একাডেমির ভাবনে একটি কক্ষে বন্দি প্রায় ১৪ দিন। কীভাবে কাটছে তার সময়? রাহী বলেন, ‘মাঠের মধ্যেই আছি। চারপাশে সবাই খেলছে আমি পারছি না। এটি মানসিকভাবে পীরা দিচ্ছে। তবে আমি যেটা করছি নামাজ পড়ছি, কোরআন তালওয়াত করছি। এছাড়া কোনো কাজের মানুষ আমার রুমে ঢুকতে দিচ্ছি না। নিজেই রুম মুছি, ঝাড়ু দিই। নিজের জামাকাপড় ধুই। তবে এভাবে আর ভালো লাগছে না বন্দি থাকতে। কাল (আজ) আমার আবারো টেস্ট করানো হবে। আল্লাহ যেন আমাকে ভালো করে দেন এই প্রার্থনাই করছি।’
শ্রীলঙ্কা সফর হলেও রাহীর সেখানে যাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে এসছিল করোনা পজেটিভ হওয়ার কারণে। তবে সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় সুযোগ দেখছেন সিলেটের এই পেসার। তিনি বলেন, ‘পিছিয়ে গেছে সিরিজ, এটা আমাদের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়। আল্লাহ হয়তো কোনো মঙ্গলের জন্যই করেছেন। এখন নিজেদের আরো ভালো করে আন্তর্জতিক ক্রিকেটের জন্য তৈরি করতে পারবো। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের শক্তি, সামর্থ্য কতটা আছে তা বুঝতে পারবো। সেই সঙ্গে ম্যাচ ফিটনেসও ফিরে আসবে।’
করোনাআক্রান্ত রাহী একাডেমির ভাবনে একটি কক্ষে বন্দি প্রায় ১৪ দিন। কীভাবে কাটছে তার সময়? রাহী বলেন, ‘মাঠের মধ্যেই আছি। চারপাশে সবাই খেলছে আমি পারছি না। এটি মানসিকভাবে পীরা দিচ্ছে। তবে আমি যেটা করছি নামাজ পড়ছি, কোরআন তালওয়াত করছি। এছাড়া কোনো কাজের মানুষ আমার রুমে ঢুকতে দিচ্ছি না। নিজেই রুম মুছি, ঝাড়ু দিই। নিজের জামাকাপড় ধুই। তবে এভাবে আর ভালো লাগছে না বন্দি থাকতে। কাল (আজ) আমার আবারো টেস্ট করানো হবে। আল্লাহ যেন আমাকে ভালো করে দেন এই প্রার্থনাই করছি।’