বাংলারজমিন
বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স ও থানা ভবনের জায়গার মামলা স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া/বিজয়নগর প্রতিনিধি
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স ও থানা ভবনের জায়গার মালিকানার আলোচিত মামলাটি ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানীর দিনে উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়, আসামি পক্ষ গত ২১শে সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে এ মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ফৌজদারী কার্য বিধি ৫৬১ ধারামতে মিস কেস (নং ১৮৯০০/২০) দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বিচারাধীন এ মামলার কার্য্যক্রম ৬ মাসের জন্যে স্থগিত করার আদেশ দেয়।
জানা যায়, মির্জাপুর মৌজার ৮৪০ দাগের ১১ একর ৮৯ শতক জায়গা জাল দলিল করে দখল করার অভিযোগে ১৯৯৯ সালে আদালতে মামলা হয়। ওই সময়ে জাল দলিলটি করা হয়। মামলায় খাদুরাইল গ্রামের জারু মিয়া, ইছাপুরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলসহ ৫৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ভূপেষ চন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন,তার পূর্ব পুরুষ সাধারণ জনগণের স্বার্থে গবাদি পশুর চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই জায়গাটি প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই ভূমি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। মামলার আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল করে সরকারি জায়গা আত্মসাতে তাদের নিজেদের নামে মালিকানা রেকর্ড করে। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত করে পুলিশ ২০০১ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এই অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার আসামি বজ্রমালী কপালীসহ ২৭ আসামির প্ররোচনা ও সহায়তায় মির্জাপুর মৌজার সাবেক ৮৪০ এবং হাল ১২২০ দাগের মোট ১১.৮৯ একর গোবাম ভূমি সম্পূর্ণ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জারু মিয়ার প্রবাসী পুত্র বাবুল আক্তারের কাছে বিক্রি করে। ১৯৯৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ৫৬২ এবং ৫৬৩ দলিল হয় বাবুলের নামে। ৫৬২ নম্বর দলিল দাতা ধনেশ সরকার ও করুনা সিন্দু সরকার এবং ৫৬৩ নম্বর প্রবীর চৌধুরী অনুমান ১৫/১৬ বছর আগে ভারতে চলে যান। ভূপেষ চৌধুরী এই মামলাটি করার আগে ১৯৯৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন আরডিসি আবুল ফজল মীর বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামী করে ৫১জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটি পরে ভূমিদস্যুদের তৎপরতায় ধামাচাপা পড়ে। বর্তমানে সরকারি ওই জায়গায় বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স ও থানা নির্মিত হয়েছে। আলোচিত এই মামলাটির বিচার কার্য চলছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
জানা যায়, মির্জাপুর মৌজার ৮৪০ দাগের ১১ একর ৮৯ শতক জায়গা জাল দলিল করে দখল করার অভিযোগে ১৯৯৯ সালে আদালতে মামলা হয়। ওই সময়ে জাল দলিলটি করা হয়। মামলায় খাদুরাইল গ্রামের জারু মিয়া, ইছাপুরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলসহ ৫৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ভূপেষ চন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন,তার পূর্ব পুরুষ সাধারণ জনগণের স্বার্থে গবাদি পশুর চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই জায়গাটি প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই ভূমি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। মামলার আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল করে সরকারি জায়গা আত্মসাতে তাদের নিজেদের নামে মালিকানা রেকর্ড করে। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত করে পুলিশ ২০০১ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এই অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার আসামি বজ্রমালী কপালীসহ ২৭ আসামির প্ররোচনা ও সহায়তায় মির্জাপুর মৌজার সাবেক ৮৪০ এবং হাল ১২২০ দাগের মোট ১১.৮৯ একর গোবাম ভূমি সম্পূর্ণ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জারু মিয়ার প্রবাসী পুত্র বাবুল আক্তারের কাছে বিক্রি করে। ১৯৯৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ৫৬২ এবং ৫৬৩ দলিল হয় বাবুলের নামে। ৫৬২ নম্বর দলিল দাতা ধনেশ সরকার ও করুনা সিন্দু সরকার এবং ৫৬৩ নম্বর প্রবীর চৌধুরী অনুমান ১৫/১৬ বছর আগে ভারতে চলে যান। ভূপেষ চৌধুরী এই মামলাটি করার আগে ১৯৯৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন আরডিসি আবুল ফজল মীর বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামী করে ৫১জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটি পরে ভূমিদস্যুদের তৎপরতায় ধামাচাপা পড়ে। বর্তমানে সরকারি ওই জায়গায় বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স ও থানা নির্মিত হয়েছে। আলোচিত এই মামলাটির বিচার কার্য চলছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।