প্রথম পাতা
শাহেদের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে গুলি রাখার অপরাধে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে শাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কয়েক ডজন মামলার মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানার এই অস্ত্র আইনের মামলারই প্রথম রায় এলো।
অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই সাজা। পাশাপাশি আরেকটি ধারায় শাহেদকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে রায়ে। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে তার ক্ষেত্রে যাবজ্জীবনই প্রযোজ্য হবে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, আমাদের এ সমাজে শাহেদের মতো ভদ্রবেশে অনেক লোক রয়েছে, যা এই মামলার দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে। শাহেদ ২০ লাখ টাকা লোন নিয়ে গাড়ি ক্রয় করেন। কিন্তু আদালতের কাছে স্বীকার করেননি। আদালতের কাছে মিথ্যা তথ্য দেন। শাহেদ অত্যন্ত চালাক ও ধুরন্ধর ব্যক্তি। গাড়িতে অস্ত্র রাখার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সে আদালতের কাছে কোনো অনুকম্পা পেতে পারে না।
আদালতে উপস্থিত শাহেদ রায় শুনে অনেকটাই নির্বিকার ছিলেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান। রায় ঘোষণার পর শাহেদকে কারাগারে নিতে প্রিজনভ্যানে উঠানো হয়। এ সময় শাহেদ বলেন, আমি ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে যাবো। উচ্চ আদালতে আমি ন্যায়বিচার পাবো। তবে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, শাহেদ যে অপরাধী তা মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে। এ রায় সমাজে দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে। শাহেদ নিজ হেফাজতে অবৈধ পিস্তল রাখায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও গুলি রাখায় সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। শাহেদের আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
এর আগে দুপুরে কারাগার থেকে আদালতে শাহেদকে হাজির করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারাগার থেকে আদালতে আনার সময় শাহেদের হাতে হাতকড়া ও মাথায় হেলমেট দেখা যায়। মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
গত ১৫ই জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শাহেদকে গ্রেপ্তার করে র?্যাব। এরপর গত ১৯শে জুলাই শাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে শাহেদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনায় শাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহেদকে হাজির করা হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। এ ছাড়া সাতক্ষীরায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দুটি মামলা করা হয়। গত ২৭শে আগস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পর এ মামলার কাজ এগিয়েছে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ১১ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।
আসামি শাহেদ গত ১৬ই সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি দাবি করেন, যে অস্ত্রের কথা এ মামলায় বলা হচ্ছে, সেটা তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০শে সেপ্টেম্বর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখেন।
অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই সাজা। পাশাপাশি আরেকটি ধারায় শাহেদকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে রায়ে। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে তার ক্ষেত্রে যাবজ্জীবনই প্রযোজ্য হবে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, আমাদের এ সমাজে শাহেদের মতো ভদ্রবেশে অনেক লোক রয়েছে, যা এই মামলার দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে। শাহেদ ২০ লাখ টাকা লোন নিয়ে গাড়ি ক্রয় করেন। কিন্তু আদালতের কাছে স্বীকার করেননি। আদালতের কাছে মিথ্যা তথ্য দেন। শাহেদ অত্যন্ত চালাক ও ধুরন্ধর ব্যক্তি। গাড়িতে অস্ত্র রাখার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সে আদালতের কাছে কোনো অনুকম্পা পেতে পারে না।
আদালতে উপস্থিত শাহেদ রায় শুনে অনেকটাই নির্বিকার ছিলেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান। রায় ঘোষণার পর শাহেদকে কারাগারে নিতে প্রিজনভ্যানে উঠানো হয়। এ সময় শাহেদ বলেন, আমি ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে যাবো। উচ্চ আদালতে আমি ন্যায়বিচার পাবো। তবে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, শাহেদ যে অপরাধী তা মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে। এ রায় সমাজে দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে। শাহেদ নিজ হেফাজতে অবৈধ পিস্তল রাখায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও গুলি রাখায় সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। শাহেদের আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
এর আগে দুপুরে কারাগার থেকে আদালতে শাহেদকে হাজির করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারাগার থেকে আদালতে আনার সময় শাহেদের হাতে হাতকড়া ও মাথায় হেলমেট দেখা যায়। মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
গত ১৫ই জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শাহেদকে গ্রেপ্তার করে র?্যাব। এরপর গত ১৯শে জুলাই শাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে শাহেদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনায় শাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহেদকে হাজির করা হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। এ ছাড়া সাতক্ষীরায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দুটি মামলা করা হয়। গত ২৭শে আগস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পর এ মামলার কাজ এগিয়েছে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ১১ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।
আসামি শাহেদ গত ১৬ই সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি দাবি করেন, যে অস্ত্রের কথা এ মামলায় বলা হচ্ছে, সেটা তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০শে সেপ্টেম্বর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখেন।