দেশ বিদেশ
আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সামরিক সংঘাত
মানবজমিন ডেস্ক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৪০ পূর্বাহ্ন
বিরোধপূর্ণ ককেসাস অঞ্চলে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সেনাদের মধ্যে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো লড়াই চলছিল। রোববার নগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রোববার রাতভর সংঘর্ষ চলতে থাকে। তা অব্যাহত ছিল গতকালও। এ লড়াইয়ে উভয় পক্ষে সামরিক ও বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানী হয়েছে। ২০১৬ সালের পর এটাই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর অবস্থা। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরান ও ইউরোপিয়ান দেশগুলো শত্রুতা পরিহার করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। নগোরনো-কারাবাখকে আজারবাইজানের ভূখণ্ড দাবি করে করে তুরস্ক বলেছে, অবশ্যই দখলীকৃত ওই অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়াকে তার দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে এবং বিদেশী দুর্বৃত্তদের ফেরত পাঠাতে হবে। কারণ, ওই অঞ্চল তাদের দখলে রাখতে আর্মেনিয়া বিদেশ থেকে এসব দুর্বৃত্তকে ওই অঞ্চলে নিয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার বলেছেন, অবশ্যই অবিলম্বে হামলা বন্ধ করতে হবে আর্মেনিয়াকে। দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের ফেরত পাঠাতে হবে। ওদিকে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ক্রেমলিন। বলা হয়েছে, এই সামরিক সংঘাত নগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলবে। এ নিয়ে মারাত্মক উদ্বিগ্ন মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পরিস্থিতির ওপর নিবিড় দৃষ্টি রাখছে মস্কো। এই সংঘাতের সমাধান করতে হবে কূটনৈতিকভাবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ খতিবজাদেহ বলেছেন, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে সংলাপের পক্ষে ইরান। পরিহার করতে হবে সামরিক সংঘাত। আমরা অবিলম্বে অস্ত্রবিরতিতে বিশ্বাস করি। রোববার রাতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা ফোনকলে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ। এ সময় তিনি তাদেরকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।