বাফুফে নির্বাচনে গোয়েন্দা নজরদারি

আসন্ন বাফুফে নির্বাচন ঘিরে প্রতিদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করছে প্যানেলগুলো। তবে চার বছর ঘুরে বাফুফের নির্বাচন এলেই যেনো অবৈধ অর্থ লেনদেনের শঙ্কা ঘিরে ধরে। পকেট ভরে ভোটার কাউন্সিলরদের। তবে এবার অর্থ দিয়ে ভোট আদায়ের এই পথ বন্ধ করতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনের উপর কড়া নজরদারি রাখবে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। অবৈধ অর্থ লেনদেন ঠেকাতে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী ও ভোটার তালিকা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ধরনের অবৈধ কাজ প্রমাণিত হলে সরাসরি ব্যবস্থা নিবে গোয়েন্দা সংস্থা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ঘিরে অবৈধ অর্থ লেনদেনের শঙ্কা থেকে গোয়েন্দাদের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দীন, ‘স্পেশিফিকভাবে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ভোটার তালিকা, প্রার্থীদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। লেনদেনের শঙ্কা আছে, তারা যেনো নজরদারি করে তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’ ফুটবলের বদনাম হয় এমন কাজ যাতে নির্বাচনে না করা হয় তারও আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ‘ফুটবলের যাতে বদনাম না হয়, বাফুফের যাতে বদনাম না হয় সেই স্বার্থেই সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।’ এদিকে বাফুফের নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
আগামী ৩রা অক্টোবর বাফুফের নির্বাচনের আয়োজন হচ্ছে। ২১ পদের বিপরীতে দুই প্যানেলের ৪৬ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন শফিকুল ইসলাম মানিক।