বাংলারজমিন
ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ফের ধর্ষণ
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৮:২৩ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণ করার ভিডিও ইন্টারনেট ছড়িয়ে ও বিভিন্ন লোকজনকে দেখানোর হুমকি দিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণের অভিযোগে গত বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ফয়েজ উল্লাহ (২৪) নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর চাচা মো. সফিউল্লাহ দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে। গতকাল দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পুলিশ ফয়েজ উল্লাহ’র মোবাইলে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপটি উদ্ধার করে। পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, আটক ফয়েজ উল্লাহ দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের তেবারিয়া গ্রামের মো. আবদুল আলিম মিয়ার ছেলে এবং দুয়ারিয়া এজি মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
মামলার বাদী চাচা সফিউল্লাহ জানান, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ফয়েজ উল্লাহ’র সম্পর্কে তার পার্শ্ববর্তী চাচা হয়। ফয়েজ উল্লাহ বিভিন্ন সময়ে আমার ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ২২শে মে দুপুরে আমার ভাতিজি ফয়েজ উল্লাহর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে পেছন দিক থেকে এসে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তার ঘরের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে এ ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে রাখে। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে পরের দিন ২৩শে মে দুপুরে একই স্থানে নিয়ে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করে। লম্পট ফয়েজ উল্লাহ আবারো একই ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের প্রস্তাব দেয়। পরে বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে ভুক্তভোগীর চাচা সফিউল্লাহ বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ফয়েজ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী চাচা সফিউল্লাহ জানান, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ফয়েজ উল্লাহ’র সম্পর্কে তার পার্শ্ববর্তী চাচা হয়। ফয়েজ উল্লাহ বিভিন্ন সময়ে আমার ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ২২শে মে দুপুরে আমার ভাতিজি ফয়েজ উল্লাহর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে পেছন দিক থেকে এসে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তার ঘরের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে এ ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে রাখে। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে পরের দিন ২৩শে মে দুপুরে একই স্থানে নিয়ে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করে। লম্পট ফয়েজ উল্লাহ আবারো একই ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের প্রস্তাব দেয়। পরে বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে ভুক্তভোগীর চাচা সফিউল্লাহ বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ফয়েজ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।