খেলা
সাকিব-তামিমদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চান মুমিনুল
ইশতিয়াক পারভেজ
১৪ আগস্ট ২০২০, শুক্রবার, ৮:৪০ পূর্বাহ্ন
দৈনিক মানবজমিনের ফেসবুক লাইভ ‘না বলা কথা’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ। নিজের জীবন, খেলাসহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন অকপটে। তার সেই কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
কেটে গেছে অনিশ্চয়তা, অক্টোবরেই শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। বিষয়টা কতটা স্বস্তি দিচ্ছে আপনাকে?
মুমিনুল: বিশ্বজুড়ে যে সময়টা গেছে এমন কিছুর সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত নই। করোনা মহামারির কারণে সবাইকে নিজের কাজ থেকে থাকতে হয়েছে বহুদূরে। এই মহামারি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অনেকটাই স্বস্তির বিষয়। এটি সবার জন্যই। আমরা খেলায় ফিরতে পারছি তাও আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দিয়ে। আমি বলবো এটি আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগও। এতদিন সবার মধ্যে খেলার জন্য ইচ্ছা, চাহিদা বা উন্মুখতা ছিল তা এই সফর দিয়ে কিছুটা হলেও মিটে যাবে।
প্রায় ৮ মাস পর টেস্ট খেলতে মাঠে নামবেন। অধিনায়ক হিসেবে কতটা চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে আপনার জন্য?
মুমিনুল: আমার কাছে মনে হয় শুধু আমরা নই, সারা বিশ্বই এই চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করছে ও করবে। এটি প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ। এই কঠিন বিষয়গুলো মানিয়ে নিতে হয়। তবে আমরা প্রস্তুতি নেয়ার জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাবো। শুধু আমরাই নই, বিশ্বের সব বড় বড় দল করোনার পর চ্যালেঞ্জের মুখেই থাকবে। তবে এটি মনে হয় বেশি দিন থাকবে না, পরে পর্যাক্রমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাই মানিয়ে নিতে পারবে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই চ্যালেঞ্জটা নেয়ার মতো ইচ্ছা, ক্ষমতা আপনার চিন্তায় থাকতে হবে। অনেক সারপ্রাইজ কিছু আপনার সামনে আসতে পারে। সেটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার ক্রিকেটার হওয়ার গল্প...
মুমিনুল: ছোট বেলায় নিজের এলাকাতেই খেলতাম। সব এলাকাতেই আগে ক্রিকেট খেলা হতো। বিশেষ করে টেপ টেনিস খেলা হতো। আমি আমার বড় ভাই ও তার বন্ধুর সঙ্গে খেলতাম। ভাইয়ের এক বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন আমার ক্রিকেট গুরু। তখন বিকেএসপির ক্যাম্প হতো। পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হই। তবে ক্যাম্পে যাওয়া নিয়ে বাধা এসেছিল। কারণ তখন ক্রিকেট এখনকার মতো জনপ্রিয় ছিল না। ক্রিকেট খেলে ভবিষ্যৎ গড়া যায় তেমন কিছু মানতে পারতেন না বাবা-মায়েরা। তাই আমার পরিবারও বুঝতে চাইছিল না। তখন বড় ভাই, তার বন্ধু ও বিকেএসপির কোচ বাবা-মাকে বুঝিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু।
প্রশ্ন: উচ্চতার জন্য বিকেএসপিতে প্রথমবার সুযোগ পাননি...
মুমিনুল: বিকেএসপিতে ২০০৩-এ উচ্চতার কারণে প্রথমবার সুযোগ হয়নি। তখন প্রচলিত ছিল যে সাইকেল চালালে লম্বা হওয়া যায়। তাই বাবা আমাকে সাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। পরের বছর পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাই। ছোট বেলার গুরু, বিকেএসপির কোচ নাজিম স্যার, এরপর কোচ সালাউদ্দিন স্যার ও ফাহিম স্যার আমার জীবনে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে আপনার শুরুটা ভালো ছিল না ভারতের বিপক্ষে। হতাশা নাকি সেখান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার?
মুমিনুল: প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে অতীত নিয়ে আমি ভাবি না। আমি হতাশ ছিলাম না। আমার কাছে মনে হয়েছে সেটি আমার জন্য বড় শিক্ষা। আর ভারতের কন্ডিশনে লড়াই যে কোনো দলের জন্য কঠিন। তাই সেখান থেকে অনেক ভালো কিছু শিখেছি। আমি সেই সময়টাকে অনুপ্রেরণা হিসেবেই দেখেছি।
প্রশ্ন: সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটার আছে দলে। মাঠে আপনি কতটা সহযোগিতা পাচ্ছেন?
মুমিনুল: এমন চার বা পাঁচজন আছেন যারা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট খেলছেন আর আমি জুনিয়র একজন অধিনায়ক তখন অনেক সহজ হয়ে যায় দল চালানো। আমি মনে করি আমার জন্য দারুণ সুযোগ। তারা থাকা অবস্থায় আমি যদি ভালো কিছু শিখতে পারি, আমার জন্য আরো ভালো হবে।
প্রশ্ন: অস্ত্র হিসেবে দলে কেমন বোলার আপনি চান?
মুমিনুল: আমি এমন বোলার চাই যে দলের জন্য সব সময় বল করতে প্রস্তত থাকবে। দলের যা দরকার সে সেই ভাবে বল করার চেষ্টা করবে। এমন বোলার চাই না যে শুধু নিজের কাজটা শেষ করে চলে গেল। এমনকি সে ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়েও সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করবে। তিন বিভাগেই কন্ট্রিবিউট করতে পারে আমি এমন বোলার চাই।
প্রশ্ন: সাকিব নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলে নেতৃত্বে পরিবর্তন হতে পারে টেস্ট দলে...
মুমিনুল: সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলাতে পারে। তা নিয়ে আমি চিন্তিত না।
প্রশ্ন: একজন সাকিব দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
মুমিনুল: তাকে নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না। তিনি একের ভেতর দুই ক্রিকেটার। তিনি না থাকলে দুইজন বাড়তি প্লেয়ার খেলাতে হয়।
সাবেক কোচ হাথুরুসিংহের সময়টা অনেক কঠিন কেটেছে আপনার জন্য। সেই বিষয়ে কিছু বলবেন?
মুমিনুল: আমি সব সময় বিশ্বাস করি কোচ যদি বাবা-কিংবা ভাইও হয় আপনি পারফরম্যান্স না করলে টিকতে পারবেন না। আবার যদি কোচ আপনাকে দেখতে না পারেন কিন্তু আপনি পারফরম্যান্স করলে খেলতে পারবেন। আমার নৈপুণ্য তখন তেমন হয়তো ছিল না।
ভালো কোচ বলতে আপনারা কি বোঝেন?
মুমিনুল: ভালো কোচ মানে বুঝি ন্যায়পরায়ণতা থাকতে হবে। এমন হওয়া চলবে না যে একজন ক্রিকেটারকে পছন্দ করেন আরেকজনকে নয়। দল হবে তার জন্য একটি পরিবার। দেখবেন পরিবারে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অনেক সমস্যা হয়। দলের মধ্যেও অনেক সময় এমন হয়। আপনি যেমন পরিবারের সেই সমস্যা সমাধান করেন সেইভাবে দলের সমস্যাও সমাধান করতে হবে। এরপর তার দক্ষতা তো থাকতে হবেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো দলে কারো জন্য ভালো কোচ কোনদিন পক্ষপাত করবে না।
প্রশ্ন: নিজেকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে মানেন?
মুমিনুল: টেস্টে আমার পরিসংখ্যান ভালো তাই সবাই আমাকে বলে টেস্ট ক্রিকেটার। আমার ওয়ানডে ক্যারিয়ারটা হয়তো তত ভালো নয় তাই সেখানে সুযোগ পাই না। তবে আমি বিশ্বাস করি সেখানেও একদিন ভালো করবো।
প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কা সফরে দলের কাছে আপনার চাওয়া কতটা?
মুমিনুল: আমার একটাই চাওয়া তারা যেন দলের জন্য খেলে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই তারা যেন নিজের সেরাটা দিতে পারে।
কেটে গেছে অনিশ্চয়তা, অক্টোবরেই শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। বিষয়টা কতটা স্বস্তি দিচ্ছে আপনাকে?
মুমিনুল: বিশ্বজুড়ে যে সময়টা গেছে এমন কিছুর সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত নই। করোনা মহামারির কারণে সবাইকে নিজের কাজ থেকে থাকতে হয়েছে বহুদূরে। এই মহামারি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অনেকটাই স্বস্তির বিষয়। এটি সবার জন্যই। আমরা খেলায় ফিরতে পারছি তাও আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দিয়ে। আমি বলবো এটি আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগও। এতদিন সবার মধ্যে খেলার জন্য ইচ্ছা, চাহিদা বা উন্মুখতা ছিল তা এই সফর দিয়ে কিছুটা হলেও মিটে যাবে।
প্রায় ৮ মাস পর টেস্ট খেলতে মাঠে নামবেন। অধিনায়ক হিসেবে কতটা চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে আপনার জন্য?
মুমিনুল: আমার কাছে মনে হয় শুধু আমরা নই, সারা বিশ্বই এই চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করছে ও করবে। এটি প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ। এই কঠিন বিষয়গুলো মানিয়ে নিতে হয়। তবে আমরা প্রস্তুতি নেয়ার জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাবো। শুধু আমরাই নই, বিশ্বের সব বড় বড় দল করোনার পর চ্যালেঞ্জের মুখেই থাকবে। তবে এটি মনে হয় বেশি দিন থাকবে না, পরে পর্যাক্রমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাই মানিয়ে নিতে পারবে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই চ্যালেঞ্জটা নেয়ার মতো ইচ্ছা, ক্ষমতা আপনার চিন্তায় থাকতে হবে। অনেক সারপ্রাইজ কিছু আপনার সামনে আসতে পারে। সেটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার ক্রিকেটার হওয়ার গল্প...
মুমিনুল: ছোট বেলায় নিজের এলাকাতেই খেলতাম। সব এলাকাতেই আগে ক্রিকেট খেলা হতো। বিশেষ করে টেপ টেনিস খেলা হতো। আমি আমার বড় ভাই ও তার বন্ধুর সঙ্গে খেলতাম। ভাইয়ের এক বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন আমার ক্রিকেট গুরু। তখন বিকেএসপির ক্যাম্প হতো। পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হই। তবে ক্যাম্পে যাওয়া নিয়ে বাধা এসেছিল। কারণ তখন ক্রিকেট এখনকার মতো জনপ্রিয় ছিল না। ক্রিকেট খেলে ভবিষ্যৎ গড়া যায় তেমন কিছু মানতে পারতেন না বাবা-মায়েরা। তাই আমার পরিবারও বুঝতে চাইছিল না। তখন বড় ভাই, তার বন্ধু ও বিকেএসপির কোচ বাবা-মাকে বুঝিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু।
প্রশ্ন: উচ্চতার জন্য বিকেএসপিতে প্রথমবার সুযোগ পাননি...
মুমিনুল: বিকেএসপিতে ২০০৩-এ উচ্চতার কারণে প্রথমবার সুযোগ হয়নি। তখন প্রচলিত ছিল যে সাইকেল চালালে লম্বা হওয়া যায়। তাই বাবা আমাকে সাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। পরের বছর পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাই। ছোট বেলার গুরু, বিকেএসপির কোচ নাজিম স্যার, এরপর কোচ সালাউদ্দিন স্যার ও ফাহিম স্যার আমার জীবনে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে আপনার শুরুটা ভালো ছিল না ভারতের বিপক্ষে। হতাশা নাকি সেখান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার?
মুমিনুল: প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে অতীত নিয়ে আমি ভাবি না। আমি হতাশ ছিলাম না। আমার কাছে মনে হয়েছে সেটি আমার জন্য বড় শিক্ষা। আর ভারতের কন্ডিশনে লড়াই যে কোনো দলের জন্য কঠিন। তাই সেখান থেকে অনেক ভালো কিছু শিখেছি। আমি সেই সময়টাকে অনুপ্রেরণা হিসেবেই দেখেছি।
প্রশ্ন: সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটার আছে দলে। মাঠে আপনি কতটা সহযোগিতা পাচ্ছেন?
মুমিনুল: এমন চার বা পাঁচজন আছেন যারা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট খেলছেন আর আমি জুনিয়র একজন অধিনায়ক তখন অনেক সহজ হয়ে যায় দল চালানো। আমি মনে করি আমার জন্য দারুণ সুযোগ। তারা থাকা অবস্থায় আমি যদি ভালো কিছু শিখতে পারি, আমার জন্য আরো ভালো হবে।
প্রশ্ন: অস্ত্র হিসেবে দলে কেমন বোলার আপনি চান?
মুমিনুল: আমি এমন বোলার চাই যে দলের জন্য সব সময় বল করতে প্রস্তত থাকবে। দলের যা দরকার সে সেই ভাবে বল করার চেষ্টা করবে। এমন বোলার চাই না যে শুধু নিজের কাজটা শেষ করে চলে গেল। এমনকি সে ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়েও সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করবে। তিন বিভাগেই কন্ট্রিবিউট করতে পারে আমি এমন বোলার চাই।
প্রশ্ন: সাকিব নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলে নেতৃত্বে পরিবর্তন হতে পারে টেস্ট দলে...
মুমিনুল: সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলাতে পারে। তা নিয়ে আমি চিন্তিত না।
প্রশ্ন: একজন সাকিব দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
মুমিনুল: তাকে নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না। তিনি একের ভেতর দুই ক্রিকেটার। তিনি না থাকলে দুইজন বাড়তি প্লেয়ার খেলাতে হয়।
সাবেক কোচ হাথুরুসিংহের সময়টা অনেক কঠিন কেটেছে আপনার জন্য। সেই বিষয়ে কিছু বলবেন?
মুমিনুল: আমি সব সময় বিশ্বাস করি কোচ যদি বাবা-কিংবা ভাইও হয় আপনি পারফরম্যান্স না করলে টিকতে পারবেন না। আবার যদি কোচ আপনাকে দেখতে না পারেন কিন্তু আপনি পারফরম্যান্স করলে খেলতে পারবেন। আমার নৈপুণ্য তখন তেমন হয়তো ছিল না।
ভালো কোচ বলতে আপনারা কি বোঝেন?
মুমিনুল: ভালো কোচ মানে বুঝি ন্যায়পরায়ণতা থাকতে হবে। এমন হওয়া চলবে না যে একজন ক্রিকেটারকে পছন্দ করেন আরেকজনকে নয়। দল হবে তার জন্য একটি পরিবার। দেখবেন পরিবারে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অনেক সমস্যা হয়। দলের মধ্যেও অনেক সময় এমন হয়। আপনি যেমন পরিবারের সেই সমস্যা সমাধান করেন সেইভাবে দলের সমস্যাও সমাধান করতে হবে। এরপর তার দক্ষতা তো থাকতে হবেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো দলে কারো জন্য ভালো কোচ কোনদিন পক্ষপাত করবে না।
প্রশ্ন: নিজেকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে মানেন?
মুমিনুল: টেস্টে আমার পরিসংখ্যান ভালো তাই সবাই আমাকে বলে টেস্ট ক্রিকেটার। আমার ওয়ানডে ক্যারিয়ারটা হয়তো তত ভালো নয় তাই সেখানে সুযোগ পাই না। তবে আমি বিশ্বাস করি সেখানেও একদিন ভালো করবো।
প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কা সফরে দলের কাছে আপনার চাওয়া কতটা?
মুমিনুল: আমার একটাই চাওয়া তারা যেন দলের জন্য খেলে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই তারা যেন নিজের সেরাটা দিতে পারে।