বাংলারজমিন
৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা, আদালতে এসে বাদীকে মামলা প্রত্যাহারের চাপ
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১৩ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৭:৪২ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে মামলা করে বিপদে বাদী মো: হারুন মিয়া। পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি বৃহস্পতিবার আদালত এলাকায় এসে আখাউড়া থানা পুলিশ তাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রকাশ্যে চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ করেন হারুন। তিনি জানান, এঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তার মামলার আইনজীবী গোলাম সারোয়ার খোকন বলেন, আসামীরা কর্মস্থল আখাউড়া ছেড়ে আদালত প্রাঙ্গনে ঘুরাফেরা করায় বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে এনে বুধবার আখাউড়া থানার পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে মামলা করেন সেখানকার মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হারুন মিয়া। মামলার আসামীরা হচ্ছে আখাউড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুতিউর রহমান, এসআই হুমায়ুন, এএসআই খোরশেদ ও কনস্টেবল প্রশান্ত এবং সৈকত। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্যে পুলিশ সুপার কার্যালয়কে নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার এজাহারে বলা হয়,হারুনের প্রতিবেশী হাসিনা বেগম (চিকুনী বেগম) ও তার মেয়ে তানিয়া এবং তানজিনার সাথে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা এক যোগে মিলিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। হারুন প্রতিবেশী চিকুনীর মাদক ব্যবসায় বাঁধা দিলে চিকুনী ক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের হারুনের পিছনে লেলিয়ে দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬শে মে গভীর রাতে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য চিকুনী বেগমকে গ্রেপ্তারের নাটক করে। এরপর তার প্ররোচনায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশির নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এসময় ক্রসফায়ার ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে। ওইদিনই ভোর চারটার দিকে পুলিশ সদস্যরা আবার সেখানে এসে হারুন ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা মাদক মামলা ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ভয় দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে এবং এক লক্ষ টাকা দাবি করে। তা না হলে তাদেরকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হবে বলে হুমকী দেয়। ওই সময় প্রাণ রক্ষায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে রফা দফা করলে হারুন ও তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়। চলে যাওয়ার সময় বিষয়টি ওপরের অফিসারদের জানালে হারুনকে ক্রসফায়ার দেয়া হবে বলে হুমকি দেন।
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে এনে বুধবার আখাউড়া থানার পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে মামলা করেন সেখানকার মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হারুন মিয়া। মামলার আসামীরা হচ্ছে আখাউড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুতিউর রহমান, এসআই হুমায়ুন, এএসআই খোরশেদ ও কনস্টেবল প্রশান্ত এবং সৈকত। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্যে পুলিশ সুপার কার্যালয়কে নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার এজাহারে বলা হয়,হারুনের প্রতিবেশী হাসিনা বেগম (চিকুনী বেগম) ও তার মেয়ে তানিয়া এবং তানজিনার সাথে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা এক যোগে মিলিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। হারুন প্রতিবেশী চিকুনীর মাদক ব্যবসায় বাঁধা দিলে চিকুনী ক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের হারুনের পিছনে লেলিয়ে দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬শে মে গভীর রাতে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য চিকুনী বেগমকে গ্রেপ্তারের নাটক করে। এরপর তার প্ররোচনায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশির নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এসময় ক্রসফায়ার ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে। ওইদিনই ভোর চারটার দিকে পুলিশ সদস্যরা আবার সেখানে এসে হারুন ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা মাদক মামলা ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ভয় দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে এবং এক লক্ষ টাকা দাবি করে। তা না হলে তাদেরকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হবে বলে হুমকী দেয়। ওই সময় প্রাণ রক্ষায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে রফা দফা করলে হারুন ও তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়। চলে যাওয়ার সময় বিষয়টি ওপরের অফিসারদের জানালে হারুনকে ক্রসফায়ার দেয়া হবে বলে হুমকি দেন।