বিশ্বজমিন
করোনা: ৬৫ বছরের মধ্যে বৃটেনে জিডিপির সবচেয়ে বড় পতন
মানবজমিন ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০২০, বুধবার, ১:৩২ পূর্বাহ্ন
২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্কট বা অর্থনৈতিক মন্দার পর প্রথমবারের মতো বড় মন্দার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে বৃটেন। জুনে সমাপ্ত তিন মাস মেয়াদে সেখানে জাতীয় প্রবৃদ্ধির পতন হয়েছে শতকরা ২০.৪ ভাগ। এ তথ্য দিয়েছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস অফিস। এতে বলা হয়েছে, ১৯৫৫ সালে প্রথম কোয়ার্টারলি বা তিন মাস অন্তর অন্তর জিডিপির রেকর্ড রাখা শুরু হয়। সেই রেকর্ডের তুলনায় এটাই বৃটেনে জিডিপির সবচেয়ে বড় পতন। অর্থাৎ কমপক্ষে ৬৫ বছরের মধ্যে এটাই বৃটেনে সবচেয়ে বড় আর্থিক পতন। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়, বছরের প্রথম কোয়ার্টারে বৃটেনে শতকরা ২.২ ভাগ জিডিপির পতন হয়েছে। মার্চে সেখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এর ফলে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে। এ অবস্থায় সেখানে জিডিপির পতন হতেই থাকে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরপর দুই কোয়ার্টারে জিডিপির পতনকে টেকনিক্যাল অর্থে মন্দা বলে আখ্যায়িত করা হয়। তবে জুনে এসে অর্থনীতি কিছুটা পুনরুদ্ধারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বৃটেন। কারণ, এ সময়ে আস্তে আস্তে লকডাউন শিথিল করা হয়। ওই এক মাসে জিডিপি বৃদ্ধি পায় শতকরা ৮.৭ ভাগ। এটা ছিল প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুতগতির। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের ডেপুটি পরিসংখ্যানবিদ জোনাথন অ্যাথো বলেছেন, জিডিপির কোয়ার্টারলি রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় মন্দায় পড়েছে বৃটেন। এর জন্য দায়ী করোনা ভাইরাস মহামারি। তিনি বলেন, জুনে এসে দোকানপাট খুলে দেয়ায় এ অবস্থা থেকে ফিরে আসা শুরু করেছে দেশ। কারখানাগুলোতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবুও ভাইরাস সংক্রমণের আগে ফেব্রুয়ারিতে অর্থনীতি যে অবস্থায় ছিল সেখানে ফিরে যেতে অনেকটা সময় লাগবে।
একই সমযে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় প্রবৃদ্ধি পতনের শতকরা হার ছিল ১০.৬ ভাগ। সে তুলনায় বৃটেন পিছিয়ে পড়েছে দ্বিগুন। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বৃটেনের জিডিপির পতন ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির চেয়েও কম। তবে কানাডা ও জাপান এখনও দ্বিতীয় কোয়ার্টারের জিডিপির হিসাব দেয়নি।
একই সমযে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় প্রবৃদ্ধি পতনের শতকরা হার ছিল ১০.৬ ভাগ। সে তুলনায় বৃটেন পিছিয়ে পড়েছে দ্বিগুন। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বৃটেনের জিডিপির পতন ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির চেয়েও কম। তবে কানাডা ও জাপান এখনও দ্বিতীয় কোয়ার্টারের জিডিপির হিসাব দেয়নি।