বাংলারজমিন
যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
১১ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
মাগুরা মহম্মদপুরে করোনায় বেকার হয়ে ৫লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী আলামিন ওরফে সোবহানের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ শারমিন আক্তার মুক্তিকে সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শারমিন আক্তার মুক্তি উপজেলার আউনাড়া গ্রামের পান্নু মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে উপজেলার আউনাড়া গ্রামের অলিয়ার সর্দারের ছেলে আলামিন ওরফে সোবহানের সাথে শারমিন আক্তার মুক্তির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মুক্তির বাবা মা সামর্থ অনুযায়ী তার স্বামীকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে। করোনায় বেকার হয়ে পড়ার পর থেকে তার চাহিদা বাড়তে থাকে।
শারমিন আক্তার মুক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমাকে গত রবিবার রাতে খুব মারধর করছে আমার স্বামী। এখন পুরো শরীরে আমার ব্যথা। এক কানে শুনতে পারছি না। আমার মাজায় লাথি মারছে। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় মারপিটের কারণে আমি হাটতে পারছিনা। এক সপ্তাহ আগে আমারে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাকা দেয় স্বামী। তারা আমাকে পনের দিন ধরে প্রচুর নির্যাতন করেছে। ঠিকমত খেতে দেয়নি। আমি নিজে হাতে রান্না করে অন্য ঘরে গেলে তারা খাবার খেয়ে ঘরে তালা দিয়ে রাখে। আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রচুর নির্যাতন করছে যতটা করা যায়।
মুক্তি অভিযোগ করে আরো বলেন, আমার স্বামী এখন যৌতুক চায়। আমার বাবা-মার কাছে সে ৫লাখ টাকা চায়। জামাইরে যতটুকু দেওয়ার বাবা মা তা দেছে। তাতে তার হবেনা। তার আরো বেশি চাই। বাবা-মা এখন অপারগ। তারা কোথা থেকে দেবে।
এদিকে ওই স্বামী সোবহান টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বিয়ের পর ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতাম। করোনার কারণে বেকার হয়ে ৬মাস বাড়ি পড়ে আছি। অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে বাড়ি পড়ে থেকে ডিপ্রেশনের মধ্যে আছি। বিয়ের সময় কথা ছিলো আমরাও কিছু চালাবো, তোমরাও কিছু চালাবা। করোনায় লকডাউনের সময় আমি জোর চাপ দেওয়া ছাড়াই কিছু টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু নির্যাতন করিনি।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে উপজেলার আউনাড়া গ্রামের অলিয়ার সর্দারের ছেলে আলামিন ওরফে সোবহানের সাথে শারমিন আক্তার মুক্তির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মুক্তির বাবা মা সামর্থ অনুযায়ী তার স্বামীকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে। করোনায় বেকার হয়ে পড়ার পর থেকে তার চাহিদা বাড়তে থাকে।
শারমিন আক্তার মুক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমাকে গত রবিবার রাতে খুব মারধর করছে আমার স্বামী। এখন পুরো শরীরে আমার ব্যথা। এক কানে শুনতে পারছি না। আমার মাজায় লাথি মারছে। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় মারপিটের কারণে আমি হাটতে পারছিনা। এক সপ্তাহ আগে আমারে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাকা দেয় স্বামী। তারা আমাকে পনের দিন ধরে প্রচুর নির্যাতন করেছে। ঠিকমত খেতে দেয়নি। আমি নিজে হাতে রান্না করে অন্য ঘরে গেলে তারা খাবার খেয়ে ঘরে তালা দিয়ে রাখে। আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রচুর নির্যাতন করছে যতটা করা যায়।
মুক্তি অভিযোগ করে আরো বলেন, আমার স্বামী এখন যৌতুক চায়। আমার বাবা-মার কাছে সে ৫লাখ টাকা চায়। জামাইরে যতটুকু দেওয়ার বাবা মা তা দেছে। তাতে তার হবেনা। তার আরো বেশি চাই। বাবা-মা এখন অপারগ। তারা কোথা থেকে দেবে।
এদিকে ওই স্বামী সোবহান টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বিয়ের পর ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতাম। করোনার কারণে বেকার হয়ে ৬মাস বাড়ি পড়ে আছি। অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে বাড়ি পড়ে থেকে ডিপ্রেশনের মধ্যে আছি। বিয়ের সময় কথা ছিলো আমরাও কিছু চালাবো, তোমরাও কিছু চালাবা। করোনায় লকডাউনের সময় আমি জোর চাপ দেওয়া ছাড়াই কিছু টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু নির্যাতন করিনি।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।