খেলা
২৪ জনের দলে ১৮ জনই করোনা পজেটিভ
এখন কি করবেন জেমি ডে?
স্পোর্টস রিপোর্টার
৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার, ৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
প্রথম দিনে চারজনের করোনা ধরা পড়ে। গত বৃহস্পতিবার আসে আরো দুঃসংবাদ, নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে আরো সাত ফুটবলারের। দুইদিনে এ পর্যন্ত ২৪ জন ফুটবলারের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনই করোনায় আক্রান্ত। দলের ৪০ শতাংশ ফুটবলার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ক্যাম্প শুরু করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। বাফুফের ডাক্তারও বলছেন এদের সুস্থ হয়ে ক্যাম্পে যোগ দেয়া কঠিন। বিষয়টি মেনে নিয়েছিলেন দলের কোচ জেমি ডে’ও। তবে তখন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাননি এই বৃটিশ কোচ। এ বিষয়ে সকালে জেমি ডে বলেন, ‘আসলে আমি এমনটি আঁচ করেছিলাম। কারণ বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো নয়। অবশ্যই এটা খারাপ খবর। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। এরমধ্যে অনেকে করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে ফিরবে বলেই বিশ্বাস আমার।’ কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার পর যখন আরও ৭ ফুটবলারের দেহে করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর পেয়েছেন এই ইংরেজ কি আতঙ্কিত না হয়ে পারেন?
প্রথম দুই দিনের ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জন করোনা পজিটিভ। কি বলবেন? প্রশ্নটি করতেই জেমি ডে বললেন, ‘হাউ কাম। এ অবস্থায় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। দেখতে হবে আগামী চার-পাঁচদিনে অবস্থাটা কি দাঁড়ায়। তখন আমরা আরও পরিষ্কার চিত্র পাবো।
’আগামী ৮ই অক্টোবর বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচকে ঘিরেই শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। করোনা পজেটিভ হওয়ায় প্রথম দিন ছিটকে গেছেন বিশ্বনাথ ঘোষ, ম্যাথিউস বাবলু, রাসেল ও সুমন রেজা। গত বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছেন টুটুল হোসেন বাদশা, শহীদুল আলম সোহেল, সোহেল রানা, ইব্রাহিম, সুশান্ত ত্রিপুরা, রবিউল হাসান ও আনিসুর রহমান জিকু। অর্থাৎ দুই দিনে ২৪ জনের করোনা পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন ১৩ জন সুস্থ ফুটবলার।
গাজীপুরের সারা রিসোর্টে এই ১৩ ফুটবলার নিজেদের প্রস্তুতি শুরুই করে দিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়াতেই তাদের সেখানে যাওয়া। অথচ একদিনের মধ্যেই দেখতে হলো বিপরীত চিত্র। বিপুল-সুফিলসহ আরও ৭ ফুটবলার ও একজন সহকারী কোচ করোনা পজিটিভ হয়েছেন!
আজ জানা যাবে শেষভাগের সাত ফুটবলারের নিয়তি। শেষ পর্যন্ত কতজনের ক্যাম্পে যোগ দেয়ার সৌভাগ্য হবে, বলা মুশকিল। তবে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে উঠলেও ক্যাম্পে যোগ দেয়াটা কঠিন মনে করেন বাফুফে মেডিকেল কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আলী ইমরান। তিনি বলেন, ‘যাদের সংক্রমণ ধরা পড়েছে তারা ফিট হয়ে কবে মাঠে ফিরতে পারবেন, সেটা বলা মুশকিল। শুধু সংক্রমণমুক্ত হলেই তো হবে না, করোনায় দুর্বল হয়ে পড়া শরীরে আগের সক্ষমতা ফিরে পেতে সময় লাগবে। এদিকে ম্যাচের বাকি আছে মাত্র ৮ থেকে ৯ সপ্তাহ।’
সবমিলিয়ে তিন দফায় মোট ৩১ জন ফুটবলারের গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টের ক্যাম্পে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম দুইদিনে ১৮ জন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে যায় নতুন কোনো খেলোয়াড় নেয়া হবে কিনা। যদিও এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেমি ডে’সহ আরো চার বিদেশি কোচিং স্টাফের ঢাকায় আসার কথা। এরপর আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে ট্রেনিং শুরুর পরিকল্পনা ছিল কোচের। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ঢাকায় আসা নিয়েই খানিকটা দ্বিধা তৈরি হয়েছে জেমির মনে। জেমি ডে বলেন, ‘১৬ তারিখের দিকে আমার ঢাকায় আসার কথা। বাফুফে এখনো টিকিট পাঠায়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে, বাফুফের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’ আরেকটা ভাবনার বিষয় হলো, যে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের শরীরে কোনো উপসর্গই ছিল না। ক্যাম্পের মাঝপথে কেউ আক্রান্ত হলেও বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। আবার যে স্থানটি ক্যাম্পের জন্য চূড়ান্ত করেছে বাফুফে সেটি শুধু ফুটবলারদের জন্য সংরক্ষিত নয়, অন্য কক্ষগুলো উন্মুক্ত থাকবে সাধারণের জন্য। তাতে ঝুঁকি থাকবেই, তা এড়িয়ে চলার দায়িত্ব ক্যাম্পের খেলোয়াড়সহ অন্যদের। কিন্তু দেশের ফুটবলাররাও যে করোনা সুরক্ষা নিয়ম খুব মেনে চলেন, তা বলার উপায় নেই। মহামারির মধ্যেও মামুনুল ইসলামের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলেছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারাও নিশ্চয় অসচেতনার কারণেই হয়েছেন। জাতীয় দলের কোচের কণ্ঠে তাই কঠিন সুর, ‘ফুটবলারদের সব সুরক্ষা নিয়ম মেনে ক্যাম্পে থাকতে হবে। করোনা গাইডলাইন পুরোপুরি মানতে হবে।’ এখন থেকে সুরক্ষা নিয়ম মেনে চললে বিকল্প কাউকে ডাকার দরকার হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা এখনো ১০ সপ্তাহ দূরে। আমাদের জন্য ৬ সপ্তাহ প্রয়োজন হবে খেলোয়াড়দের ফিট করতে। তাই আগামী ১-২ সপ্তাহের মধ্যে খেলোয়াড়রা সুস্থ হয়ে ফিরতে পারবে। তাই নতুন কাউকে ডাকার দরকার হবে না। কাউকে ডাকলে তাদেরও একই অবস্থা হতে পারে। তাছাড়া আমি খুবই আশাবাদী যে, পজেটিভ হওয়া ফুটবলাররা তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
প্রথম দুই দিনের ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জন করোনা পজিটিভ। কি বলবেন? প্রশ্নটি করতেই জেমি ডে বললেন, ‘হাউ কাম। এ অবস্থায় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। দেখতে হবে আগামী চার-পাঁচদিনে অবস্থাটা কি দাঁড়ায়। তখন আমরা আরও পরিষ্কার চিত্র পাবো।
’আগামী ৮ই অক্টোবর বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচকে ঘিরেই শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। করোনা পজেটিভ হওয়ায় প্রথম দিন ছিটকে গেছেন বিশ্বনাথ ঘোষ, ম্যাথিউস বাবলু, রাসেল ও সুমন রেজা। গত বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছেন টুটুল হোসেন বাদশা, শহীদুল আলম সোহেল, সোহেল রানা, ইব্রাহিম, সুশান্ত ত্রিপুরা, রবিউল হাসান ও আনিসুর রহমান জিকু। অর্থাৎ দুই দিনে ২৪ জনের করোনা পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন ১৩ জন সুস্থ ফুটবলার।
গাজীপুরের সারা রিসোর্টে এই ১৩ ফুটবলার নিজেদের প্রস্তুতি শুরুই করে দিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়াতেই তাদের সেখানে যাওয়া। অথচ একদিনের মধ্যেই দেখতে হলো বিপরীত চিত্র। বিপুল-সুফিলসহ আরও ৭ ফুটবলার ও একজন সহকারী কোচ করোনা পজিটিভ হয়েছেন!
আজ জানা যাবে শেষভাগের সাত ফুটবলারের নিয়তি। শেষ পর্যন্ত কতজনের ক্যাম্পে যোগ দেয়ার সৌভাগ্য হবে, বলা মুশকিল। তবে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে উঠলেও ক্যাম্পে যোগ দেয়াটা কঠিন মনে করেন বাফুফে মেডিকেল কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আলী ইমরান। তিনি বলেন, ‘যাদের সংক্রমণ ধরা পড়েছে তারা ফিট হয়ে কবে মাঠে ফিরতে পারবেন, সেটা বলা মুশকিল। শুধু সংক্রমণমুক্ত হলেই তো হবে না, করোনায় দুর্বল হয়ে পড়া শরীরে আগের সক্ষমতা ফিরে পেতে সময় লাগবে। এদিকে ম্যাচের বাকি আছে মাত্র ৮ থেকে ৯ সপ্তাহ।’
সবমিলিয়ে তিন দফায় মোট ৩১ জন ফুটবলারের গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টের ক্যাম্পে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম দুইদিনে ১৮ জন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে যায় নতুন কোনো খেলোয়াড় নেয়া হবে কিনা। যদিও এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেমি ডে’সহ আরো চার বিদেশি কোচিং স্টাফের ঢাকায় আসার কথা। এরপর আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে ট্রেনিং শুরুর পরিকল্পনা ছিল কোচের। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ঢাকায় আসা নিয়েই খানিকটা দ্বিধা তৈরি হয়েছে জেমির মনে। জেমি ডে বলেন, ‘১৬ তারিখের দিকে আমার ঢাকায় আসার কথা। বাফুফে এখনো টিকিট পাঠায়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে, বাফুফের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’ আরেকটা ভাবনার বিষয় হলো, যে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের শরীরে কোনো উপসর্গই ছিল না। ক্যাম্পের মাঝপথে কেউ আক্রান্ত হলেও বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। আবার যে স্থানটি ক্যাম্পের জন্য চূড়ান্ত করেছে বাফুফে সেটি শুধু ফুটবলারদের জন্য সংরক্ষিত নয়, অন্য কক্ষগুলো উন্মুক্ত থাকবে সাধারণের জন্য। তাতে ঝুঁকি থাকবেই, তা এড়িয়ে চলার দায়িত্ব ক্যাম্পের খেলোয়াড়সহ অন্যদের। কিন্তু দেশের ফুটবলাররাও যে করোনা সুরক্ষা নিয়ম খুব মেনে চলেন, তা বলার উপায় নেই। মহামারির মধ্যেও মামুনুল ইসলামের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলেছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারাও নিশ্চয় অসচেতনার কারণেই হয়েছেন। জাতীয় দলের কোচের কণ্ঠে তাই কঠিন সুর, ‘ফুটবলারদের সব সুরক্ষা নিয়ম মেনে ক্যাম্পে থাকতে হবে। করোনা গাইডলাইন পুরোপুরি মানতে হবে।’ এখন থেকে সুরক্ষা নিয়ম মেনে চললে বিকল্প কাউকে ডাকার দরকার হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা এখনো ১০ সপ্তাহ দূরে। আমাদের জন্য ৬ সপ্তাহ প্রয়োজন হবে খেলোয়াড়দের ফিট করতে। তাই আগামী ১-২ সপ্তাহের মধ্যে খেলোয়াড়রা সুস্থ হয়ে ফিরতে পারবে। তাই নতুন কাউকে ডাকার দরকার হবে না। কাউকে ডাকলে তাদেরও একই অবস্থা হতে পারে। তাছাড়া আমি খুবই আশাবাদী যে, পজেটিভ হওয়া ফুটবলাররা তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’