বাংলারজমিন
লোকসান গুনছেন খামার মালিকরা
চলনবিল (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
৩১ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে কোরবানির পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন চলনবিল খামার মালিকরা। লাভের আশায় পশুগুলোকে লালন-পালন করে শেষ পর্যন্ত ক্রেতাসংকট ও সঠিক দাম না পেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, তাড়াশের আট ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০০ পশুর খামার রয়েছে। এ বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব খামারিরা দেশীয় ও ক্রস প্রজাতির প্রায় ২৩ হাজারের মতো পশু মোটাতাজা করেছেন।
সরজমিন দেখা যায়, বেশিরভাগ খামারের শেডের মধ্যে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। খামারিরা পশুগুলো বিক্রি করতে না পেরে বসতবাড়ির উঁচু ভিটায় ও নিকটস্থ সড়কের উপর বেঁধে রেখেছেন। বারুহাস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের আবুল কালাম নামে এক খামারি জানান, তিনি এ বছর ৩০টি গরু মোটাতাজা করেছেন। বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে ক্রেতাসংকট ও সঠিক দাম না পেয়ে আজ অবধি (বুধবার) মাত্র দু’টি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন। তাও লোকসান গুনে। ৮-১০ দিন আগেও তার খামারের যেসব গরুর ৭০-৭৫ হাজার টাকা দাম হতো। অথচ এখন ক্রেতারা সেই সব গরু ১৫-২০ হাজার টাকা কমে কিনতে চাইছেন।
আবুল কালামের মতো খামারি দিদার হোসেন, আব্দুল আহাদ, আব্দুল হালিম, বাবলু মিঞা প্রমুখ অনুরূপ দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে লাভ তো দূরে থাক, গরু বিক্রি করে আসল তুলতে পারবেন কি-না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। তারা আরো বলেন, বন্যার পানিতে খড়ের পালা পচে গেছে। কৃত্রিম গো-খাদ্য দিয়ে গরু পালন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এদিকে সগুনা ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামের খয়বার হোসেন জানান, পেশায় তিনি একজন কৃষক। চাষ আবাদের পাশাপাশি কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তিনটি গরু ও দু’টি ছাগল মোটা-তাজা করেছেন। তবে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারছেন না।
স্থানীয় ব্যাপারী ও মাংসের ব্যবসায়ী সোহান প্রামাণিক জানান, অন্যান্য বছরের মতো পশুর হাটে মৌসুমি ব্যাপারী পশু কিনতে আসছেন না। সপ্তাহখানেক আগেও গরুর মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। এখন ৪০০-৪২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এজেএম সালাউদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগেও যেসব খামারি পশু বিক্রি করেছেন তারা তুলনামূলক ভালো দাম পেয়েছেন। তাদের উচিত পশুগুলো রেখে কোরবানির কিছুদিন পর বিক্রি করা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, তাড়াশের আট ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০০ পশুর খামার রয়েছে। এ বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব খামারিরা দেশীয় ও ক্রস প্রজাতির প্রায় ২৩ হাজারের মতো পশু মোটাতাজা করেছেন।
সরজমিন দেখা যায়, বেশিরভাগ খামারের শেডের মধ্যে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। খামারিরা পশুগুলো বিক্রি করতে না পেরে বসতবাড়ির উঁচু ভিটায় ও নিকটস্থ সড়কের উপর বেঁধে রেখেছেন। বারুহাস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের আবুল কালাম নামে এক খামারি জানান, তিনি এ বছর ৩০টি গরু মোটাতাজা করেছেন। বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে ক্রেতাসংকট ও সঠিক দাম না পেয়ে আজ অবধি (বুধবার) মাত্র দু’টি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন। তাও লোকসান গুনে। ৮-১০ দিন আগেও তার খামারের যেসব গরুর ৭০-৭৫ হাজার টাকা দাম হতো। অথচ এখন ক্রেতারা সেই সব গরু ১৫-২০ হাজার টাকা কমে কিনতে চাইছেন।
আবুল কালামের মতো খামারি দিদার হোসেন, আব্দুল আহাদ, আব্দুল হালিম, বাবলু মিঞা প্রমুখ অনুরূপ দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে লাভ তো দূরে থাক, গরু বিক্রি করে আসল তুলতে পারবেন কি-না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। তারা আরো বলেন, বন্যার পানিতে খড়ের পালা পচে গেছে। কৃত্রিম গো-খাদ্য দিয়ে গরু পালন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এদিকে সগুনা ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামের খয়বার হোসেন জানান, পেশায় তিনি একজন কৃষক। চাষ আবাদের পাশাপাশি কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তিনটি গরু ও দু’টি ছাগল মোটা-তাজা করেছেন। তবে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারছেন না।
স্থানীয় ব্যাপারী ও মাংসের ব্যবসায়ী সোহান প্রামাণিক জানান, অন্যান্য বছরের মতো পশুর হাটে মৌসুমি ব্যাপারী পশু কিনতে আসছেন না। সপ্তাহখানেক আগেও গরুর মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। এখন ৪০০-৪২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এজেএম সালাউদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগেও যেসব খামারি পশু বিক্রি করেছেন তারা তুলনামূলক ভালো দাম পেয়েছেন। তাদের উচিত পশুগুলো রেখে কোরবানির কিছুদিন পর বিক্রি করা।