বাংলারজমিন

দোহার-নবাবগঞ্জে বন্যার্র্তদের পাশে সালমান এফ রহমান

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি

২৮ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন

পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দি লাখো মানুষ। দোহার-নবাবগঞ্জ-মানিকগঞ্জ রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন ২৫টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কালিগঙ্গা নদীর তীব্র স্রোতে নদীগর্ভে চলে গেছে বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। উপজেলার সাদাপুর খালে ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি। ইতিমধ্যে ভাঙন রক্ষায় প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। এছাড়া দোহারে ছয়টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান সার্বক্ষণিক দুই উপজেলার বন্যার্তদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এমপি’র নির্দেশে ইতিমধ্যে দোহারে বন্যাকবলিত এলাকায় শুস্ক খবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সরজমিন দেখা যায়,  পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মার তীরবর্তী নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের তিতপালদিয়া, পানিকাউর, কঠুরি, আশয়পুর, রায়পুর, ঘোষাইল, কেদারপুর, আর রাজাপুর, বালেঙ্গা, কান্তারটেক, খাটবাজার, নয়াডাঙ্গী, চারাখালী ও পশ্চিম সোনাবাজু এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে খাদ্য ও নিরাপদ পানির সংকট। নিরাপদ পানির অভাব থেকে পানিবাহিত নানা ধরনের রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া সৃষ্টি হয় যোগাযোগ সংকটও। নৌকা নিয়েও যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দোহার-নবাবগঞ্জ-মানিকগঞ্জ রক্ষা বাঁধ। পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে উপজেলার হাজার হাজার পরিবার। ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন স্থানীয় কৃষক। বিশেষ করে হঠাৎ পানি এত বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটচাষিরা রয়েছেন বিপদে। পানির নিচে রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ এবং হাট-বাজার। গত এক সপ্তাহ কালিগঙ্গার ভাঙনে শোল্লা ইউনিয়নের পাতিলঝাপ গ্রামের ১৫টি, খতিয়ার ৮টি, চকোরিয়ার ৫টি ও কোণ্ডা গ্রামের ৭টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এছাড়া দোহার উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নয়াবাড়ি, মাহমুদপুর, বিলাসপুর, সুতারপাড়া, নারিশা ও মুকসুদপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি। মিনি কক্সবাজারখ্যাত  মৈনট ঘাট এলাকাটি পদ্মার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পর্যটন এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এছাড়া উপজেলার ধোয়াইর বাজারসহ পূর্ব ও পশ্চিম ধোয়াইর গ্রামের বেশির ভাগ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নারিশা ইউনিয়নের মেঘুলা বাজার, বিলাসপুরের মধুরচর, রানীপুর, কৃষ্ণদেবপুর, রাধানগর, মাহমুদপুরের নারায়ণপুর, হরিচণ্ডী ও মুকসুদপুরের পদ্মাতীরবর্তী অঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব অঞ্চলের মানুষ ঈদ উদযাপনের বদলে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। পদ্মানদী তীরবর্তী এই মানুষগুলো প্রাণ বাঁচতে ও জীবনধারণের জন্য অন্যত্র সরে যাচ্ছে। উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সহ ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে ও দোহার-নবাবগঞ্জ ঢাকা-১ আসনের এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি উন্নয়ন ক্ষাত বিষয়ক উপদেষ্টা শিল্পপতি সালমান এফ রহমান এমপি’র ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল সাঈদ বন্যাদুর্গতদের মাঝে সরজমিন গিয়ে ত্রাণ সয়াহতা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল কর্মকর্তা মেহেদী হাসান রিগ্যান জানান, তাদের পক্ষ থেকেও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ব্লিচিং, সাবান, অস্থায়ী ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল প্রদান করা হচ্ছে। যাতে বন্যাদুর্গতরা তেমন কোনো কষ্টে না থাকে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ঝিলু বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নিচ্ছি। স্থানীয় এমপি সালমান এফ রহমানের নির্দেশে বন্যাদুর্গত পরিবারকে বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়া কালিগঙ্গা নদী ও সাদাপুর খালের ভাঙন রোধে কাজ করছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সরকারের পাশাপাশি আমাদের এমপি সালমান এফ রহমান মহোদয়ের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকেও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যেটা আমরা বন্যাদুর্গতদের মাঝে সরজমিন গিয়ে প্রদান করছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status