বাংলারজমিন
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে ৬ মাসে তিনবার চুরি
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
৯ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
শনাক্তকৃত চোর গ্রেফতার না হওয়ায় কুড়িগ্রামে সরকারি কলেজে ৬ মাসে পরপর তিনবার চুরি সংগঠিত হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ তাদের জানমাল নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। ধরা পড়েনি চোর। কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন জানান, চলতি বছর জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে কলেজের রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে একটি ল্যাপটপ ও গ্যাসসিলিন্ডার চুরি হয়। স্থানীয় জনসাধারণ সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি দেখে চোর হিসেবে মো: সাদ্দাম হোসেন, পিতা: মৃত আহাদ আলী, মাতা: মোছা: রহিমা বেগম, বর্তমান ঠিকানা: কৃষ্ণপুর মৌজার হাসপাতালপাড়া বস্তি ,কুড়িগ্রাম পৌরসভা সনাক্ত করে। কলেজ কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি ও তথ্যাদি কুড়িগ্রাম সদর থানায় জমা দেয়া হয়। কিন্তু সাদ্দাম গ্রেফতার হয়নি। গত ৫ ই জুন শুক্রবার জুমার নামাজের সময় প্রকাশ্য দিবালোকে কলেজের ডরমিটরি ভবন থেকে গ্যাসের চুলা, রাইসকুকার,গ্যাস সিলিন্ডার চুরি হয়ে যায়। সাদ্দাম হোসেনের মা রহিমা বেগম উক্ত ডরমিটরিতে রান্নার কাজ করত। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান তার ছেলে সাদ্দাম এ সকল মালামাল চুরি করেছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসাপতাল পাড়া বস্তির জনৈক মিলন এবং ফারুকের বাসা থেকে উক্ত মালামাল উদ্ধার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং কলেজের নৈশ প্রহরী মো: জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গত ০৭/০৬/২০২০ ইং তারিখ কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা দায়ের করে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মাহফুজুর রহমান উপ পরিদর্শক জনাব মো: আহসান হাবীবকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু অদ্যাবদি কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। এরই মধ্যে ৮ই জুলাই দিবাগত রাতে অত্র কলেজের হিসাব সহকারি মো: জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে রাতে ০১টি ২৪ ইঞ্চি এলইডি টিভি, ১ হর্স পাওয়ার পানির মটর একটি, ফ্যান ৩টি, রাইস কুকার একটি , প্রেসার কুকার, গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিলিন্ডারসহ অন্যান্য আরও ২০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আব্দুল মান্নান জানান প্রত্যেকটি ঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে এবং বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। কলেজ ক্যাম্পাসে বসবাসরত শিক্ষক কর্মচারিগণ উপযুক্ত নিরাপত্তা না পেলে কলেজ ক্যাম্পাসে বসবাস না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য যে, সাদ্দাম হোসেন পুলিশের তালিকায় একজন অপরাধি হিসেবে চিহ্নিত এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আব্দুল মান্নান জানান প্রত্যেকটি ঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে এবং বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। কলেজ ক্যাম্পাসে বসবাসরত শিক্ষক কর্মচারিগণ উপযুক্ত নিরাপত্তা না পেলে কলেজ ক্যাম্পাসে বসবাস না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য যে, সাদ্দাম হোসেন পুলিশের তালিকায় একজন অপরাধি হিসেবে চিহ্নিত এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।