বাংলারজমিন
ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন
বিলীনের আশঙ্কায় চরআলগী গ্রাম
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
৯ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
বাপের কবর নদীতে গেছে। ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, মসজিদও পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এভাবে যেতে থাকলে অল্প কয়েক দিনেই পুরো গ্রামটাই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এভাবেই নিদারুণ কষ্টের কথা বলছিলেন ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের সুজন মিয়া। গত ১৫-১৬ দিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ব্রহ্মপুত্র যেন ফুলে ফেঁপে উঠছে। প্রতিনিয়ত ভাঙছে নদীর দুই পাড়। ভাঙনে নদটির পশ্চিম পাশের চরআলগী গ্রামটির অধিকাংশ ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে অচিরেই পুরো গ্রামটিই তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
সরজমিনে চরআলগী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ফসলি জমি, গোরস্তান, ফল বাগানসহ বসতভিটা নদীতে তলিয়ে গেছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে বসতবাড়ির উঠোনে গিয়ে ঠেকেছে। এতে দুশ্চিন্তায় আছেন লোকজন। এভাবে আর কয়েকদিন গেলে ঘরবাড়িও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। প্রতিনিয়ত নদের পাড় ভাঙছে আর দুশ্চিন্তা বাড়ছে তাদের। ওই গ্রামের জুয়েল মিয়া নামের একজন বলেন, যার পরিবারের গোরস্তান, ফসলি জমি আর বসতভিটা নদীতে তলিয়ে গেছে সেই কেবল জানে এর কষ্টের কথা। প্রতিবছরই এ সময়ে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা কিংবা প্রশাসনের লোকজন অবহেলিত এ গ্রামটিতে আসে না। সবদিক থেকেই অবহেলিত এ গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার।
ফিরোজ আশরাফ শান্ত, মজলু মিয়া ও চাম্পা বেগম নামের ওই গ্রামেরই কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ফসলি জমির আয়েই তাদের পরিবার চলে। কিন্তু এখন তারা নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন। যেভাবে ভাঙন চলছে তাতে ঘরবাড়ি নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। চরআলগী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জার মেম্বার বলেন, এ গ্রামে চার শতাধিক পরিবারের বসবাস। ভাঙনরোধে অচিরেই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ মানবজমিনকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ চরটেকী ও চরআলগী গ্রাম দুটির ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ডিও লেটার দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দক্ষিণ চরটেকী গ্রামের ভাঙনরোধে শিগগিরই আপদকালীন ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি চরআলগী গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন। প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরজমিনে চরআলগী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ফসলি জমি, গোরস্তান, ফল বাগানসহ বসতভিটা নদীতে তলিয়ে গেছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে বসতবাড়ির উঠোনে গিয়ে ঠেকেছে। এতে দুশ্চিন্তায় আছেন লোকজন। এভাবে আর কয়েকদিন গেলে ঘরবাড়িও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। প্রতিনিয়ত নদের পাড় ভাঙছে আর দুশ্চিন্তা বাড়ছে তাদের। ওই গ্রামের জুয়েল মিয়া নামের একজন বলেন, যার পরিবারের গোরস্তান, ফসলি জমি আর বসতভিটা নদীতে তলিয়ে গেছে সেই কেবল জানে এর কষ্টের কথা। প্রতিবছরই এ সময়ে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা কিংবা প্রশাসনের লোকজন অবহেলিত এ গ্রামটিতে আসে না। সবদিক থেকেই অবহেলিত এ গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার।
ফিরোজ আশরাফ শান্ত, মজলু মিয়া ও চাম্পা বেগম নামের ওই গ্রামেরই কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ফসলি জমির আয়েই তাদের পরিবার চলে। কিন্তু এখন তারা নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন। যেভাবে ভাঙন চলছে তাতে ঘরবাড়ি নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। চরআলগী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জার মেম্বার বলেন, এ গ্রামে চার শতাধিক পরিবারের বসবাস। ভাঙনরোধে অচিরেই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ মানবজমিনকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ চরটেকী ও চরআলগী গ্রাম দুটির ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ডিও লেটার দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দক্ষিণ চরটেকী গ্রামের ভাঙনরোধে শিগগিরই আপদকালীন ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি চরআলগী গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন। প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।