বাংলারজমিন
বাসাইলে স্বাস্থ্যবিধি মানছে কেউ প্রশাসনের কড়া নজরদারির প্রত্যাশা
বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
৬ জুলাই ২০২০, সোমবার, ৭:২৮ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের বাসাইলে স্বাস্থ্যবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইচ্ছামতো চলাচল করছে অধিকাংশ মানুষ। সকাল হবার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় রাস্তাঘাট, চা-স্টল, হাটবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দৈনন্দিন চলাফেরা ও কেনাকাটার দৃশ্য এখন খুবই স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সাপ্তাহিক হাটবার এবং প্রতিদিনের বাজার সময়টা দেখলে মনে হবে, সব যেন আগের মতো স্বাভাবিক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহারের ওপর সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও এ উপজেলার বেশির ভাগ লোকজন এটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে। স্থানীয় সচেতন মহল এক্ষেত্রে জেল জরিমানাসহ প্রশাসনের কড়া নজরদারি প্রত্যাশা করছেন।
গতকাল সরজমিনে বাসাইল পৌর এলাকাসহ কাঞ্চনপুর চৌরাস্তা, মাদ্রাসা বাজার, বিলপাড়া, নাকাসিম, নাইকানীবাড়ি বাজার, চাপড়াবিল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হাতেগোনা দু-একজন ছাড়া কারো মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। স্বল্পসংখ্যক লোকই যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন, এদের কেউ কেউ আবার মুখে না পরে গলায় বা কানে ঝুলিয়ে রেখেছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া চলাচলের তালিকার প্রথম সারিতে রয়েছে সিএনজিচালিত অটো, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটো (বুরাক)। করোনার কারণে সিএনজিতে যাত্রী কমিয়ে ভাড়া বাড়ানো হলেও তারা আগের গতিতেই যাত্রী বহন করছে। অটোরিকশাগুলো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পাঁচ থেকে ছয়জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া চা-স্টলগুলোতে গাদাগাদি করে আড্ডা দেয়ার চিত্রও আগের মতই বেড়ে গেছে। এদিকে বাসাইলে করোনা পজেটিভের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। মাস্ক ব্যবহার না করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং ছয় মাসের কারাদ- প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন আইনের যথাযথ প্রয়োগের দিকটিতে গুরুত্ব কম দেয়ায় করোনার ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সচেতন সংশ্লিষ্টরা।
বাসাইল উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি এবং পৌরমেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ বলেন, দৈনন্দিন কাজে পৌরসভায় যাতায়াতকারী সকলকে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহারের জন্য আমরা উদ্বুদ্ধ করে আসছি। জেল জরিমানা করার এখতিয়ার আমাদের নেই, যেটা উপজেলা প্রশাসনের রয়েছে। শুরুর দিকে উপজেলা প্রশাসন সংক্রমণ রোধে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রচার প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালালেও বর্তমানে এসব প্রচারণা থামিয়ে না দিয়ে চলমান রাখলে ভালো হতো।
বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত বাসাইলে ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন সুস্থ হয়েছে। ভয়ের ব্যাপার হলো মানুষ স্বাস্থ্যবিধি গুরুত্ব দিচ্ছে না। তুলনামূলকভাবে অন্য উপজেলার চেয়ে বাসাইলে আক্রান্ত এবং মৃত্যু কম হলেও নতুন করে কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেই। নিজ দায়িত্বে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, আমাদের এলাকা লকডাউন এলাকা না হওয়ায় মার্কেট বা হাটবাজার বন্ধ করে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করছি। এরপরও যারা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
গতকাল সরজমিনে বাসাইল পৌর এলাকাসহ কাঞ্চনপুর চৌরাস্তা, মাদ্রাসা বাজার, বিলপাড়া, নাকাসিম, নাইকানীবাড়ি বাজার, চাপড়াবিল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হাতেগোনা দু-একজন ছাড়া কারো মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। স্বল্পসংখ্যক লোকই যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন, এদের কেউ কেউ আবার মুখে না পরে গলায় বা কানে ঝুলিয়ে রেখেছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া চলাচলের তালিকার প্রথম সারিতে রয়েছে সিএনজিচালিত অটো, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটো (বুরাক)। করোনার কারণে সিএনজিতে যাত্রী কমিয়ে ভাড়া বাড়ানো হলেও তারা আগের গতিতেই যাত্রী বহন করছে। অটোরিকশাগুলো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পাঁচ থেকে ছয়জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া চা-স্টলগুলোতে গাদাগাদি করে আড্ডা দেয়ার চিত্রও আগের মতই বেড়ে গেছে। এদিকে বাসাইলে করোনা পজেটিভের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। মাস্ক ব্যবহার না করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং ছয় মাসের কারাদ- প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন আইনের যথাযথ প্রয়োগের দিকটিতে গুরুত্ব কম দেয়ায় করোনার ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সচেতন সংশ্লিষ্টরা।
বাসাইল উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি এবং পৌরমেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ বলেন, দৈনন্দিন কাজে পৌরসভায় যাতায়াতকারী সকলকে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহারের জন্য আমরা উদ্বুদ্ধ করে আসছি। জেল জরিমানা করার এখতিয়ার আমাদের নেই, যেটা উপজেলা প্রশাসনের রয়েছে। শুরুর দিকে উপজেলা প্রশাসন সংক্রমণ রোধে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রচার প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালালেও বর্তমানে এসব প্রচারণা থামিয়ে না দিয়ে চলমান রাখলে ভালো হতো।
বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত বাসাইলে ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন সুস্থ হয়েছে। ভয়ের ব্যাপার হলো মানুষ স্বাস্থ্যবিধি গুরুত্ব দিচ্ছে না। তুলনামূলকভাবে অন্য উপজেলার চেয়ে বাসাইলে আক্রান্ত এবং মৃত্যু কম হলেও নতুন করে কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেই। নিজ দায়িত্বে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, আমাদের এলাকা লকডাউন এলাকা না হওয়ায় মার্কেট বা হাটবাজার বন্ধ করে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করছি। এরপরও যারা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।