দেশ বিদেশ
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা
সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টেরেন্টের রায় শুরু ২৪শে আগস্ট থেকে
মানবজমিন ডেস্ক
৬ জুলাই ২০২০, সোমবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
কুখ্যাত সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টেরেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণার শুনানি শুরু আগামী ২৪শে আগস্ট সোমবার। চূড়ান্তভাবে তার বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণার শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডার। সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টেরেন্ট ২০১৯ সালের ১৫ই মার্চ ক্রাইস্টচার্চে আল নূর এবং লিনউড মসজিদে জুমার নামাজ আদায়কালে সেখানে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ সময়ে ফেসবুকে তার নৃশংসতা সরাসরি সম্প্রচার করে। এতে বাংলাদেশি সহ কমপক্ষে ৫১ জন মুসল্লি নিহত হন। অল্পের জন্য সেদিন রক্ষা পায় নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। টেরেন্টের সেই হত্যাকাণ্ডে সারা পৃথিবী তোলপাড় হয়। শোকের ছায়া নেমে আসে বাংলাদেশেও। শোকে মুষড়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ ও মুসলিম বিশ্ব। নিন্দা জানানো হয় সারা বিশ্ব থেকে। এ সময় নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত মুসলিমদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডেন। তিনি মুসলিমদের রীতিনীতি অনুসরণ করে তাদেরকে বুকে টেনে নেন। তাদেরকে সান্ত্বনা দেন। এতে বিশ্বজুড়ে তিনি প্রশংসিত হন। পরে তিনি নিউজিল্যান্ডে অস্ত্র আইন করেন।
নিউজিল্যান্ডের সরকারি রেডিও আরএনজেডের অনলাইনে এ খবর দিয়ে বলা হয়েছে, অনেক দেরিতে গত মার্চে ওই হামলায় ৫১ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করে ব্রেন্টন টেরেন্ট। এর মধ্যে ৪০টি এটেম্পটেড মার্ডার এবং একটি টেরোরিজম সাপ্রেশন অ্যাক্টের অধীনে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ক্যামেরন ম্যান্ডার এক ঘোষণায় বলেন, টেরেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণার শুনানি শুরু হবে ২৪শে আগস্ট সোমবার নিউজিল্যান্ডের সময় সকাল ১০টায়। এত দেরিতে কেন এই বিচার? এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিচারপতি ম্যান্ডার। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে নিউজিল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এ কারণে, ওই হামলায় হতাহতদের বিদেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যরা নিউজিল্যান্ডে ফিরতে সক্ষম ছিলেন না। তাদের উপস্থিতিতে বিচারক এই মামলার রায় ঘোষণা করতে চান। সেজন্য পরিবারের সদস্যরা যাতে বিচারে উপস্থিত থাকতে পারেন, এমন অনুকূল পরিবেশের জন্য বিচার বিলম্বিত করা হয়েছে। বর্তমানে যেসব ব্যক্তির নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব আছে, শুধু তারাই সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন। ইমিগ্রেশন নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে আইন মন্ত্রণালয়। যারা নিউজিল্যান্ডের নাগরিক নন, তাদেরকে নিউজিল্যান্ডে ফেরার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে কিনা- এমন সিদ্ধান্তের জন্য এই অপেক্ষা। বিচারপতি ম্যান্ডার বলেছেন, ইমিগ্রেশন নিউজিল্যান্ড এখনো হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে ব্যতিক্রমী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয় নি।
বিচারক ম্যান্ডার বলেছেন, আমি এ সম্পর্কে অবহিত যে, আদালতে দীর্ঘায়িত বিচার প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা ক্লান্তি এবং হতাশায় ভুগছেন। তাদের প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত সম্ভাব্য দ্রুততার সঙ্গে এই বিচার হওয়া উচিত। তাই চূড়ান্তভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি আনার জন্য উত্তম ব্যবস্থার কথা ভাবছেন অনেকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে কবে সীমান্ত উন্মুক্ত হবে তা নিয়ে এত অনিশ্চয়তার মধ্যে বিচারক ম্যান্ডার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামী ২৪শে আগস্ট শাস্তি ঘোষণার শুনানি হবে। তিনি বলেছেন, শাস্তি ঘোষণার তারিখ স্থির করার মাধ্যমে কিছুটা নিশ্চয়তা ফিরবে ভিকটিম এবং তাদের পরিবারগুলোর মধ্যে। সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টেরেন্ট মার্চে দোষ স্বীকার করলেও শাস্তি ঘোষণার জন্য এসব পরিবার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য দু’মাসের বেশি সময় পাবেন। এ সময়ে তারা নিউজিল্যান্ডে গেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে থাকতে হবে।
নিউজিল্যান্ডের সরকারি রেডিও আরএনজেডের অনলাইনে এ খবর দিয়ে বলা হয়েছে, অনেক দেরিতে গত মার্চে ওই হামলায় ৫১ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করে ব্রেন্টন টেরেন্ট। এর মধ্যে ৪০টি এটেম্পটেড মার্ডার এবং একটি টেরোরিজম সাপ্রেশন অ্যাক্টের অধীনে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ক্যামেরন ম্যান্ডার এক ঘোষণায় বলেন, টেরেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণার শুনানি শুরু হবে ২৪শে আগস্ট সোমবার নিউজিল্যান্ডের সময় সকাল ১০টায়। এত দেরিতে কেন এই বিচার? এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিচারপতি ম্যান্ডার। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে নিউজিল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এ কারণে, ওই হামলায় হতাহতদের বিদেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যরা নিউজিল্যান্ডে ফিরতে সক্ষম ছিলেন না। তাদের উপস্থিতিতে বিচারক এই মামলার রায় ঘোষণা করতে চান। সেজন্য পরিবারের সদস্যরা যাতে বিচারে উপস্থিত থাকতে পারেন, এমন অনুকূল পরিবেশের জন্য বিচার বিলম্বিত করা হয়েছে। বর্তমানে যেসব ব্যক্তির নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব আছে, শুধু তারাই সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন। ইমিগ্রেশন নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে আইন মন্ত্রণালয়। যারা নিউজিল্যান্ডের নাগরিক নন, তাদেরকে নিউজিল্যান্ডে ফেরার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে কিনা- এমন সিদ্ধান্তের জন্য এই অপেক্ষা। বিচারপতি ম্যান্ডার বলেছেন, ইমিগ্রেশন নিউজিল্যান্ড এখনো হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে ব্যতিক্রমী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয় নি।
বিচারক ম্যান্ডার বলেছেন, আমি এ সম্পর্কে অবহিত যে, আদালতে দীর্ঘায়িত বিচার প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা ক্লান্তি এবং হতাশায় ভুগছেন। তাদের প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত সম্ভাব্য দ্রুততার সঙ্গে এই বিচার হওয়া উচিত। তাই চূড়ান্তভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি আনার জন্য উত্তম ব্যবস্থার কথা ভাবছেন অনেকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে কবে সীমান্ত উন্মুক্ত হবে তা নিয়ে এত অনিশ্চয়তার মধ্যে বিচারক ম্যান্ডার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামী ২৪শে আগস্ট শাস্তি ঘোষণার শুনানি হবে। তিনি বলেছেন, শাস্তি ঘোষণার তারিখ স্থির করার মাধ্যমে কিছুটা নিশ্চয়তা ফিরবে ভিকটিম এবং তাদের পরিবারগুলোর মধ্যে। সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টেরেন্ট মার্চে দোষ স্বীকার করলেও শাস্তি ঘোষণার জন্য এসব পরিবার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য দু’মাসের বেশি সময় পাবেন। এ সময়ে তারা নিউজিল্যান্ডে গেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে থাকতে হবে।