এক্সক্লুসিভ

সংস্কারবিহীন রাস্তায় বড়বাইশদিয়াবাসীর ভোগান্তি

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

৫ জুলাই ২০২০, রবিবার, ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

 পটুয়াখালীর সাগর উপকূলীয় রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়কই কাঁচা। দীর্ঘদিনেও সড়ক উন্নয়ন করা হয়নি। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যায় মাটির রাস্তা। এ কারণে ভোগান্তিতে রয়েছে ওই ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। পাকা রাস্তা না থাকায় জনবসতির শুরু থেকে অদ্যাবধি মাটির রাস্তায় চলাচল করছেন তারা। মেরামতের অভাবে তাও এখন চলাচল অযোগ্য। মেরামত করে চলাচল যোগ্য করে তোলার প্রত্যাশা স্থানীয়দের। সরজমিন ঘুরে রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর থেকে কলাপাড়া উপজেলায় যেতে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের গাইয়াপাড়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত একটি মাত্র রাস্তা। খালগোড়া বাজার খেয়াঘাট থেকে চরগঙ্গা ক্লোজারের উপর দিয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে গাইয়াপাড়া লঞ্চঘাটে গিয়ে রাস্তাটি শেষ হয়। অপর দিকে ক্লোজারের পশ্চিম পাড় দিয়ে এই রাস্তা থে?কে অপর একটি রাস্তা কাটাখালী গ্রাম হয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বড়বাইশদিয়া এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই দুটি রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। দীর্ঘ কয়েক যুগ আগে নির্মিত এই মাটির রাস্তা কখনো পুনঃসংস্কার হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে চলতি বছর রাঙ্গাবালী সরকারি কলেজ সংলগ্ন সাইক্লোন শেল্টার নির্মিত হওয়ায় খালগোড়া খেয়াঘাট থেকে শুরু করে ২ কিলোমিটার কানেকটিং রোড হিসেবে পাকা করা হয়। বাকি প্রায় ৬ কিলোমিটার বেহাল অবস্থায়ই রয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, শুকনো মৌসুমে যাতায়াত ব্যবস্থা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও টমটম ব্যবহার হয়। অনেক কষ্টে ভাঙাচুরা রাস্তায় বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করে এলাকার মানুষ। বর্ষা শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় ওই সব বাহন। মানুষকে চলাচল করতে হয় পায়ে হেঁটে। সামান্য বৃষ্টির হলে কাদামাটিতে একাকার হয়ে যাতায়াত অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তাগুলো। ইউনিয়নের চারদিকে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ থাকলেও মেরামতের অভাবে মাঝেমাঝে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। উচ্চতার দিক দিয়েও তা যথেষ্ট নয়। মাঝেমাঝে এতো নিচু যে, প্রাকৃতিক যেকোনো দুর্যোগে, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি একটু বেশি হলে তলিয়ে যায় বেড়িবাঁধ। লোনা পানি ঢুকে যায় ফসলি জমিতে। যেমনটা ঘটেছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানেও। চরগঙ্গা বাজারের রাস্তায় নির্মিত স্লুইস গেটের দু’পাশে অন্তত ৩০০ মিটারের মতো রাস্তা তলিয়ে পানি ঢুকে যায় গোটা এলাকায়। বড়বাইশদিয়া ইউপি সদস্য মো. সোনা মিয়া জানান, রাঙ্গাবালী এবং কলাপাড়া উপজেলায় যাতায়াত করতে হয় বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে। এখানের রাস্তাঘাট অনুন্নত থাকায় এই উপজেলার মানুষকে খুব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ও সোনারচর যেতে হয় এই পথ দিয়ে। এদিকে বড়বাইশদিয়ার অপর পাশেই পায়রা সমুদ্রবন্দর। সেখানে যেতে হলেও এই পথ পার হতে হয়। সবদিক বিবেচনায় এই সড়কগুলো অতিদ্রুত উন্নয়ন করা দরকার। বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হাসানাত আব্দুল্লাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন পাঠিয়েছি বহুবার। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। তবে সরকার এখন যেভাবে উন্নয়নের কাজ করছে, তাতে কোনো রাস্তাই অনুন্নত থাকার কথা নয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status