বিশ্বজমিন
রেমডিসিভিরের বৈশ্বিক সরবরাহের প্রায় পুরোটাই কিনে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
১ জুলাই ২০২০, বুধবার, ৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডিসিভিরের বৈশ্বিক সরবরাহের প্রায় পুরোটাই কিনে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওষুধটির অন্যতম প্রধান উৎপাদনকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড সায়েন্সেস। ধনী দেশগুলোর জন্য রোগী প্রতি ওষুধটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩৪০ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি আগামী তিন মাসে উৎপাদিত রেমডিসিভিরের সকল ডোজ যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে সম্মত হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো আগামী অক্টোবরের আগে রেমডিসিভির পাবে না। লিভারপুল ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো ড. অ্যান্ড্রিও হিলেও বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে স্কাই নিউজ।
হিল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গিলিয়াড সায়েন্সের চুক্তিটির মানে হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের করোনা রোগীরা রেমডিসিভির পাবে না। উল্লেখ্য, রেমডিসিভির গ্রহণে করোনা রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন ও তাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। হিল জানান, আপাতত আগামী তিন মাস পর্যন্ত আমাদের জন্য কোনো রেমডিসিভির সরবরাহ হবে না।
বাংলাদেশের একাধিক প্রতিষ্ঠানর রেমডিসিভিরের জেনেরিক সংস্করণ উৎপাদন করছে। নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর এক্ষেত্রে উৎপাদনের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু সেগুলো ইউরোপে বিক্রি করার অনুমোদন নেই তাদের। যার ফলে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহ না পেলে, আপাতদৃষ্টিতে ইউরোপীয় দেশগুলোর পক্ষে রেমডিসিভির পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে দেশগুলোকে। হিল জানান, যুক্তরাজ্য চাইলে একটি ‘বাধ্যতামূলক লাইসেন্স’ জারি করতে পারে। এতে বৃটিশ সরকার ভারত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ থেকে ওষুধটি আমদানি করতে পারবে। এছাড়া, বৃটিশ জনগণ চাইলে ব্যক্তি পর্যায়ে যেকোনো দেশ থেকে ওষুধটি কিনতে পারবে, সেক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই।
আগামী তিন মাসের জন্য গিলিয়াডের উৎপাদিত সকল রেমডিসিভির কিনে নিয়ে ইউরোপসহ অন্যান্য ধনী দেশগুলোর রোগীদের ওষুধটি থেকে বঞ্চিত করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওষুধটি একচ্ছত্রভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রেখেছে। হিল বলেন, একটি টিকা আবিষ্কার হলে কী হবে? কী হবে যদি সেটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়?
হিল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গিলিয়াড সায়েন্সের চুক্তিটির মানে হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের করোনা রোগীরা রেমডিসিভির পাবে না। উল্লেখ্য, রেমডিসিভির গ্রহণে করোনা রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন ও তাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। হিল জানান, আপাতত আগামী তিন মাস পর্যন্ত আমাদের জন্য কোনো রেমডিসিভির সরবরাহ হবে না।
বাংলাদেশের একাধিক প্রতিষ্ঠানর রেমডিসিভিরের জেনেরিক সংস্করণ উৎপাদন করছে। নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর এক্ষেত্রে উৎপাদনের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু সেগুলো ইউরোপে বিক্রি করার অনুমোদন নেই তাদের। যার ফলে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহ না পেলে, আপাতদৃষ্টিতে ইউরোপীয় দেশগুলোর পক্ষে রেমডিসিভির পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে দেশগুলোকে। হিল জানান, যুক্তরাজ্য চাইলে একটি ‘বাধ্যতামূলক লাইসেন্স’ জারি করতে পারে। এতে বৃটিশ সরকার ভারত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ থেকে ওষুধটি আমদানি করতে পারবে। এছাড়া, বৃটিশ জনগণ চাইলে ব্যক্তি পর্যায়ে যেকোনো দেশ থেকে ওষুধটি কিনতে পারবে, সেক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই।
আগামী তিন মাসের জন্য গিলিয়াডের উৎপাদিত সকল রেমডিসিভির কিনে নিয়ে ইউরোপসহ অন্যান্য ধনী দেশগুলোর রোগীদের ওষুধটি থেকে বঞ্চিত করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওষুধটি একচ্ছত্রভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রেখেছে। হিল বলেন, একটি টিকা আবিষ্কার হলে কী হবে? কী হবে যদি সেটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়?