এক্সক্লুসিভ
ক্রেতা সংকটে শপিংমল ও বিপণি বিতান
আলতাফ হোসেন
৫ জুন ২০২০, শুক্রবার, ৭:১৭ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর শপিংমল ও বিপণি বিতানগুলো খোলা হলেও ক্রেতা সংকটে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। বেচাবিক্রি না হওয়ায় হতাশার মধ্যে রয়েছেন তারা। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল খোলার কথা বলা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। গতকাল রাজধানীর নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুল ও পান্থপথসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটের সব দোকানপাটগুলো খোলা থাকলেও ছিলো ক্রেতাশূন্য। ঈদের আগে কিছুটা বেচাবিক্রি হলেও ঈদের পর থেকে দোকান কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন। ক্রেতা না থাকায় মালিক ও কর্মচারিরা দুপুরের দিকেই দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। তবে শপিংমলে প্রবেশ পথে তাপমাত্রা মাপা মেশিন ও জীবাণুনাশক স্প্রে হাতে নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। প্রবেশের সময় তাপমাত্রা মেপে ক্রেতাদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার প্রায় সব মার্কেট এবং ছোট-বড় বিপণি বিতানগুলো খোলা দেখা গেলেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিলো কম। কিছু পথচারীদের চলতি পথে শপিং করতে দেখা যায়। নিউমার্কেটের মার্কেটের কারিগর গার্মেন্টস এর মালিক আতাউর রহমান বলেন, লকডাউন থাকায় গত দুই মাসে ব্যবসায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন মার্কেট খুললেও ক্রেতার দেখা নাই। বেচাবিক্রিও নেই। অবসরে বসে আছি। মাঝেমধ্যে দুই-একজন ক্রেতা আসে তাও ফিরে যায়। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।
মোতালেব প্লাজার মোবাইল এক্সেসরিজের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ক্রেতা খুবই কম আসছে। ঈদের পর অনেকে ঢাকায় এখনো আসেনি। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ক্রেতারা মার্কেটে আসে না হয়তো। ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে, এতে ক্রেতা আরো কমে যাবে। একেবারে জরুরি না হলে কেউ মার্কেটে আসছেন না।
ইষ্টার্ন প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী হাবিবুর বলেন, ঈদের পর এমনিতেই ক্রেতা কিছুটা কম আসে। তবে আগের বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা খুবই কম। এমনিতেই ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে হলে বেচাবিক্রি নিয়মিত হতে হবে। কিন্তু যে অবস্থা দেখছি তাতে আমাদের অবস্থা আরো খারাপ হওয়ার শঙ্কা করছি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে পথে বসতে হবে। এবার ঈদে যে ব্যবসা হয়েছে তাতে কর্মচারিদের বেতন, দোকান ভাড়া দিয়ে কিছুই থাকে না। তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমার কর্মচারিরা সবাই মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে কাজ করছে।
নাহার প্লাজার প্রিয় কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী আলামিন বলেন, আগের তুলনায় বর্তমানে ২০ শতাংশও বিক্রি হচ্ছে না। কম্পিউটার সার্ভিসিংয়ের জন্য কেউ কেউ আসছেন। সেটা খুবই কম। অল্প সময়ের জন্য দোকান খুলি, তাও অবসর বসে থাকতে হয়। নাহার প্লাজায় কম্পিউটার সার্ভিসিং করতে আসা রাকিব হাসান বলেন, ঈদে বাড়ি গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে গতকাল অফিস থেকে বলছে বাসা থেকে অফিসের সব কাজ করতে হবে। তাই নষ্ট কম্পিউটারটা ঠিক করতে আসছি। এছাড়া এই এলাকাগুলোতে রাস্তার দুই পাশের দোকানগুলোও খোলা দেখা যায়, তবে ক্রেতা নেই। বাংলামোটর ও হাতিরপুল এলাকায় টাইলসের মার্কেট ও রাস্তার পাশে দোকানগুলোও খোলা। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় তাদেরকেও অবসর বসে থাকতে দেখা যায়।
বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার প্রায় সব মার্কেট এবং ছোট-বড় বিপণি বিতানগুলো খোলা দেখা গেলেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিলো কম। কিছু পথচারীদের চলতি পথে শপিং করতে দেখা যায়। নিউমার্কেটের মার্কেটের কারিগর গার্মেন্টস এর মালিক আতাউর রহমান বলেন, লকডাউন থাকায় গত দুই মাসে ব্যবসায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন মার্কেট খুললেও ক্রেতার দেখা নাই। বেচাবিক্রিও নেই। অবসরে বসে আছি। মাঝেমধ্যে দুই-একজন ক্রেতা আসে তাও ফিরে যায়। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।
মোতালেব প্লাজার মোবাইল এক্সেসরিজের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ক্রেতা খুবই কম আসছে। ঈদের পর অনেকে ঢাকায় এখনো আসেনি। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ক্রেতারা মার্কেটে আসে না হয়তো। ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে, এতে ক্রেতা আরো কমে যাবে। একেবারে জরুরি না হলে কেউ মার্কেটে আসছেন না।
ইষ্টার্ন প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী হাবিবুর বলেন, ঈদের পর এমনিতেই ক্রেতা কিছুটা কম আসে। তবে আগের বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা খুবই কম। এমনিতেই ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে হলে বেচাবিক্রি নিয়মিত হতে হবে। কিন্তু যে অবস্থা দেখছি তাতে আমাদের অবস্থা আরো খারাপ হওয়ার শঙ্কা করছি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে পথে বসতে হবে। এবার ঈদে যে ব্যবসা হয়েছে তাতে কর্মচারিদের বেতন, দোকান ভাড়া দিয়ে কিছুই থাকে না। তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমার কর্মচারিরা সবাই মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে কাজ করছে।
নাহার প্লাজার প্রিয় কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী আলামিন বলেন, আগের তুলনায় বর্তমানে ২০ শতাংশও বিক্রি হচ্ছে না। কম্পিউটার সার্ভিসিংয়ের জন্য কেউ কেউ আসছেন। সেটা খুবই কম। অল্প সময়ের জন্য দোকান খুলি, তাও অবসর বসে থাকতে হয়। নাহার প্লাজায় কম্পিউটার সার্ভিসিং করতে আসা রাকিব হাসান বলেন, ঈদে বাড়ি গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে গতকাল অফিস থেকে বলছে বাসা থেকে অফিসের সব কাজ করতে হবে। তাই নষ্ট কম্পিউটারটা ঠিক করতে আসছি। এছাড়া এই এলাকাগুলোতে রাস্তার দুই পাশের দোকানগুলোও খোলা দেখা যায়, তবে ক্রেতা নেই। বাংলামোটর ও হাতিরপুল এলাকায় টাইলসের মার্কেট ও রাস্তার পাশে দোকানগুলোও খোলা। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় তাদেরকেও অবসর বসে থাকতে দেখা যায়।