নবীনগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, গ্রেপ্তার-১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে দুইপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ইউপি সদস্যসহ ১২ জনকে আটক করছে। এলাকায় লুটপাট ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নবীনগর থানায় কোনো মামলা হয়নি। জানা যায়, উপজেলার সাহেবনগর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আজ বুধবার সকালে রিপন মিয়া ও নান্নু মিয়ার দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলেনÑ রব্বানি মিয়া (৪৫), কাউছার মিয়া (৩৮), কালু মিয়া (৪২), হাফিজ মিয়া (৪৬), জাহাঙ্গীর মিয়া (৪১), আওয়াল মিয়া (৪০), সামদানি (৩১), শামীম মিয়া (২৯), ওবায়দুল্লাহ (৩৩) ও এনাম মিয়া (৫০)।
এ ঘটনায় নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনায় জড়িত শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আতিকসহ উভয়পক্ষের ১২ জনকে আটক করেছেন। এলাকায় লুটপাটের ঘটনা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে পুকুরে মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র সাহেবনগর বাজারে  হোসেন আলী বাড়ির মোহাম্মদ রব্বানি মিয়াকে মাইনুদ্দিন বাড়ির আপন মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার লোকজন মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন জানান, এ ঘটনায় আমরা একজন ইউপি সদস্যসহ ১২ জনকে আটক করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মামলার বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমাদের নিকট কেউ এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।