বাংলারজমিন
মেয়ের সাফল্য দেখে যেতে পারেননি সবুজ মাস্টার
পাকুন্দিয়া(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি
২ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:৫১ পূর্বাহ্ন
মেয়েকে ডাক্তার বানানোর বুক ভরা আশা নিয়ে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন পিতা একেএম সাইফুল আলম সবুজ। সেজন্য প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কোচিং সেন্টার থেকে শুরু করে বিদ্যালয় পর্যন্ত মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ছুঁটাছুটি করতেন। কঠোর পরিশ্রমের পর মেয়ে সাঈদা আফরিন অর্পিতা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাকুন্দিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫পেয়েছে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তিনি মেয়ের এমন সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। ৭দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে মঙলবার ভোর ৫টা ৩০মিনিটে তিনি মারা যান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একেএম সাইফুল আলম সবুজ গত ২৬মে মঙলবার ভোর ৪টা ৩০মিনিটে পাকুন্দিয়া পৌরসদরের ভাড়া বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করেন। পরে তাঁকে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ৭দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙলবার (২জুন) ভোর সাড়ে ৫টায় মারা যান। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে মেয়ে সাঈদা আফরিন অর্পিতাসহ তাঁর মা বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একেএম সাইফুল আলম সবুজ (৫৫) পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নের মানুল্লারচর হাজীবাড়ি নিবাসী মরহুম আবদুস সামাদের বড় ছেলে। তিনি পাকুন্দিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তান, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ মঙলবার বেলা ৩টায় তারাকান্দি শফিউল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
সাইফুল আলম সবুজের ভগ্নিপতি এম.হুমায়ুন কবীর বলেন, মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য রাতদিন কতই না পরিশ্রম করে গেছেন। কিন্তু মেয়ের সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। মেয়ের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগেই তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একেএম সাইফুল আলম সবুজ গত ২৬মে মঙলবার ভোর ৪টা ৩০মিনিটে পাকুন্দিয়া পৌরসদরের ভাড়া বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করেন। পরে তাঁকে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ৭দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙলবার (২জুন) ভোর সাড়ে ৫টায় মারা যান। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে মেয়ে সাঈদা আফরিন অর্পিতাসহ তাঁর মা বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একেএম সাইফুল আলম সবুজ (৫৫) পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নের মানুল্লারচর হাজীবাড়ি নিবাসী মরহুম আবদুস সামাদের বড় ছেলে। তিনি পাকুন্দিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তান, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ মঙলবার বেলা ৩টায় তারাকান্দি শফিউল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
সাইফুল আলম সবুজের ভগ্নিপতি এম.হুমায়ুন কবীর বলেন, মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য রাতদিন কতই না পরিশ্রম করে গেছেন। কিন্তু মেয়ের সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। মেয়ের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগেই তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।