বিশ্বজমিন

চীন-ভারত মুখোমুখি

দক্ষিণ এশিয়া উদ্বেগে

নিজস্ব প্রতিনিধি

১ জুন ২০২০, সোমবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে উত্তপ্ত কাশ্মীরের লাদাখ সীমান্তে ইন্দো-চীন সামরিক বাহিনী মুখোমুখি। বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। দোকলাম কাণ্ডের পর একটা বিরতিকাল কেটেছে। কিন্তু করোনোকালে পরিস্থিতি হঠাৎ করেই পাল্টে গেল। এই ঘোরতর দুর্দিনে এরকম উত্তেজনার পারদ চড়তে পারে, সেটা অনেকেরই ধারণার বাইরে ছিল।

দি ইকনোমিস্ট লিখেছে, ভারত–চীন সীমান্তে সামরিক টেনশন চরমে। চলতি মাসের গোড়ায় লাদাখের পাংগং লেকে দুই দেশের সৈন্যরা মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি হল, তখন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভান বললেন, এ আর এমন কী! ঐতিহাসিকভাবে দুই দেশের সৈন্যরা এমন কত করেছে। তার কথায়, সাড়ে তিন হাজার দীর্ঘ সীমান্তে এরকম ঘটনা ‘ অস্থায়ী এবং স্বল্পমেয়াদী।’
দি ইকনোমিস্ট অবশ্য বলেছে, তখনকার মতো উভয়পক্ষই পরস্পরকে ‘নিবৃত্ত’ করেছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ পরেই ভারতের সেনাপ্রধানকে নিকটবর্তী লেহ এলাকায় দেখা যায়। এতেই বোঝা যায়, গুরুতর কিছু একটা ঘটেছে। ভারতীয় মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, চীনা সৈন্যরা বিতর্কিত সীমান্তের ৩ থেকে ৪ কিমি পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। তারা কথিতমতে বহু ভারতীয় চৌকি ও সেতু গুড়িয়ে দেয়। ট্রেঞ্চ খুড়েছে। তাবু ফেলেছে। অন্তত তিনটি পয়েন্টে এমনটা ঘটে। ২৭ মে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কথায়, এখনকার ‘উত্তপ্ত সমীন্ত বিরোধ’ মীমাংসায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন।

নিউইয়র্ক টাইমস এক রিপোর্টে বলেছে, চীন গোটা এশিয়া জুড়ে তার ক্ষমতা প্রর্শন করে চলছে। এখন বিতর্কিত হিমালয় এলাকার ইন্দো–চীন সীমান্তেও শক্তির মহড়া দেখানোর ফলে ভারত নিজকে বেষ্টনীর মধ্যে পড়ে গেছে বলে মনে করছে। উভয় পক্ষ মুখে বলছে, তারা যুদ্ধ চায় না। তবে উভয়ে সীমান্তে হাজার হাজার সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে। ৩০ মে জেফরি জেটেলম্যান এবং স্টিভেন লি মেয়ার্স দিল্লি ডেটলাইনে লিখেছেন, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সৈন্যরা একটা মল্লযুদ্ধ করেছেন মে মাসের গোড়ায়। ১৪ হাজার ফুট উচুতে সেটা ভয়ংকর কিছু ছিল না। কিন্তু ভয়ংকরটা পরে ঘটেছে। এর কয়েকদিন পরে একাধিক সীমান্ত পথে চীনা সৈন্যরা ভারতের ভেতরে ঢুকে ভারতের সৈন্যদের রুখে দাঁড়ায়। ১ হাজার মাইলের বেশি ভেতরে ঢুকে চীনা সৈন্যরা কোথাও। বহুবিধ সামরিক সাঁজোয়া যান নিয়ে চীন কার্যত ভারতীয় দাবি করা ভূখণ্ডে অবস্থান নিয়েছে। সীমান্তের বিধান মেনেছে সবাই। কোনো বুলেট ফুটেনি। ইটপাথর আর হাতাহাতির মধ্যেও সীমিত আছে সংঘাত। আর তাতেই ভারতীয় সৈন্যরা এতটাই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে যে, তাদেরকে হেলিকপ্টারে সরিয়ে আনতে হয়েছে। ভারতীয় মিডিয়া অবশ্য বলছে, চীনা সৈন্যরাও জখম হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসও অবশ্য বলছে, দুই দেশ যুদ্ধে যাবে, সেটা কেউ ভাবেন না। তবে ২০১৭ সালের পরে এই প্রথম বিরোধে ফিরে এল দুই দেশ। আর সেটা মিলিয়ে যাচ্ছে না। ভারতের শংকা, চীনের এই পদক্ষেপ মোদী সরকারকে চাপে ফেলছে। এবং চাপটা দিতেই এই চীনে অভিযান। এর আগে চীন দক্ষিণ চীন সমুদ্রে ভিযেতনামি মাছের ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে। এছাড়া একটি মালয়েশিয় অফশোর অয়েল রিগে ঝামেলা করেছে। তাইওয়ান এবং হংকংকে টাইট দিয়েছে।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট শিচিনপিং ক্ষমতায় আসার পরে এটা উত্তেজনার চতুর্থ মহড়া। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সাধারণত এসব ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বেশ সুর উচুতে নিয়ে মন্তব্য করেন। কিন্তু করেনাকালে তাকে নিরব থাকতে দেখা যাচ্ছে।
অধ্যাপক ব্রহ্মা চেলানি মনে করেন, করোনায় আক্রান্ত এবং অর্থনীতির খারাপ অবস্থায় ভারত সহজে সীমান্ত সংঘাতে জড়াবে না, চীন এটা বিবেচনায় নিতে পারে। এর মাধ্যমে বেইজিং বার্তা দিতে পারে যে, দিল্লির উচিত হবে না, ওয়াশিংটনের খুব বেশি ঘনিষ্ঠ হওয়ার। আর চীন করোনা মেকাবেলায় ভালো করতে না পারার সমালোচক দলে না ভীড়তে ভারতকে সতর্ক করা।

প্রতিবেশীদের চীন–ঝোকা
ভারত সরকার কি ঘটেছে সে বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে । তাতে বলা হয়েছে , চীন সীমান্তে সম্প্রতি এমন সব তৎপরতায় যুক্ত হয়েছে যা তাদের স্বাভাবিক সীমান্ত টহলকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নিউইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট বলেছে, এই সীমান্ত বিরোধের আগেও ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক এবং ভূ–রাজনৈতিক প্রভাব দ্বারা বিপন্ন বোধ করছিল । পশ্চিম সীমান্তে চীন আরো ঘনিষ্ঠভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করছে । ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সীমান্তে একটি বৃহৎ আকারের বাধ তৈরিতে সাহায্য করছে চীন ।
পূর্ব সীমান্তে চীনের নতুন বন্ধু নেপাল। নেপাল এমন একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে যাতে ভারতের সীমান্ত এলাকা দেখানো হয়েছে। নেপালে ঝামেলা পাকানোর জন্য চীনকে দায়ী করেছে ভারত।
নেপাল ভারতের ঘনিষ্ঠ ছিল কিন্তু ২০১৫ সালের বাণিজ্য অবরোধের পরে নেপাল ক্রমাগতভাবে চীনের কাছে সরে গেছে । আর দক্ষিণে মালদ্বীপের একটি দ্বীপ দখল করে নিয়েছে চীন। এটি ভারতের উপকূল থেকে কয়েকশো মাইল দূরে । ভারতীয় সামরিক বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, চীনের উদ্দেশ্য অবশ্যই ভারতের উপর চাপ তৈরি করা । মালদ্বীপে তারা একটা বিমান ঘাঁটি অথবা সাবমেরিন ঘাঁটি করার জন্য লক্ষ লক্ষ টন বালু এনে ফেলছে ওই দ্বীপে ।
সাম্প্রতিক উত্তেজনার জন্য চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতকে দায়ী করলেও তারা ঘটনার একটু ডাউন প্লে করছে। যেটা ২০১৭ সালের দোকলাম কাণ্ড থেকে ভিন্ন । ভুটানের কাছের ওই ভূমি বিরোধ ৭৩ দিনের একটি অচলাবস্থা তৈরি করেছিল। ওইসময়ে অবরোধ নিয়ে চীন ব্যাপক বক্তব্য দিয়েছিল ।
এবারে ভারত-চীন সীমান্তের ওই সংঘাতের কথা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চীনের সীমান্তরক্ষীরা চীনের ভূখণ্ড এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক । তারা ভারতের যেকোনো অপচেষ্টাকে ভন্ডুল করে দিবে এবং শান্তি বজায় রাখবে।
চীনের সরকারি মুখপাত্র সীমান্তে সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করেনি । তবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকায় ১৮ মে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে পিপলস লিবারেশন আর্মির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে চীনা সামরিক বাহিনী ভারতের দ্বারা নির্মিত অবৈধ কাঠামোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
ভারতীয় বিশশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতের তুলনায় চীনের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে, যা ভারতকে সংযত রাখবে । ভারতের একজন সাবেক কর্নেল অজয় শুক্লা মন্তব্য করেছেন, চীন সীমান্তে ৩ ব্রিগেড সৈন্য এনেছে। যা সংখ্যায় কয়েক হাজার । এর পাল্টা ভারত প্রায় তিন হাজার সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে। মি. শুক্লা বলেছেন, তারা যদি সীমান্ত থেকে চীনাদের অপসারণ করতে চায় তাহলে তাদেরকে গুলি চালাতে হবে। তিনি মনে করেন এমনটা ঘটবে না । কারণ তার ভাষায় , সেখানে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলতে ভারতের সামর্থ্য সীমিত ।
কয়েক মাস আগে মি. মোদী এবং মি. শি দক্ষিণ ভারতে একটি জরুরী শীর্ষ সম্মেলনে তাজা ডাবের পানি পান করেছিলেন।

ভারতীয় মিডিয়ার চোখে

দুই দেশই সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা ও সমরাস্ত্র বাড়াচ্ছে। ফলে যুদ্ধের আশঙ্কা গভীর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ইন্দো-চিন বিরোধ নিয়ে সেনা ও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা চলছে। সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী তিনি।
সংবাদ মাধ্যম আজ তক-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বলেন, ‘ভারত উত্তেজনা চায় না। সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার দরকার হলে তা করতে হবে। কিন্তু, সমস্যার একটা সমাধান প্রয়োজন।’
তিনি জানান, ‘সেনা ও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা চলছে। কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চীনও আগ্রহী।’

নেপাল প্রসঙ্গে

লিপুলেখ নিয়ে নেপালের সঙ্গে বিরোধও মিটে যাবে বলে আশাবাদী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, ‘নেপাল আমাদের পরিবারের সদস্য। ভারতের ভাই নেপাল। আশা করি সমস্যা মিটে যাবে। তবে প্রয়োজনে উভয় তরফে বসে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে।’
উল্লেখ্য, নেপালের নতুন মানচিত্রে ভারতের এলাকা দেখানো হয়েছে বলে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নেপাল তা নাকচ করে চলছে।

ভারত-চিন বিরোধের মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের প্রস্তাব বিষয়ে রাজনাথ বলেন, ‘ মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁকে বলেছি, ভারত-চিন নিজেরাই সমস্যা মেটাতে সক্ষম। এর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।’
প্রকত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে দু’দেশের ধারণা পৃথক। তাই বারংবার উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘সত্যকে এড়ানো যায় না। তবে ১৯৬২ সালের মত পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেও কেউ মনে করছে না।’
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের চীন–ভারত যুদ্ধে ভারত হেরেছিল। সে কারণে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণ মেনন পদত্যাগ করেছিলেন।

রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘ভারতের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে না। প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা সবসময় ভালো সম্পর্ক রেখে এসেছি, এবং তা জারি রাখতেই আগ্রহী।’

পূর্ব লাদাখে প্যাগং এলাকায় মুখোমুখি অবস্থানে আছে ভারতীয় ও চীনা সেনাবাহিনী। লাদাখে অচলাবস্থা নিয়ে ভারত ও চীনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ৬ দফা আলোচনার প্রয়াস চালানো হয়, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। ইন্ডিয়ান একসপ্রেস বলেছ, গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উপর বিপুল পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এর পাল্টা হিসেবে বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে ভারতও।

পত্রিকাটি লিখেছে, দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধের আবাহ তৈরি হয়েছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির উদ্দেশে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-র এর আগে স্পষ্ট বার্তায় জানান, ‘চরম সংকটের পরিস্থিতির কথা আগাম ভেবেই সেনা প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করত হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্বার্থকে সবার আগে রক্ষা করা প্রয়োজন।’
গত সপ্তাহে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গেও দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর তিন প্রধানের আলোচনা হয়। জানা যায় ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যতক্ষণ চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে বেশি সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করবে, ভারতও পাল্লা দিয়ে সেনা-যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করবে। ভারতীয় সেনা কোনও মতেই পিছ-পা হবে না।

ঢাকার পর্যবেক্ষকরা উদ্বেগে

করোনাকালে দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক দুর্যোগের ঘনঘটায় জনগণ উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে ভারতের নিকট প্রতিবেশীরা মনে করেন, এই সময়ে যুদ্ধ দূরে থাক, কোনো ধরণের উত্তেজনা সাধারণ মানুষের কষ্টকে আরো তীব্র করবে। কারণ এটা পরিষ্কার যে, মহামারী মোকাবিলা ছাড়াও ভারতের প্রতিবেশীদের সামনে খাদ্য সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দক্ষিন এশিয় প্রতিবেশীদের মিত্র খুজে নেওয়ার অসম বিকল্প বেছে নেওয়ার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই ঢাকার পর্যবেক্ষকরা পরিস্থিতির উপর গভীর নজর রাখছেন। সরকারের তরফে অবশ্য কিছুই বলা হয়নি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status