বাংলারজমিন
প্রসূতির সিজারের ছবি ফেসবুকে দেয়ায় রায়পুরে সমালোচনার ঝড়
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৬:১১ পূর্বাহ্ন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মাতৃছায়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক প্রসূতির সিজারকালীন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক) দেওয়া অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের উপ-ব্যবস্থাপক পরিচালক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ওই ছবিটি পোস্ট করেন। এর পর থেকে গত তিনদিন ধরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠে।
অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে ডাক্তার ও নার্সের সামনে হাসপাতালের উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান তুহিন ওই ছবি তুলেন বলে যানা যায়। অথচ তিনি চিকিৎসক নয়। ফেইসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তি এ ঘটনায় দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনগত ভাবে এটি অপরাধ। কর্তৃপক্ষতো দূরের কথা, অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার ও নার্স ছাড়া স্বজনরাও থাকতে পারে না। তাছাড়া কোন প্রসুতির অনুমতি ছাড়া ছবি তোলারও নিয়ম নেই। সেটি ফেইসবুকে দেওয়া চরম অন্যায়।
জানা গেছে, গত ২৪ মে রায়পুর মাতৃছায়া হাসপাতালে এক প্রসূতি প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয়। রাতে ডাক্তার ও নার্স ওই প্রসূতির সিজার অপারেশন শুরু করেন। এসময় হাসপাতালের উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক অপারেশন থিয়েটারে ডুকে পড়েন। পরে অস্ত্রোপচারের সময় তিনি ওই প্রসূতির কয়েকটি ছবি তুলে ফেলেন। পরে ওই ছবিগুলো তুহিন তাঁর ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করে। ওই ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবিই আপত্তিকর বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন। কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, তুহিনের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক প্রসূতির নারীর অপারেশন থিয়েটারের ছবি ও ভিডিও করার অভিযোগ রয়েছে। পরে এ ছবি দিয়ে নারীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়। প্রসুতির সিজারের ছবি তুলার ঘটনায় প্রসাশনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবিদ হাসান তুচ্ছ নামের এক ফেইসবুক আইডিতে বলেন, কোন প্রসূতি মহিলার অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন চলাকালীন সময় কর্তপক্ষ উপস্থিতি থাকতে পারেন না। এটা পেশাদার সুলভ ও নিয়মনীতির পারিপন্ত্রি। ছবি তুলে নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোষ্ট করা নজির বিহীন ঘটনা। রায়পুর হাসপাতালের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান তুহিন বলেন, মহামারী করোনার সময় মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য এই ছবি তুলে পোষ্ট করা হয়েছে। প্রসূতির মুখের ছবিটি কী ভাবে চলে আসে তা আমার জানা নেই। তবে কয়েকজন এই ছবি নিয়ে সমালচনা করে আমার বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়েছে বিষয়টি আমি দেখেছি।
অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে ডাক্তার ও নার্সের সামনে হাসপাতালের উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান তুহিন ওই ছবি তুলেন বলে যানা যায়। অথচ তিনি চিকিৎসক নয়। ফেইসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তি এ ঘটনায় দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনগত ভাবে এটি অপরাধ। কর্তৃপক্ষতো দূরের কথা, অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার ও নার্স ছাড়া স্বজনরাও থাকতে পারে না। তাছাড়া কোন প্রসুতির অনুমতি ছাড়া ছবি তোলারও নিয়ম নেই। সেটি ফেইসবুকে দেওয়া চরম অন্যায়।
জানা গেছে, গত ২৪ মে রায়পুর মাতৃছায়া হাসপাতালে এক প্রসূতি প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয়। রাতে ডাক্তার ও নার্স ওই প্রসূতির সিজার অপারেশন শুরু করেন। এসময় হাসপাতালের উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক অপারেশন থিয়েটারে ডুকে পড়েন। পরে অস্ত্রোপচারের সময় তিনি ওই প্রসূতির কয়েকটি ছবি তুলে ফেলেন। পরে ওই ছবিগুলো তুহিন তাঁর ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করে। ওই ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবিই আপত্তিকর বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন। কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, তুহিনের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক প্রসূতির নারীর অপারেশন থিয়েটারের ছবি ও ভিডিও করার অভিযোগ রয়েছে। পরে এ ছবি দিয়ে নারীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়। প্রসুতির সিজারের ছবি তুলার ঘটনায় প্রসাশনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবিদ হাসান তুচ্ছ নামের এক ফেইসবুক আইডিতে বলেন, কোন প্রসূতি মহিলার অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন চলাকালীন সময় কর্তপক্ষ উপস্থিতি থাকতে পারেন না। এটা পেশাদার সুলভ ও নিয়মনীতির পারিপন্ত্রি। ছবি তুলে নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোষ্ট করা নজির বিহীন ঘটনা। রায়পুর হাসপাতালের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান তুহিন বলেন, মহামারী করোনার সময় মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য এই ছবি তুলে পোষ্ট করা হয়েছে। প্রসূতির মুখের ছবিটি কী ভাবে চলে আসে তা আমার জানা নেই। তবে কয়েকজন এই ছবি নিয়ে সমালচনা করে আমার বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়েছে বিষয়টি আমি দেখেছি।