কলকাতা কথকতা

কলকাতা কথকতা

বেক্সিমকোর বিস্ময়, আমেরিকাকে শ্বাস নিতে সাহায্যে এগিয়ে এলো বাংলাদেশের সংস্থা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা

২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১২:৪১ অপরাহ্ন

একটি দেশের জিডিপির হার অন্য দেশটির থেকে পঁচাত্তর গুন বেশি। ছোট্ট এই দেশটি এগিয়ে এলো বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিকে সচল করতে, শ্বাস ফেলতে। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে প্রকাশিত আমেরিকা এবং বাংলাদেশের এই কাহিনী চোখকে বিস্ফোরিত করেছে। আর এই অসাধ্য সাধন করেছে বাংলাদেশের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান – বেক্সিমকো। কুড়ি মিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা আমেরিকার ডেট্রয়েট শহরে এন-৯৫ মাস্কের একটি প্লান্ট বসাচ্ছে। এই বিনিয়োগ দু’হাজার আঠারো সালে বাংলাদেশের মোট বিদেশি বিনিয়োগের তিন মিলিয়ন ডলারের থেকেও প্রায় সাত গুন বেশি। মাস্ক তৈরির এই কারখানা নয় মাসে সম্পূর্ণ হবে। করোনা কবলিত হওয়ার পর আমেরিকা নিদারুন মাস্ক সমস্যার মুখোমুখি হয়। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় আমেরিকা মাস্ক আমদানি করতে বাধ্য হয় ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জাপান, মেক্সিকো, কোরিয়া থেকে। মার্কিন হাসপাতালগুলোতে মাস্কের এত অভাব হয় যে তারা পাবলিক ডোনেশন প্রার্থনা করে। বেক্সিমকো কার্যত আমেরিকাকে নিশ্চিন্তে শ্বাস ফেলতে সাহায্য করবে। প্রথমে তারা ডেট্রয়েট শহরে পরে আমেরিকার সব শহরেই মাস্ক সরবরাহ করবে। বাংলাদেশেও বেক্সিমকো ত্রিশ মিলিয়ন ডলার ব্যায় করে একটি মাস্ক উৎপাদন করার কারখানা গড়ছে। আমেরিকার জি ডি পি সাড়ে কুড়ি ট্রিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশের জিডিপি দুইশো চুয়াত্তর বিলিয়ন ডলারের। বিস্তর এই বৈষম্য সত্ত্বেও বাংলাদেশের একটি কোম্পানি এগিয়ে এলো আমেরিকার পাশে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চীনের পর দ্বিতীয় বস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমান ৮ দশমিক ১ শতাংশ। সব মিলিয়ে বেক্সিমকোর এই উদ্যোগ সাধুবাদ কুড়িয়ে নিচ্ছে বিশ্বের বাণিজ্য মহলের।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status