বাংলারজমিন
পার্কের প্রবেশ মুখে বড়ই গাছের কাটা
জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৫ মে ২০২০, সোমবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
পার্কের এক কোনার প্রবেশ মুখে গুজে রাখা হয়েছে বড়ই গাছের কাটা। মেইন গেইটে ঝুলছে তালা। হঠাৎ হঠাৎ ভেসে আসে বাঁশির শব্দ। যেন পার্কের কাছে ঘেষতে না পারে কেউ। এই ঈদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফারুকী পার্কের চেনা দৃশ্য কিন্তু এটি নয়। শিশু,কিশোর-কিশোরী,তরুন-তরুনী। বয়সের সীমা রেখা নেই,বলতে গেলে সব বয়সের মানুষই বছরের এই বিশেষ দিনটিতে পার্কে হুমড়ী খেয়ে পড়েন। ঈদ উপলক্ষে বসতো মেলা। নাগরদোলা চলেছে বিরামহীন। উঠার সিরিয়াল পেতেও বেগ পেতে হয়েছে। চটপটি,ফুসকা,নানা রকম খেলনার দোকান। হাজারো মানুষের কলকাকলিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুখর থাকতো অবকাশ এলাকার ফারুকী পার্ক। পার্কের সামনের রাস্তাটিতে লেগে যেত যানবাহনের ভীড়। শহর ছাড়াও শহরতলী থেকে দলে দলে বিনোদন পিয়াসী মানুষরা ছুটে এসেছেন এই পার্কে।
সেখানে সোমবারের চিত্রটা কষ্টকর। করোনাকালীন এক ঈদের প্রতিচ্ছবি যেন হয়ে উঠেছে এই পার্ক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে চিত্ত বিনোদনের জায়গা বলতে এটিই। ঈদুল ফিতর আর পহেলা বৈশাখে পার্কে লোক সমাগম হয় উপচেপড়া। পার্কের সামনে মাটির খেলনার পসরা সাজিয়েছেন বিমল পাল। মাত্র কয়েকটি খেলনা নিয়ে এসেছেন। পার্কের দিকে তাকিয়ে দাড়িয়েছিলেন। প্রত্যেক বছর ঈদে পার্কে এসে খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন। সেই নিয়মেই সোমবার এসেছেন এখানে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মাত্র দু’-তিনশো টাকার খেলনা বিক্রি করেন। এবার পহেলা বৈশাখেও নিরাশ হতে হয়েছে তাকে। বিমল জানান,প্রত্যক ঈদে ৩/৪ হাজার টাকার খেলনা বিক্রি করতেন। শহরের মোড়াইল এলাকায় এই পার্কটির অবস্থান। এই পার্কে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে নির্মিত স্মৃতিসৌধ। ঈদের দিন শহরের যেসব স্থানে লোক সমাগম হতে পারে এমন কয়েকটি স্পট ঘিরে তৎপর ছিলো পুলিশ। শহরের অবকাশ পার্ক ছাড়াও পূর্বপাশে তিতাস নদীর পাড়,কালীসীমা ও গোকর্নঘাট এলাকায় তিতাস নদীর তীরসহ আরো কয়েকটি স্পটে পুলিশের মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সেলিম উদ্দিন জানান- লোক সমাগমের চিহ্নিত স্থানগুলো ছাড়াও পুরো উপজেলাতে কোথাও যাতে লোক সমাগম না হয় সেব্যাপারে তারা সতর্ক ছিলেন।এলক্ষ্যে পুলিশের মোট ৯ টি মোবাইল টিম কাজ করেছে বলে জানান তিনি। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ছিলো নিরবতা। মানুষের চলাচল ছিলো খুবই কম। ঈদের দিনের চেনা দৃশ্য দেখা যায়নি কোথাও।
সেখানে সোমবারের চিত্রটা কষ্টকর। করোনাকালীন এক ঈদের প্রতিচ্ছবি যেন হয়ে উঠেছে এই পার্ক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে চিত্ত বিনোদনের জায়গা বলতে এটিই। ঈদুল ফিতর আর পহেলা বৈশাখে পার্কে লোক সমাগম হয় উপচেপড়া। পার্কের সামনে মাটির খেলনার পসরা সাজিয়েছেন বিমল পাল। মাত্র কয়েকটি খেলনা নিয়ে এসেছেন। পার্কের দিকে তাকিয়ে দাড়িয়েছিলেন। প্রত্যেক বছর ঈদে পার্কে এসে খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন। সেই নিয়মেই সোমবার এসেছেন এখানে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মাত্র দু’-তিনশো টাকার খেলনা বিক্রি করেন। এবার পহেলা বৈশাখেও নিরাশ হতে হয়েছে তাকে। বিমল জানান,প্রত্যক ঈদে ৩/৪ হাজার টাকার খেলনা বিক্রি করতেন। শহরের মোড়াইল এলাকায় এই পার্কটির অবস্থান। এই পার্কে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে নির্মিত স্মৃতিসৌধ। ঈদের দিন শহরের যেসব স্থানে লোক সমাগম হতে পারে এমন কয়েকটি স্পট ঘিরে তৎপর ছিলো পুলিশ। শহরের অবকাশ পার্ক ছাড়াও পূর্বপাশে তিতাস নদীর পাড়,কালীসীমা ও গোকর্নঘাট এলাকায় তিতাস নদীর তীরসহ আরো কয়েকটি স্পটে পুলিশের মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সেলিম উদ্দিন জানান- লোক সমাগমের চিহ্নিত স্থানগুলো ছাড়াও পুরো উপজেলাতে কোথাও যাতে লোক সমাগম না হয় সেব্যাপারে তারা সতর্ক ছিলেন।এলক্ষ্যে পুলিশের মোট ৯ টি মোবাইল টিম কাজ করেছে বলে জানান তিনি। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ছিলো নিরবতা। মানুষের চলাচল ছিলো খুবই কম। ঈদের দিনের চেনা দৃশ্য দেখা যায়নি কোথাও।