স্পোর্টস ডেস্ক
খেলা ২৩ মে ২০২০, শনিবার
করোনা ভাইরাস মহামারির পর খেলা শুরু হলে ক্রিকেট বলের ঔজ্জ্বল্যকরণ প্রসঙ্গে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা (গ্ইাডলাইন) থাকতে হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি)Ñ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় আইসিসি’র নীতি নির্ধারক ক্রিকেট কমিটি ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিক সুপারিশে জানিয়েছে, বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে মুখের লালা বা থুতু ব্যবহার করা যাবে না। কারণ লালা বা থুতুর মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে। আইসিসি’র মেডিক্যাল পরামর্শক কমিটির প্রধান ডা. হারকোরের সঙ্গে পরামর্শ শেষে এমন সুপারিশ জানায় সংস্থার ক্রিকেট কমিটি। তবে বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে ঘামের ব্যবহারে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। কারণ, ঘামে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কুকাবুরা ক্রিকেট বলের শাইন ধরে রাখতে এক ধরনের মোম ব্যবহারের কথা বলছে। যদিও এমন কিছু ব্যবহারে এখনও সম্মতি দেয়নি আইসিসি। এর পক্ষে বিপক্ষে চলছে বিতর্কও।
এ প্রসঙ্গে বিকল্প ভাবনা প্রকাশ করেছেন প্যাট কামিন্স। এই অজি পেসার অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের ওয়েবসাইট ক্রিকেট ডটকমকে বলেছেন, থুতুর ব্যাপার বাদ দিলে অন্য বিকল্পও আছে। ঘামের ব্যবহারটাও খারাপ নয়, তবে আমি মনে করি এটার চেয়ে বেশি কিছু দরকার আমাদের। মোম নাকি কৃত্তিম অন্য কিছু, আমি জানি না। বাংলাদেশ টেস্ট দলের নিয়মিত পেসার আবু জায়েদ রাহী ও ইবাদত হোসেন এর আগে বলেন, এ বিষয়ে আইসিসি’র সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
ক্রিকেট বিধির ৪১.২.৩ ধারায় বলা হয়েছে, একজন খেলোয়াড় ক্রিকেট মাঠে কোনো কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহার করে বলের বিকৃতি ঘটালে শাস্তি পেতে হবে। তবে থুতু ও ঘাম প্রকৃতিগত বস্তু, তাই এয়ার সুইং বা রিভার্স সুইং আদায়ে বলের এক পাশে এর ব্যবহার করে শাইন ধরে রাখতে চেষ্টা করেন বোলাররা।
আর থুতু ইস্যুতে ডেইলি সান-কে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বলেন, ‘আমি মনে করি খেলাটিতে সহযোগিতা করার জন্য উপযুক্ত সময় এটি। অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে। বিশেষ করে বলের ব্যবহারে।’ সাবেক ক্যারিবীয় পেসার ওটিস গিবসন বলেন, রিভার্স সুইং আদায়ে অনেক দলই এমনটি (বলে থুতু-ঘামের ব্যবহার) করে থাকে। রিভার্স সুইং পেতে কৃত্রিম জিনিস ব্যবহার করতেও দেখেছি আমরা। আমার মনে হয়, বিষয়টিতে এই মুহূর্তে আইসিসি’র নেতৃত্ব দিতে হবে। ্আইসিসি’র সুনির্দিষ্টভআবে বলতে হবে, এক্ষেত্রে কোনটা ব্যবহার করা যাবে আর কোনটা যাবে না। এ সংক্রান্ত বিধি প্রত্যেকটি দলকে মানতে হবে। যার যা ইচ্ছা তাই করতে দেয়া যাবে না। কেউ কেউ সঠিক কাজই করবে আবার কেউ কেউ কারসাজি করবে। আইসিসি’র বলতে হবে, কোনটির অনুমতি আছে আর কোনটির নেই।