বাংলারজমিন
মৃত সনদ দেখিয়ে জীবিত ব্যক্তির স্ত্রীর নামে বিধবা কার্ড প্রদানের অভিযোগ
কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২১ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জীবিত ব্যক্তির মৃত সনদ দেখিয়ে তার নামে ইস্যু করা বিধবা ভাতার কার্ড অন্যের নিকট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে উপজেলার নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মামুদ ও মহিলা মেম্বার কামরুন নাহার কুরুয়া গ্রামের জীবিত পুষ্প বেওয়ার নামে মৃত্যু সনদ তৈরী করেন। ওই মৃত্যু সনদ স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে জমা দিয়ে ওই মহিলার বিধবা ভাতার কার্ড মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিল কাচিনা গ্রামের মোসাম্মৎ মালেকা বেগমের নামে প্রদান করেছেন। এব্যাপারে ভুক্তভোগী পুস্প বেওয়া প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লিখিত অভিযোগে ও পুস্প বেওয়া জানান, উপজেলার করুয়া গ্রামের পুষ্প বেওয়া, তার নামে বিধবা ভাতার কার্ড ইস্যু করে ১০/১২ বছর যাবত নিয়মিত বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি ভাতার টাকা উত্তোলন করতে যান নারান্দিয়ার জনতা ব্যাংকে। এ সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে জানান, পুষ্প বেওয়া নামের ব্যক্তি মারা গেছে। তার স্থলে এ কার্ড বিলকাচিনা গ্রামের মোসাম্মৎ মালেকা বেগমের নামে ইস্যু হয়েছে। এ সময় তিনি নিজেকে জীবিত দাবি করে বলেন, আমি মারা গেলে এখানে সশরীরে উপস্থিত হলাম কী করে। ভাতা প্রদান বইয়ের ছবির সঙ্গে তার চেহারা মিল থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। অভিযোগ বিবরণে আরো জানা গেছে, মালতি গ্রামের জীবিত রবিউলকেও মৃত্যু সনদ প্রদান করেছে ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ। অভিযুক্ত মহিলা মেম্বার কামরুন নাহার তার ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ওই মহিলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দেন। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ জানান, এটি সংশোধন করে দেয়া হবে। বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে। কালিহাতী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি তার নজরে এলে তিনি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, ভুলক্রমে এমনটি হয়েছে। তিনি আরো জানান,বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শামীম আরা নীপা জানান,সমাজসেবা কর্মকর্তার নিকট জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।