বাংলারজমিন

কিশোরগঞ্জে ফের করোনার ভয়াবহ বিস্তার, তিনদিনে শনাক্ত ৪২, মৃত্যু ২

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে

২০ মে ২০২০, বুধবার, ৫:০৩ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জের জেলায় আবারও ভয়াবহ বিস্তার ঘটছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের। গত তিন দিনে নতুন করে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা যাওয়া দুই ব্যক্তি রয়েছেন। এর মধ্যে সোমবার একজন মৃত ব্যক্তিসহ ৭ জন, মঙ্গলবার একজন মৃত ব্যক্তিসহ ১৬ জন এবং বুধবার ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এতোদিন করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে থাকলেও গত তিন দিন ধরে পুনরায় সংক্রমণের উর্ধগতি দেখা দিয়েছে।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, গত শনিবার জেলায় সংগৃহীত ১২০ জনের নমুনার মধ্যে ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) থেকে পাঠানো এসব নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট বুধবার সকালে পাওয়া যায়। রিপোর্টে নতুন করে করোনা শনাক্ত হওয়া ১৯ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ৫ জন মহিলা ও ৪ জন শিশু। তাদের মধ্যে ভৈরব উপজেলার একজন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ২ জন, করিমগঞ্জ উপজেলার ৩ জন, তাড়াইল উপজেলার একজন, পাকুন্দিয়া উপজেলার ২ জন, কটিয়াদী উপজেলার ২ জন ও বাজিতপুর উপজেলার ৮ জন। এর মধ্যে বাজিতপুর উপজেলার ৮জনই এক পরিবারের। জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হওয়া ২৫৩ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৮৩ জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। বর্তমানে জেলায় মোট ৬৯ জন করোনা রোগী এবং ৫ জন সাসপেক্টটেড বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। এর মধ্যে অন্য জেলা থেকে আগত ৬ জন করোনা পজেটিভ রয়েছেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১৫ই মে রাত ১১টার দিকে মারা যাওয়া ভৈরবের মৎস্য ব্যবসায়ী অমিয় দাস (৬০) এবং বাজিতপুরের নিজ বাড়িতে গত ১৩ই মে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মো. আল আমিন মিয়া (৬০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় মারা যাওয়ার আগের দিন ১৪ই মে অমিয় দাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তার কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। এছাড়া বাজিতপুরে গত ১৩ই মে করোনা উপসর্গ নিয়ে মো. আল আমিন মিয়া মারা যাওয়ার পর ওইদিনই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টও কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
ভৈরব পৌরশহরের চ-িবের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা অমিয় দাস ভৈরব নৈশ মৎস্য আড়তের একজন প্রতিষ্ঠিত মৎস্য ব্যবসায়ী ছিলেন। অন্যদিকে মো. আল আমিন মিয়া বাজিতপুর পৌরসভার চারবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান আরো জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট সাতজন মারা গেছেন। অমিয় দাস ও আল আমিন মিয়ার আগে করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬), কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৬০), হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পানান গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু মিজান, কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মাতুয়ারকান্দা গ্রামের মোস্তফা মিয়া (৬০) এবং কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামের তরুণ ভূইয়া (৪০) মারা যান।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status