বিশ্বজমিন
ভ্যাকসিন সাফল্য ধোঁয়াশে : নেচার
মানবজমিন ডেস্ক
২০ মে ২০২০, বুধবার, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিরাপদ বলে দাবি করল মার্কিন বায়োটেক কোম্পানি মর্ডানা। কিন্তু যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘‘ নেচার’’ আজ মঙ্গলবার বলেছে, মডার্নাসহ বেশ কিছু গবেষণা সংস্থা ভ্যাকসিনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও সার্বিক বিচারে এখনও বিষয়টি ধোয়াশে বা মার্কি।
এমনকি মডার্নার উপদেষ্টা বোর্ডে থাকা সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার অধ্যাপক মাইকেল ডায়মন্ড ভিন্নমত দিয়েছেন। অধ্যাপক ডায়মন্ড নেচারকে বলেন, ‘ কোভিড–১৯ এর প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া (ইমিউন রেসপন্স)র সঠিক প্রকৃতি সম্পর্কে কারো ধারণা নেই। ’’ হয়তো দ্বিতীয় ধাপে আরো উচ্চ মাত্রায় ভালো ফল দেবে। ‘‘ কিন্তু যেটা আমাদের কারো জানা নেই, সেটা হলো প্রাপ্ত অগ্রগতি কতখানি টিকে থাকবে।
১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নেচার অবশ্য বলেছে, মডার্নার ঘোষণায় স্টক মার্কেটেও ঢেউ (তাদের শেয়ারের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে) তুলেছে। কিন্তু কতিপয় বিজ্ঞানী বলেছেন, প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রকাশ না করার ফলে যথাযথভাবে তাদের দাবিসমূহ মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
ডালাস ভিত্তিক বেলর কলেজ অব মেডিসিনের ভ্যাকসিন বিজ্ঞানী পিটার হোটেজ বলেন, এই টিকার ফলে মানুষ কোভিড–১৯ এ সংক্রমিত হওয়ার কবল থেকে রেহাই পাবে, সেটা তাদের দাবি থেকে পরিষ্কার নয়।
‘‘ মডর্না যা প্রকাশ করেছে, সেটা যে সত্যিই একটি ইতিবাচক ফল, তাতে আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’’ পিটার মন্তব্য করেছেন। তার কথায়, আমি বরং এর আগে বেইজিংয়ের সিনোভ্যা বায়োটেক যে ফলাফল প্রকাশ করেছে, তাতে আমি আশ্বস্ত।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উচ্ছ্বসিত। কারণ তিনি ধারণা দিয়ে চলছিলেন, তার দেশই এগিয়ে থাকবে। আশা করা হচ্ছে, এবছরের শেষাশেষি কিংবা ২০২১ সালের শুরুতে ভ্যাকসিন বাজারজাত করা সম্ভব হবে। তবে গবেষকরা সতর্ক। কারণ মাত্র আটজনের শরীরের ওপর কার্যকরতা যাচাই করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌছা যায় না।
সিএনএন এর স্পেশাল মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট এলিজাবেথ কোহেন জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকাঠাক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নতুন ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলে ম্যাসচুসেটস ভিত্তিক মডার্না জানিয়েছে। তবে কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত না থাকা একজন গবেষকও মডার্নার ফলাফলকে ‘‘গ্রেট’’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে মিজ কোহেনের প্রশ্নের জবাবে মডার্না স্বীকার করেছে যে, আটজনের দেহে এন্টিবডি তৈরি করেছে বটে। তবে কেউ অসুস্থ হবে না, সেটা বহু মানুষের দেহে প্রয়োগ এবং সেই ফলাফল বিশ্লেষনের পরেই কেবল বোঝা যাবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টও খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। ওয়াশিংটন টাইমস বলেছে, ‘‘আজ একটি অত্যন্ত ইতিবাচক দিন।’’
মডার্না বলেছে, ৬০০ জনকে নিয়ে পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে তারা। শিগগিরই বলেছে তারা। কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নেই। দ্বিতীয় ধাপে ৬০০ জনের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। আগামী জুলাইয়ে পরীক্ষার তৃতীয় ধাপ শুরু হবে। এ সময় হাজারো স্বাস্থ্যবান মানুষের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ চলবে। তখন আরো গভীরতায় ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মধ্য মার্চেই জানা গিয়েছিল আমেরিকার বায়োটেক কোম্পানি মডার্না এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসাচ ডিজিজ (এনআইএআইডি) যৌথ গবেষণার ফল ‘এমআরএনএ-১২৭৩’ নামের এটি প্রতিষেধক টিকা।
পরীক্ষামূলক প্রথম ডোজটি নেনে জেনিফার হ্যালার। তিনি এক মার্কিন নারী। তবে টিকা কাজ দেবে কি না, তা জানতে দুই মাসও লেগে যেতে পারে বলেই খবর ছিল। কিন্তু জল্পনার আগেই সাফল্য দাবি করেছে তারা।
মডার্নার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা টাল জ্যাকস। তিনি সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এ মাসের শুরুতেই এ ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে। যদি পরীক্ষায় চলতি বছরের শেষ নাগাদ বা ২০২১ সালের শুরুতেই সর্বব্যাপী ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন ভালো ফল আসে, তবে তা বাজারজাত করা হবে।
নিউ্ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ওই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, রোগ প্রতিরোধের সামর্থ্যকে (ইমিউন রেসপন্স) উদ্দীপীত করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এমনকি মডার্নার উপদেষ্টা বোর্ডে থাকা সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার অধ্যাপক মাইকেল ডায়মন্ড ভিন্নমত দিয়েছেন। অধ্যাপক ডায়মন্ড নেচারকে বলেন, ‘ কোভিড–১৯ এর প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া (ইমিউন রেসপন্স)র সঠিক প্রকৃতি সম্পর্কে কারো ধারণা নেই। ’’ হয়তো দ্বিতীয় ধাপে আরো উচ্চ মাত্রায় ভালো ফল দেবে। ‘‘ কিন্তু যেটা আমাদের কারো জানা নেই, সেটা হলো প্রাপ্ত অগ্রগতি কতখানি টিকে থাকবে।
১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নেচার অবশ্য বলেছে, মডার্নার ঘোষণায় স্টক মার্কেটেও ঢেউ (তাদের শেয়ারের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে) তুলেছে। কিন্তু কতিপয় বিজ্ঞানী বলেছেন, প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রকাশ না করার ফলে যথাযথভাবে তাদের দাবিসমূহ মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
ডালাস ভিত্তিক বেলর কলেজ অব মেডিসিনের ভ্যাকসিন বিজ্ঞানী পিটার হোটেজ বলেন, এই টিকার ফলে মানুষ কোভিড–১৯ এ সংক্রমিত হওয়ার কবল থেকে রেহাই পাবে, সেটা তাদের দাবি থেকে পরিষ্কার নয়।
‘‘ মডর্না যা প্রকাশ করেছে, সেটা যে সত্যিই একটি ইতিবাচক ফল, তাতে আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’’ পিটার মন্তব্য করেছেন। তার কথায়, আমি বরং এর আগে বেইজিংয়ের সিনোভ্যা বায়োটেক যে ফলাফল প্রকাশ করেছে, তাতে আমি আশ্বস্ত।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উচ্ছ্বসিত। কারণ তিনি ধারণা দিয়ে চলছিলেন, তার দেশই এগিয়ে থাকবে। আশা করা হচ্ছে, এবছরের শেষাশেষি কিংবা ২০২১ সালের শুরুতে ভ্যাকসিন বাজারজাত করা সম্ভব হবে। তবে গবেষকরা সতর্ক। কারণ মাত্র আটজনের শরীরের ওপর কার্যকরতা যাচাই করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌছা যায় না।
সিএনএন এর স্পেশাল মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট এলিজাবেথ কোহেন জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকাঠাক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নতুন ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলে ম্যাসচুসেটস ভিত্তিক মডার্না জানিয়েছে। তবে কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত না থাকা একজন গবেষকও মডার্নার ফলাফলকে ‘‘গ্রেট’’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে মিজ কোহেনের প্রশ্নের জবাবে মডার্না স্বীকার করেছে যে, আটজনের দেহে এন্টিবডি তৈরি করেছে বটে। তবে কেউ অসুস্থ হবে না, সেটা বহু মানুষের দেহে প্রয়োগ এবং সেই ফলাফল বিশ্লেষনের পরেই কেবল বোঝা যাবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টও খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। ওয়াশিংটন টাইমস বলেছে, ‘‘আজ একটি অত্যন্ত ইতিবাচক দিন।’’
মডার্না বলেছে, ৬০০ জনকে নিয়ে পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে তারা। শিগগিরই বলেছে তারা। কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নেই। দ্বিতীয় ধাপে ৬০০ জনের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। আগামী জুলাইয়ে পরীক্ষার তৃতীয় ধাপ শুরু হবে। এ সময় হাজারো স্বাস্থ্যবান মানুষের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ চলবে। তখন আরো গভীরতায় ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মধ্য মার্চেই জানা গিয়েছিল আমেরিকার বায়োটেক কোম্পানি মডার্না এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসাচ ডিজিজ (এনআইএআইডি) যৌথ গবেষণার ফল ‘এমআরএনএ-১২৭৩’ নামের এটি প্রতিষেধক টিকা।
পরীক্ষামূলক প্রথম ডোজটি নেনে জেনিফার হ্যালার। তিনি এক মার্কিন নারী। তবে টিকা কাজ দেবে কি না, তা জানতে দুই মাসও লেগে যেতে পারে বলেই খবর ছিল। কিন্তু জল্পনার আগেই সাফল্য দাবি করেছে তারা।
মডার্নার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা টাল জ্যাকস। তিনি সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এ মাসের শুরুতেই এ ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে। যদি পরীক্ষায় চলতি বছরের শেষ নাগাদ বা ২০২১ সালের শুরুতেই সর্বব্যাপী ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন ভালো ফল আসে, তবে তা বাজারজাত করা হবে।
নিউ্ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ওই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, রোগ প্রতিরোধের সামর্থ্যকে (ইমিউন রেসপন্স) উদ্দীপীত করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।