প্রথম পাতা

এবার ফিরছেন দু’মাস ধরে কানাডায় আটকা ৩০০ বাংলাদেশি

মিজানুর রহমান

২০২০-০৫-২০

প্রায় দু’মাস ধরে কানাডায় আটকেপড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে চেষ্টা-তদবির করছিলেন। অবশেষে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় একটি স্পেশাল ফ্লাইটে তাদের ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভাড়া করা ওই ফ্লাইট পরিচালনার ক্লিয়ারেন্স থেকে শুরু করে টিকিটের মূল্য নিয়ে দরকষাকষি, যাত্রী রেজিস্ট্রেশন, কোভিড-১৯ টেস্টসহ প্রয়োজনীয় এবং অপরিহার্য সব শর্তপূরণপূর্বক প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও টরেন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের একাধিক কূটনীতিক জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে  স্থানীয় সময় ২০শে মে দিবাগত রাত ১ টার দিকে বাংলাদেশিদের বহনের জন্য ভাড়া করা কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষ ফ্লাইটি টরেন্টো থেকে রওনা করবে। দোহা হয়ে ২২শে মে বাংলাদেশ সময় ভোরে তা ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কানাডায় নিযুক্ত এক কূটনীতিক দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কানাডায় স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া বেশি হলেও বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা সংক্রান্ত নেগোসিয়েশনে তারা কিছুটা হলেও প্রস্তাবিত ভাড়া কমানোর ক্ষেত্রে কাতার এয়ারওয়েজকে রাজি করাতে পেরেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২০০ ডলারে ফিরলেও কানাডা থেকে ফিরতে (ইকোনমি ক্লাসে) ভাড়া পড়ছে ২০০০ মার্কিন ডলার,  যা বাংলাদেশি অর্থে ১ লাখ ৬০ হাজারের কিছু বেশ। রোববার পর্যন্ত ৩৭০ জন বাংলাদেশি ঢাকা ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, রেজিস্ট্রেশনের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করেছেন জানিয়ে ওই কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশিদের বহনে ৩৫৪ সিটের বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার সিরিজের একটি উড়োজাহাজ তারা প্রস্তুত করেছেন। যারা টিকেট বিক্রি থেকে শুরু করে ফ্লাইট পরিচালনা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল সব প্রস্তুতি বিমান কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ মিশন বা কূটনীতিকরা রেজিস্ট্রেশন করা যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ, যাত্রীর কোভিড-১৯ ফ্রি অ্যান্ড ফিট টু ফ্লাইট সার্টিফিকেট নিশ্চিত করাসহ পলিটিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে। দেশে ফিরতে আগ্রহী ৩৭০ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও চূড়ান্ত পর্বে আড়াই শ’ থেকে পৌনে ৩ শ’ যাত্রী হবে বলে ধারণা দিয়েছে বাংলাদেশ মিশন।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকার সঙ্গে দুনিয়ার নিয়মিত ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধের প্রেক্ষিতে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা আটকা পড়ে আছেন। অনেকের ফেরা জরুরি হলেও তারা ফিরতে পারছেন না। কানাডায় আটকেপড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছেন যাদের ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে। তারা বিশেষ ওই পরিস্থিতিতে পরিবারের কাছে ফিরতে চান। তবে কারও কারও অর্থসংকটও আছে।
কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক: এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আগেই জানিয়েছেন- বিদেশ থেকে যারাই ফিরবেন তাদের প্রত্যেককে অবশ্যই ঢাকায় অবতরণের পর পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে তাদেরকে নিজ বাসায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হবে। অন্যথায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের দু’টি অপশন। এক সরকার নির্ধারিত জায়গা। দ্বিতীয়ত সেল্ফ ফাইনান্স ফাইভ স্টার হোটেল। তুলনামূলক কম ভাড়ায় ওয়েস্টিনসহ কয়েকটি হোটেল ঠিক করা আছে। পছন্দ এবং সুবিধা বিবেচনায় তারা তা নিতে পারবেন।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status