বিশ্বজমিন
চীনে ফের লকডাউনের আওতায় ১০ কোটি মানুষ
মানবজমিন ডেস্ক
১৯ মে ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে ফের লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। ১০ কোটিরও বেশি মানুষ ওই অঞ্চলে বসবাস করেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর সরকার এই নয়া লকডাউন আরোপ করে। এ খবর দিয়েছে ব্লুমবার্গ নিউজ। খবরে বলা হয়, চীনের জিলিন প্রদেশে ৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ জন। এরপর ১০.৮ কোটি মানুষ অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে ফের লকডাউন আরোপ করা হয়। শনিবার ৩ জন রোগী পাওয়া গেছে। রোববার পাওয়া যায় ২ জন। মোট জিলিন প্রদেশে ১২৭ জন রোগী আছেন এই মুহূর্তে। মারা গেছেন ২ জন। এই ভাইরাস প্রথম দেখা যায় চীনের হুবেই প্রদেশে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৬৮১৩৪ জন রোগী রয়েছে। জিলিন প্রদেশে সরকারি কর্মকর্তারা কোনো গাড়ি ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না। স্কুলও বন্ধ রাখা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। শুলান শহরে কর্মকর্তারা সবচেয়ে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। সেখানেই আক্রান্ত বেশি পাওয়া যাচ্ছে। নিশ্চিত বা সন্দেহভাজন রোগী যেখানে পাওয়া গেছে, সেসব স্থানে পুরো বাড়িঘরই বন্ধ রাখা হচ্ছে। শুধু সেখানকার পরিবারের একজন সদস্যকে প্রতি দুই দিন পর দুই ঘণ্টার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে বের হতে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে রোগের সংক্রমণ দেখা যাওয়ার পর শুলানে শাসক দল কম্যুনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ পদাধিকারীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৫ জন সরকারি কর্মকর্তাকেও ছাটাই করা হয়েছে। এটি স্পষ্ট নয় যে নতুন করে এই রোগ কীভাবে ছড়ালো। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া থেকে ফেরত আসা মানুষজনের কারণেও রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বর্তমানে রাশিয়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগীর বসবাস। সেখানে ২ লাখ ৯০ হাজার রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। জানুয়ারিতে মূল শহর উহানে কড়াকড়িভাবে লকডাউন আরোপ করার পর সেখানে সংক্রমণ থামানো সম্ভব হয়। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন লকডাউন তাড়াতাড়ি প্রত্যাহার করা হলে ভাইরাস পুনরায় দেখা যেতে পারে। গত সপ্তাহে উহানে নতুন করে ৬ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এর আগে ৩৫ দিন ধরে সেখানে কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। তবে শহরের কর্তৃপক্ষ উহানে নতুন করে আবার লকডাউন আরোপ করেনি। তবে তারা এই মুহূর্তে শহরের ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার সকলকেই পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রসঙ্গত, আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাত্ত বলছে, দেশটিতে ১৪ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে প্রায় ৯০ হাজার জন।