ভারত
স্থলপথে সীমান্ত বাণিজ্য চালু করতে রাজি নয় পশ্চিমবঙ্গ
কলকাতা প্রতিনিধি
৮ মে ২০২০, শুক্রবার, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
ভারত সরকারের নির্দেশ সত্ত্বেও বাংলাদেশের সঙ্গে সড়ক পথে স্থলবন্দর দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য চালু করতে রাজি নয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাদের আপত্তির বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লেখে অবিলম্বে সীমান্ত বাণিজ্য চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে একাধিকবার বাংলাদেশের সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত সপ্তাহে দুদিন বাণিজ্য শুরুর পর তা করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় স্থানীয় মানুষ ও শ্রমিকদের আন্দোলনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর পরেই সব স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রাজ্য সরকার সীমান্ত বাণিজ্য চালু করায় আপত্তি জানিয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে বলেছেন, বাণিজ্য চালু পরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তার দায় কি কেন্দ্রীয় সরকার নেবে। কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য চালু হলে উত্তর ২৪ পরগণা সহ সীমান্ত জেলাগুলিতে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে সেটা বুঝতে হবে। গত বুধবার চিঠি পাওয়ার পর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সব দিক খতিয়ে দেখে সরকার কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানাবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে স্থল সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য এখন চালু করতে তাদের আপত্তির কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ট্রেন পথে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করতে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই বলে জানানো হয়েছে। কিছুদিন আগেই ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে ট্রেন যোগে বাণিজ্য চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এক দফা আলোচনাও হয়েছে দুই দেশের সরকারের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গেদে-দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ট্রেন যোগে পণ্য আমদানি ও রপ্তানীতে তারা রাজি। তবে বাংলাদেশের কোনও চালক এপাড়ে আসতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। ভারতের ইঞ্জিন গিয়ে বাংলাদেশের পণ্যবাহী ট্রেন এপারে নিয়ে আসবে। তেমনি এপারের ট্রেন ওপারে যাওয়ার পর বাংলাদেশের চালক ও ইঞ্জিন তা গন্তব্যে নিয়ে যাবেন। এদিকে বুধবার ভারতে আটকা ৭২ জন বাংলাদেশিকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।