ভারত

সস্তার ফেমোটিডিনই করোনাকে কাবু করবে !

কলকাতা প্রতিনিধি

৩ মে ২০২০, রবিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

করোনার ভয়ঙ্কর সংক্রমণ মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে অসংখ্য গবেষনা হচ্ছে। এখনও কোনও ভ্যাকসিন না পাওয়া যাওয়ায় প্রচলিত কিছু ওষুধ দিয়ে করোনার মোকাবিলার চেষ্টা চলছে। হাইড্রেক্সিক্লোরোকুউনের পর এবার ফেমোটিডিন নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। সস্তার এই ওষুধটি সাধারণত অম্বল বা বুকজ্বালা ও অ্যাসিডিটির জন্য ব্যবহার করা হয়। কোথাও এটি ফেমোসিড, কোথাও পেপসিড হিসেবে বিক্রি করা হয়। এই ওষুধটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষা অনেকটা এগিয়েছে। তবে এর কার্যকারিতা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি। চীনেও করোনা মোকাবিলায় এই ওষুধটি ব্যবহার সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তবে এরই মধ্যে ভারত সরকারের একটি সিদ্ধান্তে ভারতেও ফেমিটিডিন নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এই ফেমোটিডিন ওষুধের যোগান ও উৎপাদন বাড়িয়ে মজুদ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের রসায়ন ও সার প্রতিমন্ত্রী মানসুখ মান্ডভিয়া এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফামাসিউটিক্যাল মন্ত্রকের সচিব পি ডি বাঘেলা, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির চেয়ারম্যান শুভ্রা সিং এবং জনঔষধি পরিযোজনার সিইও শচীন সিং।  সংবাদমাধ্যম সুত্রের খবর, ভারত সরকার ভারতীয় জনঔষধি পরিযোজনা এবং নিয়ামক সংস্থা  ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটিকে ফেমোটিডিনের প্রাপ্যতা এবং উৎপাদন ক্ষমতার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে সরকার অনুমান করছে, আগামী দিনে ফেমোটিডিনের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যাবে। অবশ্য ভারতে এটি যথেষ্ট পরিমাণে উৎপাদন হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনার মোকাবিলায় এই ওষুধটির কার্যকারিতা খুব শিঘ্রই জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তখনই বোঝা যাবে ফেমোটিডিন করেনা মোকাবিলায় ভবিষ্যতের ওষুধ হয়ে উঠবে কিনা। মানুষও আশায় আশায় বুক বাঁধছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status