ভারত
হাসপাতালের করোনা ছবি ফাঁস হতে মোবাইল বন্ধের নির্দেশ!
কলকাতা প্রতিনিধি
২৩ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১২:১৫ অপরাহ্ন
মোবাইলের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ঘটতে পারে আশঙ্কা করে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলিতে মোবাইল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অন্য হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে এই সতর্কতা না নেয়ায় প্রশ্ন উঠেছে এই নির্দেশ জারির কারণ নিয়ে। এছাড়া ভারতের করোনা মোকাবিলার নোডাল সংস্থা আইসিএমআরও এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। তাই কোভিড হাসপাতালে মোবাইল বন্ধ করা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, অন্য হাসপাতালগুলিতেই বা মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় নি কেন? তবে চিকিৎসকদের একাংশের মতে, করোনা চিত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া আটকাতেই মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স’-এর সম্পাদক মানস গুমটা বলেছেন, সংক্রমণের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে জারি করা নির্দেশিকার বিরোধিতা করার কিছু নেই। কিন্তু বাঙুরের অব্যবস্থার ছবি বাইরে বেরোনোর পরে এই নির্দেশিকা কেন জারি হল, সেটাও ভাবতে হবে। এতদিন মোবাইলের মাধ্যমে সংক্রমণের ব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনও হেলদোল ছিল না। সম্প্রতি একটি রাজ্যের অন্যতম কোভিড হাসপাতাল এম আর বাঙুরের আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভিতরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সম্প্রতি এক যুবক ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ওই যুবকের ভিডিও নিয়ে সোরগোল তৈরি হয়েছে। ঐ যুবক দেখিয়েছেন, তার পাশেই তিনজন মৃত রোগী পড়ে রয়েছেন ঘন্টার পর ঘন্টা। এছাড়াও অব্যবস্থার আরও কিছু চিত্র যুবকটি তুলে ধরে ছিলেন। ঘটনাচক্রে, এর পরেই স্বাস্থ্য ভবনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মোবাইল নিষেধাজ্ঞা জারি করে পোস্ট করা হয়। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, মোবাইল ফোন থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে কোভিড হাসপাতালের ভিতরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী সকলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ বলেছেন, সংক্রমণের সব চেয়ে বেশি আশঙ্কা মোবাইল ফোন থেকে। সর্বত্রই এই তত্ত্ব মেনে চলা হচ্ছে। মোবাইল ফোন যতটা সংক্রমিত, জুতোও ততটা নয়। সেই কারণেই ল্যান্ডলাইন ফোনের ব্যবস্থা করে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রোগী, চিকিৎসক, নার্স বা চিকিৎসাকর্মী সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।