ভারত
পশ্চিমবঙ্গে চালু হলো র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট
কলকাতা প্রতিনিধি
২১ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:১৪ অপরাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গের হটস্পট এলাকার জন্য র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট এবং অন্যান্য এলাকার জন্য পুল টেস্ট শুরু করে করোনা সংক্রমণের খোঁজ পাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। রবিবার রাতেই এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সোমবার উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া বস্তিতে শুরু হয়েছে এই র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট । বেলগাছিয়া বস্তিতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বাস। ইতিমধ্যে সেখানে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। এছাড়া হাওড়াতেও চালু করা হয়েছে এই র্যাপিড টেস্ট। এই পরিস্থিতিতে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে রক্তে এক ধরনের অ্যান্টিবডির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। আসলে শরীরে কোনও ভাইরাস ঢুকলে দেহের মধ্যে নিজে থেকেই একটি ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ফলে কারও শরীরে এই অ্যান্টিবডি পাওয়া গেলে বুঝতে হবে সেই ব্যক্তির সংক্রমণ রয়েছে। তখনই তাঁকে আলাদা করে করোনাভাইরাস টেস্ট করা হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের ফল পাওয়া যায়। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর টেস্টের সঙ্গে সঙ্গেই কাউকে এই ফল জানাতে নিষেধ করা হয়েছে। অহেতুক আতঙ্ক যাতে তৈরি না হয় সেজন্যই এই নির্দেশ বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ঠেকাতে টেস্টই একমাত্র উপায়। লকডাউন অর্থহীন হয়ে যাবে যদি না বেশি সংখ্যায় টেস্ট করা হয়। অথচ এ রাজ্যে টেস্টের পরিমান যথেষ্ট কম বলেই অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের তরফ থেকেও। এদিকে যে সব জায়গায় কোনও সংক্রমণ নেই সেই সব জায়গায় ৫ জন করে পুল করে কম সময়ে একসঙ্গে পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, পুল টেস্ট পদ্ধতিতে ৫ জনের লালা সংগ্রহ করে একসঙ্গে মিশিয়ে পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে ধরা হবে ওই ৫ জনের কেউ সংক্রমিত হননি। পজিটিভ এলে ওই ৫ জনের আলাদা করে ফের পরীক্ষা করা হবে। এই পুল টেস্ট পদ্ধতিতে দ্রুততার সঙ্গে অনেকের টেস্ট করা সম্ভব হবে ইতিমধ্যেই কয়েকটি রাজ্যে এর সুফল পাওয়া গিয়েছে।