মত-মতান্তর
করোনায় ‘ন্যাড়া’ হওয়ার ধূম
কাজল ঘোষ
১১ এপ্রিল ২০২০, শনিবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
ডিজিটাল দুনিয়ায় নানান রকম বন্ধুত্ব। একেক বন্ধুত্বের রকমফেরও একেকরকম। এরমধ্যে একটি বড় অংশ জুড়ে আছে সামাজিক মাধ্যম। যেখানে আছে লাইক আর কমেন্ট। কিন্তু বুক ধরফরের কোন বিষয় নেই। রাগ অভিমান নেই। সকলেরই লম্বা তালিকা বন্ধুত্বের। আর এই বন্ধুদের করোনার দিনলিপি খেয়াল করলে অদ্ভূত বিষয় নজরে পড়ছে। আর তা হলো টাক বা ন্যাড়া হওয়ার ধূম। একজন ন্যাড়া মাথায় ছবি পোস্ট করে তো পাল্টা আরেকজনের পোস্ট। ফেসবুকের পাতা স্ক্রল করে এমন মজার মজার সব তথ্য পাচ্ছি।
একটি বীমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি হালে বড় ব্যবসায়ীও। তিনি ন্যাড়া হয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, কোয়ারেন্টিন দিনলিপি। তার দেখাদেখি অধিনস্থ এক কর্মকর্তাও স্যারকে ফিরতি পোস্ট ট্যাগ করেছেন নাড়– মাথায়। আরেক কর্মকর্তা মন্তব্য লিখেছেন খেলাতো জমে ওঠেছে। আমি আর বাদ যাই কেন? ধারাবাহিক পোস্টগুলো এভাবেই চলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছেন ছুটির সকালটা অন্যরকম বলে। তার নিজের ছবিটিতে মাথাভর্তি চুল হাওয়া। উৎসুক হয়ে দেখা হলে জানতে চেয়েছি, কি ভাই চুল গেল কই? সাময়িক কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছি চুলগুলোকে। এই লকডাউন সেলুন ফেলেন কই? কেন এখন তো নিজের বাসাতেই সেলুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাহীদুল করোনায় আটকে আছেন যশোরে। গ্রামের বাড়িতে লম্বা সময় আটকে থাকায় হতাশ। কিন্তু তাতে কি? কিছু তো করা চাই, হয়ে গেলেন ন্যাড়া। তার ছবির নিচে ক্যাপশন ছিল একজন সেফুদা।
একটি মিডিয়া হাউজের খবর জানি। যেখানে একসঙ্গে টাক হয়েছেন আঠারো জন। প্রত্যেকেই সহকর্মী। তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি এর পেছনে কারণ কি? অঙ্ক মেলানো খুবই সহজ। লকডাউনে সেলুন সব বন্ধ। কবে চুল কাটতে পারবে তার ঠিক নেই। তাই চুল ফেলে দেয়া হচ্ছে উত্তম কাজ। তার মধ্যে পড়েছে তীব্র গরম। তাই এক অন্যকে খুনশুটি করা থেকে বিরত থাকতে দলবেঁধে সকলেই চুল ফেলে দিয়েছেন।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও একইরকমের খবর আসছে। কোয়ারেন্টিন আর করোনার লকডাউন পিরিয়ডে সকলেই ন্যাড়া হয়ে গৃহবাসী হচ্ছেন।
একটি বীমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি হালে বড় ব্যবসায়ীও। তিনি ন্যাড়া হয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, কোয়ারেন্টিন দিনলিপি। তার দেখাদেখি অধিনস্থ এক কর্মকর্তাও স্যারকে ফিরতি পোস্ট ট্যাগ করেছেন নাড়– মাথায়। আরেক কর্মকর্তা মন্তব্য লিখেছেন খেলাতো জমে ওঠেছে। আমি আর বাদ যাই কেন? ধারাবাহিক পোস্টগুলো এভাবেই চলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছেন ছুটির সকালটা অন্যরকম বলে। তার নিজের ছবিটিতে মাথাভর্তি চুল হাওয়া। উৎসুক হয়ে দেখা হলে জানতে চেয়েছি, কি ভাই চুল গেল কই? সাময়িক কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছি চুলগুলোকে। এই লকডাউন সেলুন ফেলেন কই? কেন এখন তো নিজের বাসাতেই সেলুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাহীদুল করোনায় আটকে আছেন যশোরে। গ্রামের বাড়িতে লম্বা সময় আটকে থাকায় হতাশ। কিন্তু তাতে কি? কিছু তো করা চাই, হয়ে গেলেন ন্যাড়া। তার ছবির নিচে ক্যাপশন ছিল একজন সেফুদা।
একটি মিডিয়া হাউজের খবর জানি। যেখানে একসঙ্গে টাক হয়েছেন আঠারো জন। প্রত্যেকেই সহকর্মী। তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি এর পেছনে কারণ কি? অঙ্ক মেলানো খুবই সহজ। লকডাউনে সেলুন সব বন্ধ। কবে চুল কাটতে পারবে তার ঠিক নেই। তাই চুল ফেলে দেয়া হচ্ছে উত্তম কাজ। তার মধ্যে পড়েছে তীব্র গরম। তাই এক অন্যকে খুনশুটি করা থেকে বিরত থাকতে দলবেঁধে সকলেই চুল ফেলে দিয়েছেন।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও একইরকমের খবর আসছে। কোয়ারেন্টিন আর করোনার লকডাউন পিরিয়ডে সকলেই ন্যাড়া হয়ে গৃহবাসী হচ্ছেন।