খেলা
শোয়েবের পাক-ভারত চ্যারিটি সিরিজের প্রস্তাবে কপিল দেব বললেন ‘ভারতের টাকার প্রয়োজন নেই’
স্পোর্টস ডেস্ক
৯ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৪:১৫ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার গতকাল বুধবার করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তহবিল সংগ্রহের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তাব দেন। দুবাইয়ে ‘ক্লোজ ডোর’ স্টেডিয়ামে সিরিজটি আয়োজনেরও প্রস্তাব দেন তিনি। এই সিরিজ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দু’দেশের সরকারি তহবিলে দেয়ার কথাও জানান শোয়েব। পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকার এমন প্রস্তাবের জবাবে ভারতের বিশ^কাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় ভারতের পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। সিরিজ আয়োজন করে তহবিল গঠনের প্রয়োজন নেই।
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া সাক্ষাতকারে কপিল দেব বলেন, ‘সে (শোয়েব) তার মতামত দিয়েছে। এটা সে দিতেই পারে। তবে ভারতের অর্থের প্রয়োজন নেই। করোনা তহবিলে যথেষ্ট অর্থ আছে। বিসিসিআই ইতোমধ্যে ৫১ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছে। প্রয়োজনে অনুদানের পরিমাণ বাড়বে। চলমান পরিস্থিতিতে তো নয়ই; আগামী ছয় মাস ক্রিকেট নিয়ে ভাবার মতোও পরিস্থিতি নেই। ক্রিকেট তো আর দেশের চাইতে বড় হতে পারে না। সবকিছু যখন পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে তখনই ক্রিকেট আবার শুরু উচিত।’
শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করা যেতে পারে। যেখানে প্রথমবারের মতো কোনও দেশের মানুষ খেলার ফলাফল দেখে বিরক্ত হবে না। বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি হাঁকালেও আমরা (পাকিস্তানিরা) হাততালি দেব। আবার বাবর আজম শতরান করলে ভারতীয়রাও হয়তো খুশি হবে। মাঠে যাই ঘটুক না কেন উভয় দলই বিজয়ী হবে।’
‘সিরিজটি আয়োজিত হলে দু’দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হওয়ার খরাও কাটবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দর্শক চাহিদা সবার জানা। এই সিরিজ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দু’দেশের করোনা তহবিলে সমান ভাবে দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।’
‘তবে এই পরিস্থিতিতে সিরিজটি আয়োজন করার পক্ষে নই আমি। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে হলে আয়োজন করা যেতে পারে। অবশ্যই সিরিজটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এবং দর্শকশূন্য মাঠে হবে। যাতায়াতের সুবিধায় চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’
‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ক্রিকেটীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কও পুনরুদ্ধারের পথ তৈরি হবে। এই সময়ে সারা বিশ^কে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। কঠিন পরিস্থিতিতেই কেবল একটি দেশ কিংবা জাতির চরিত্র ফুটে ওঠে।’
শোয়েব আখতার দু’দেশকে শত্রুতা ভুলে এক হয়ে লড়াইয়ের আহবান জানিয়ে বলেন, ‘ভারত যদি পাকিস্তানকে ১০ হাজার ভেন্টিলেটর যন্ত্র উপহার দেয় সেটা আমাদের দেশের মানুষ সারাজীবন কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করবে। যদিও আমরা এটা চাইবো না। শুধু একটা ক্রিকেট সিরিজ হোক সেটাই আপাতত চাওয়া। এটা নির্ভর করবে উভয় দেশের সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।’
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া সাক্ষাতকারে কপিল দেব বলেন, ‘সে (শোয়েব) তার মতামত দিয়েছে। এটা সে দিতেই পারে। তবে ভারতের অর্থের প্রয়োজন নেই। করোনা তহবিলে যথেষ্ট অর্থ আছে। বিসিসিআই ইতোমধ্যে ৫১ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছে। প্রয়োজনে অনুদানের পরিমাণ বাড়বে। চলমান পরিস্থিতিতে তো নয়ই; আগামী ছয় মাস ক্রিকেট নিয়ে ভাবার মতোও পরিস্থিতি নেই। ক্রিকেট তো আর দেশের চাইতে বড় হতে পারে না। সবকিছু যখন পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে তখনই ক্রিকেট আবার শুরু উচিত।’
শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করা যেতে পারে। যেখানে প্রথমবারের মতো কোনও দেশের মানুষ খেলার ফলাফল দেখে বিরক্ত হবে না। বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি হাঁকালেও আমরা (পাকিস্তানিরা) হাততালি দেব। আবার বাবর আজম শতরান করলে ভারতীয়রাও হয়তো খুশি হবে। মাঠে যাই ঘটুক না কেন উভয় দলই বিজয়ী হবে।’
‘সিরিজটি আয়োজিত হলে দু’দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হওয়ার খরাও কাটবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দর্শক চাহিদা সবার জানা। এই সিরিজ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দু’দেশের করোনা তহবিলে সমান ভাবে দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।’
‘তবে এই পরিস্থিতিতে সিরিজটি আয়োজন করার পক্ষে নই আমি। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে হলে আয়োজন করা যেতে পারে। অবশ্যই সিরিজটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এবং দর্শকশূন্য মাঠে হবে। যাতায়াতের সুবিধায় চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’
‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ক্রিকেটীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কও পুনরুদ্ধারের পথ তৈরি হবে। এই সময়ে সারা বিশ^কে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। কঠিন পরিস্থিতিতেই কেবল একটি দেশ কিংবা জাতির চরিত্র ফুটে ওঠে।’
শোয়েব আখতার দু’দেশকে শত্রুতা ভুলে এক হয়ে লড়াইয়ের আহবান জানিয়ে বলেন, ‘ভারত যদি পাকিস্তানকে ১০ হাজার ভেন্টিলেটর যন্ত্র উপহার দেয় সেটা আমাদের দেশের মানুষ সারাজীবন কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করবে। যদিও আমরা এটা চাইবো না। শুধু একটা ক্রিকেট সিরিজ হোক সেটাই আপাতত চাওয়া। এটা নির্ভর করবে উভয় দেশের সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।’