অনলাইন

ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে, বহু মানুষেরতো ঘরই নেই

মরিয়ম চম্পা

৫ এপ্রিল ২০২০, রবিবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন

করোনার কারণে দেশে লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। কিন্তু বহু মানুষেরতো থাকার ঘরই নেই। কেউ আবার ছোট্ট একটি ঘরে অনেকগুলো মানুষ মিলে গাদাগাদি করে থাকছে। তাদের সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা কে দেবেন। এ প্রশ্ন শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর। চাকরি বাঁচাতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের দলবেধে পায়ে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নেতিবাচক। এরকম একটি ভয়ংকর পরিস্থিতি (করোনা) আসছে যেটাকে ওভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় নি। গুরুত্ব না দেয়ার কারণে কোনোরকম প্রস্তুতিতো ছিলোই না, পরিকল্পনাও নেয়া হয় নি। এই পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস শিল্প-কারখানা চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।এতে নানা রকম বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে।গার্মেন্টস মালিকরা অনেক শক্তিশালী। কাজেই তারা প্রভাব বিস্তার করে কারখানা চালু রাখছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না সেটা দেখা জরুরি। কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত-স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা, দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কি না এগুলো মালিকরা দেখে না। আরেকটি বড় ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। কিন্তু বহু মানুষেরতো ঘরই নাই। হাজার হাজার মানুষ একত্রে থাকছে। এ বিষয়টি আগে কখনও আমাদের সামনে উন্মোচিত হয় নি। এখানকার শ্রমজীবী মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তারা কিভাবে আছে। তারা বিপদজনক অবস্থায় আছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা খুবই বিপর্যস্ত হবে। আরেকটি কথা হলো আবাসন স্বার্থে এতোদিন আমাদের তাকানোই হয় নি। ঘরে থাকতে বললেইতো হবে না। তাদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। থাকার মতো অবস্থা নেই। এসকল বিষয়গুলো করোনা কোভিডের আক্রমণের মধ্যে দিয়ে উন্মোচিত হলো। আশা করছি এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। আগে তাদেরকে বাঁচাতে হবে। খেটে খাওয়া মানুষগুলো ত্রাণ সংগ্রহ করতে গেলে পাচ্ছে না। পুরো বাস্তবতাটাকেই দেখতে হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status