অনলাইন
করোনা, ২০-৫০ লাখ মারা যাওয়ার আশঙ্কা অতিরঞ্জিত, বহু দেশ থেকে আমরা ভাল আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৪ এপ্রিল ২০২০, শনিবার, ২:৪০ পূর্বাহ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ২০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা অতিরঞ্জিত। শনিবার ইস্কাটনস্থ সরকারি বাসভবনে (পররাষ্ট্র ভবন) দু'টি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপে মন্ত্রী এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তার একটি ভিডিও ক্লিপ হাতে পেয়েছে মানবজমিন। মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে অালাপে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিসহ সম-সাময়িক নানা বিষয়ে কথা বলেন। তার ভাষ্যটি ছিল এমন- "একজন ধারণা করে বললো ২০-৫০ লাখ মারা যাবে, অন্যরা প্রচার করে দিলো, এটা অতিরঞ্জিত।" এ সময় মন্ত্রী বিবিসির নাম উল্লেখ করে বলেন, বিবিসিকে আমরা সব সময় সম্মানের চোখে দেখি। কিন্তু ১৯৯৮ সালের বন্যায় তারা দেশে ৩ মিলিয়ন লোক মারা যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ একটি রিপোর্ট করলো। বন্যা পরবর্তী সময়ে হিসাব করে দেখা গেলো সারা দেশে ১৪৯ জন মারা গেছে। আগাম বা পূর্বাভাষ সংক্রান্ত এসব রিপোর্টকে গুজব আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, গুজবে কারও কান দেয়া উচিত না। যারা এমন পূর্বাভাষ দিচ্ছেন তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে সন্দেহ পোষণ করে মন্ত্রী মোমেন বলেন, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের চেয়ে আমরা ভাল আছি।
বন্ধ ফ্লাইট খুলতে চাপে ঢাকা:
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিশেষত: বৃটেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বন্ধ বিমান যোগাযোগ দ্রুত চালুর বিষয়ে ওইসিডি কান্ট্রিগুলোর প্রতিনিধিরা নানাভাবে ঢাকার ওপর চাপ তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন। বলেন, তারা আমাদের বলেছেন, ইউরোপ থেকে না-কি করোনা মোকাবিলায় মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ডাক্তার, নার্স সহায়তা দেয়া হবে। ফ্লাইট চালু না হলে তারা এ সব পাঠাতে পারছেন না। আমরা তাদের সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছি। তবে জানিয়েছি পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ফ্লাইট খুলতে পারছি না। ৭ ই এপ্রিল পর্যন্ত ফ্লাইট আপাতত বন্ধ। ওই সময়ের মধ্যে আমাদের কমিটি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে, এটা ৭ তারিখে খুলবে নাকি ১১ তারিখ খুলবে?
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, মজার বিষয় হচ্ছে যারা আমাদের ফ্লাইট খুলতে পীড়াপীড়ি করছেন, নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন, যেমন অস্ট্রেলিয়া- তারা কিন্তু ইনকামিং আউট গোয়িং সব ফ্লাইট বন্ধ রেখেছেন। অথচ আমাদের বলছে ফ্লাইট বন্ধ করা ঠিক হয়নি। বৃটেনও চাপ দিচ্ছে। তারাও বলছে লন্ডন, ম্যানচেস্টার, সিলেটে ফ্লাইট খোলা রাখতে। তারা নানাভাবে চাপ দিচ্ছে আমরা যেনো এগুলো তাড়াতাড়ি খুলে দেই। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ, প্রবাসী যারা সচেতন, সিলেটের লোকজন এমনকি লন্ডন থেকে প্রায় প্রতিদিনই ফোন পাচ্ছি, তারা বলছেন, দয়া করে ফ্লাইট খুলবেন না। খুললে বৃটেনে কর্মহীন লোকজন দেশে যাবে, এটা আমাদের জন্য বড় বিপদের কারণ হবে। এ সময় ভারত, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে আটকে পড়া বাংলাদশিদের ফেরানো সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড খুবই কড়া। সেখানে বিমান পাঠালে ১৪ দিন ক্রুসহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এর মধ্যে যদি কারও করোনা শনাক্ত হয় তাহলে ৫ লাখ বাথ জরিমানা গুনতে হবে। সিঙ্গাপুরে ৮০-৯০ বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। তাদেরও ফেরানোর আপাতত কোনে সূযোগ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বলেন, ভারতে প্রায় ২৫০০ এর মত আটকা। তাদের ফেরানোর একটা চিন্তা হয়েছিল। কিন্তু ভারত কাউকে ঢুকতে বা বের হতে নিরোতসাহীত করছে। সেখানে এক এলাকা থেক অন্য এলাকায় যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ। তাছাড়া ভারত সবার খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করছে। আমাদের মিশন, সরকার (সবাই) তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেই বিষয়টি খেয়াল রাখছি। পদ্মাসেতু ও মেট্টোরেলের মতো মেগা প্রজেক্টগুলোর যেটুকু পিছিয়েছে বা পিছিয়ে যাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ডাবল এফোর্ট দিয়ে তা পুষিয়ে নেয়া হবে- চীন ও জাপানের তরফে এমন আশ্বাস পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ছেড়ে যাওয়া জাপানি নাগরিকরা বিভিন্ন প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। করোনার কারণে তাদের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় তারা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গেছেন। আমেরিকান যারা গেছেন তাদের মধ্য বেশিরভাগই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। তারা ট্যাক্স দিতে, বাড়ি ভাড়া তুলতে এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রণোদনা পেতে আবেদন করতে গেছেন। এখান থেকে আমেরিকান নাগরিক, কূটনীতিক বা পরিবার গেছেন খুবই কম। বড়জোর ১০-১৫ ফ্যামিলি হবে।
বন্ধ ফ্লাইট খুলতে চাপে ঢাকা:
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিশেষত: বৃটেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বন্ধ বিমান যোগাযোগ দ্রুত চালুর বিষয়ে ওইসিডি কান্ট্রিগুলোর প্রতিনিধিরা নানাভাবে ঢাকার ওপর চাপ তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন। বলেন, তারা আমাদের বলেছেন, ইউরোপ থেকে না-কি করোনা মোকাবিলায় মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ডাক্তার, নার্স সহায়তা দেয়া হবে। ফ্লাইট চালু না হলে তারা এ সব পাঠাতে পারছেন না। আমরা তাদের সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছি। তবে জানিয়েছি পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ফ্লাইট খুলতে পারছি না। ৭ ই এপ্রিল পর্যন্ত ফ্লাইট আপাতত বন্ধ। ওই সময়ের মধ্যে আমাদের কমিটি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে, এটা ৭ তারিখে খুলবে নাকি ১১ তারিখ খুলবে?
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, মজার বিষয় হচ্ছে যারা আমাদের ফ্লাইট খুলতে পীড়াপীড়ি করছেন, নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন, যেমন অস্ট্রেলিয়া- তারা কিন্তু ইনকামিং আউট গোয়িং সব ফ্লাইট বন্ধ রেখেছেন। অথচ আমাদের বলছে ফ্লাইট বন্ধ করা ঠিক হয়নি। বৃটেনও চাপ দিচ্ছে। তারাও বলছে লন্ডন, ম্যানচেস্টার, সিলেটে ফ্লাইট খোলা রাখতে। তারা নানাভাবে চাপ দিচ্ছে আমরা যেনো এগুলো তাড়াতাড়ি খুলে দেই। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ, প্রবাসী যারা সচেতন, সিলেটের লোকজন এমনকি লন্ডন থেকে প্রায় প্রতিদিনই ফোন পাচ্ছি, তারা বলছেন, দয়া করে ফ্লাইট খুলবেন না। খুললে বৃটেনে কর্মহীন লোকজন দেশে যাবে, এটা আমাদের জন্য বড় বিপদের কারণ হবে। এ সময় ভারত, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে আটকে পড়া বাংলাদশিদের ফেরানো সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড খুবই কড়া। সেখানে বিমান পাঠালে ১৪ দিন ক্রুসহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এর মধ্যে যদি কারও করোনা শনাক্ত হয় তাহলে ৫ লাখ বাথ জরিমানা গুনতে হবে। সিঙ্গাপুরে ৮০-৯০ বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। তাদেরও ফেরানোর আপাতত কোনে সূযোগ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বলেন, ভারতে প্রায় ২৫০০ এর মত আটকা। তাদের ফেরানোর একটা চিন্তা হয়েছিল। কিন্তু ভারত কাউকে ঢুকতে বা বের হতে নিরোতসাহীত করছে। সেখানে এক এলাকা থেক অন্য এলাকায় যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ। তাছাড়া ভারত সবার খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করছে। আমাদের মিশন, সরকার (সবাই) তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেই বিষয়টি খেয়াল রাখছি। পদ্মাসেতু ও মেট্টোরেলের মতো মেগা প্রজেক্টগুলোর যেটুকু পিছিয়েছে বা পিছিয়ে যাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ডাবল এফোর্ট দিয়ে তা পুষিয়ে নেয়া হবে- চীন ও জাপানের তরফে এমন আশ্বাস পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ছেড়ে যাওয়া জাপানি নাগরিকরা বিভিন্ন প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। করোনার কারণে তাদের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় তারা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গেছেন। আমেরিকান যারা গেছেন তাদের মধ্য বেশিরভাগই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। তারা ট্যাক্স দিতে, বাড়ি ভাড়া তুলতে এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রণোদনা পেতে আবেদন করতে গেছেন। এখান থেকে আমেরিকান নাগরিক, কূটনীতিক বা পরিবার গেছেন খুবই কম। বড়জোর ১০-১৫ ফ্যামিলি হবে।