করোনা আপডেট
ঢাকা থেকে ৭দিনেও বরিশালে আসেনি করোনার রিপোর্ট
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
৩ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
করোনা সন্দেহে রোগীদের নমুনা পাঠানোর ৭দিন পরও মেলেনি পরীক্ষার রিপোর্ট। ফলে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকা কেউ করোনা আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
এমনকি এখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যাওয়া পটুয়াখালীর জাকির হোসেন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা-ও জানা সম্ভব হয়নি।
ফলে সুস্থ অবস্থায় এসব মানুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্তরা বর্তমানে ঝুঁকিতে আছেন কি না, তা-ও সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। শেবাচিম হাসপাতালের করোনা সেলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা থেকে রিপোর্ট আনার চেষ্টা চলছে। তবে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রিপোর্ট দিতে পারেনি আইইডিসিআর।চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩ জন। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, যে দু’জন মারা গেছে তাদের মধ্যে একজন ছিল হার্টের রোগী। ভুলক্রমে তাকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল।
মারা যাওয়া অপরজন পটুয়াখালীর জাকির হোসেনের করোনা সংক্রান্ত সব উপসর্গই ছিল। এখানে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা যেমন নেই তেমনি ঢাকায় ড্রপলেট (করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান) পাঠানোরও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ড্রপলেট পাঠাতে যে কিট দরকার তা-ও আমরা পাইনি।
তারপরও বহু কষ্টে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে গত ২৮ মার্চ মারা যাওয়া জাকির হোসেনসহ মোট ৬ জনের ড্রপলেট ঢাকায় পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পরীক্ষার সেই রিপোর্ট বরিশালে এসে পৌঁছায়নি। করোনা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, আমাদের পাঠানো নমুনা রোববারই আইইডিসিআরে পৌঁছেছে।
তারা বিষয়টি আমাদেরকে নিশ্চিতও করেছে। রিপোর্ট পেতে এত দেরি কেন হচ্ছে, সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশা করছি আজ-কালের মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে যাব।
দেরি বলতে ওরা (আইইডিসিআর) আমাদেরকে যেটা বলেছে তা হল সারা দেশ থেকেই পরীক্ষার জন্য নমুনা যাচ্ছে সেখানে। যে কারণে দ্রুত পরীক্ষা এবং রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তবে তারা আমাদেরকে নিশ্চিত করেছে যে বৃহস্পতি/শুক্রবারের মধ্যেই পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবে। বরিশাল নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এমনিতেই বরিশালে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।
পিসিআর এলেও তা বসিয়ে কবে নাগাদ পরীক্ষা শুরু হবে বলতে পারছেন না কেউ। এমন অবস্থায় ঢাকা থেকে যদি ৬ দিনেও করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার রিপোর্ট না আসে তাহলে কী করে এটা প্রতিরোধ করব?
এমনকি এখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যাওয়া পটুয়াখালীর জাকির হোসেন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা-ও জানা সম্ভব হয়নি।
ফলে সুস্থ অবস্থায় এসব মানুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্তরা বর্তমানে ঝুঁকিতে আছেন কি না, তা-ও সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। শেবাচিম হাসপাতালের করোনা সেলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা থেকে রিপোর্ট আনার চেষ্টা চলছে। তবে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রিপোর্ট দিতে পারেনি আইইডিসিআর।চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩ জন। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, যে দু’জন মারা গেছে তাদের মধ্যে একজন ছিল হার্টের রোগী। ভুলক্রমে তাকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল।
মারা যাওয়া অপরজন পটুয়াখালীর জাকির হোসেনের করোনা সংক্রান্ত সব উপসর্গই ছিল। এখানে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা যেমন নেই তেমনি ঢাকায় ড্রপলেট (করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান) পাঠানোরও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ড্রপলেট পাঠাতে যে কিট দরকার তা-ও আমরা পাইনি।
তারপরও বহু কষ্টে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে গত ২৮ মার্চ মারা যাওয়া জাকির হোসেনসহ মোট ৬ জনের ড্রপলেট ঢাকায় পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পরীক্ষার সেই রিপোর্ট বরিশালে এসে পৌঁছায়নি। করোনা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, আমাদের পাঠানো নমুনা রোববারই আইইডিসিআরে পৌঁছেছে।
তারা বিষয়টি আমাদেরকে নিশ্চিতও করেছে। রিপোর্ট পেতে এত দেরি কেন হচ্ছে, সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশা করছি আজ-কালের মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে যাব।
দেরি বলতে ওরা (আইইডিসিআর) আমাদেরকে যেটা বলেছে তা হল সারা দেশ থেকেই পরীক্ষার জন্য নমুনা যাচ্ছে সেখানে। যে কারণে দ্রুত পরীক্ষা এবং রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তবে তারা আমাদেরকে নিশ্চিত করেছে যে বৃহস্পতি/শুক্রবারের মধ্যেই পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবে। বরিশাল নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এমনিতেই বরিশালে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।
পিসিআর এলেও তা বসিয়ে কবে নাগাদ পরীক্ষা শুরু হবে বলতে পারছেন না কেউ। এমন অবস্থায় ঢাকা থেকে যদি ৬ দিনেও করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার রিপোর্ট না আসে তাহলে কী করে এটা প্রতিরোধ করব?