অনলাইন
লকডাউন: বৃটেনে প্রেমিকার উদ্দেশ্যে পদযাত্রার পর তরুণ নিখোঁজ
বিশেষ প্রতিনিধি, বৃটেন থেকে
৩ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
প্রতীকী ছবি
লকডাউনের পর ২৮০ মাইল দূরের শহরে বসবাসরত প্রেমিকাকে দেখতে পদযাত্রা শুরু করেছিল এক তরুণ। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হবার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে সে তরুণ। ঘটনাটি ইস্ট সাসেক্সের সল্টডিয়ান এলাকার। নিখোঁজ তরুনের মা ছেলের সন্ধান পেতে পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন। বার্মিংহাম লাইভে প্রকাশিত এক সংবাদের তথ্য অনুযায়ী প্রেমিক ওয়ান হার্ডিং পরিবারের সাথে বাস করেন ইস্ট সাসেসক্সের সল্টডিয়ানে, অন্যদিকে প্রেমিকা মেঘ রোডসের বসবাস ২৮০ মাইল দূরের শহর ইয়র্কে। তারা দুইজনই ১৬ বছর বয়সী।
ধারনা করা হচ্ছে, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য লকডাউনে কারণে কোনো যানবাহন না পেয়ে ওয়েন হার্ডিং ২৮০ মাইল দূরের শহর ইয়র্কের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন। অবশ্য এমন সম্ভাব্য পদযাত্রার কথা বিশ্বাস করেন তার প্রেমিকা মেঘ রোডস। মেঘ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপের কারণে আমার সাথে দেখা করতে আসার জন্য সে ট্রেন ধরতে সক্ষম হননি। তারপর সম্ভবত সে পদযাত্রা শুরু করে। ইয়র্কের পকলিংটনের বাসিন্দা মেঘ রোডসের সাথে দীর্ঘ দুইবছর ধরে সম্পর্ক চলছে সাসেক্সের ওয়েন হার্ডিংয়ের।
মেঘ বলেন, ওয়েন ও আমি একে অপরকে ১১ বছর বয়স থেকেই জানি। গত দুই বছরে এটি বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যায়। মেঘ জানান, আমরা দুইজন দুই শহরে বসবাস করি। আমাদের পরস্পরের সঙ্গে দেখা করা কঠিন। তার উপর কোভিড-১৯ আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ওয়েন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হবার পর ট্রেন না পেয়ে সম্ভবত ইয়র্ক আসার জন্য পদযাত্রা করতে পারেন।
ওভেন হার্ডিংকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার মা স্টেলা।তিনি বলেন, নিজ থেকে অন্তর্ধান মতো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ছেলে নয় ওয়েন। আমার ভয় হচ্ছে, তার না আবার কোনো ক্ষতি হয়ে যায়। কারন ওয়েনের নিখোঁজ হওয়া এবং বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ না করা একেবারে অসদৃশ। ফলে আমাদের জন্য এটি একটি সত্যিই কঠিন সময়। আমরা সকলেই দারুনভাবে উদ্বিগ্ন।
দ্য মিরর তাদের প্রতিবেদন জানিয়েছে, ওয়েন হার্ডিংকে ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটার মাঝামাঝি একসময় বাসা থেকে বের হতে দেখা গেছে সর্বশেষ। সাসেক্স পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার সময় তাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় সর্বশেষ দেখা যায়। এরপর থেকে কোনো বন্ধু বা পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ হয়নি। সাসেক্স পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা চিফ ইন্সপেক্টর আলাসদায়ের হেনরি বলেছেন, আমরা ওয়েনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকটি অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। যার মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি খোঁজখবর নেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া তার ফোনটি লন্ডনের ব্রোমলি এলাকায় চালু ছিল বলে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে সেখানেও সেখানেও তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, আমরা ওয়েনের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের পাশাপাশি, ওয়েনের অবস্থান নিশ্চিত হতে তার সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে চাইলে তা নেব। বিশেষত, ওয়েনের নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধ্যায় সল্টডিয়ান এবং টেলসকম্বি ক্লিফস এলাকায় যারা গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার সাথে কথা বলব। তাদের গাড়ির ড্যাশক্যাম ফুটেজ পরীক্ষা করব। নিখোঁজ ওয়েন ৬ ফুট দীর্ঘ, সুঠামদেহের, বাদামী রঙের চুলের এক তরুণ। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সে একটি কালো হুড়ি, ধূসর ট্র্যাকস্যূট ট্রাউজার ও সাদা ট্রেনার পরিহিত ছিলেন। ওয়েনের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য জানা থাকেন জরুরি নাম্বারে ফোন করে সাসেক্স পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
ধারনা করা হচ্ছে, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য লকডাউনে কারণে কোনো যানবাহন না পেয়ে ওয়েন হার্ডিং ২৮০ মাইল দূরের শহর ইয়র্কের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন। অবশ্য এমন সম্ভাব্য পদযাত্রার কথা বিশ্বাস করেন তার প্রেমিকা মেঘ রোডস। মেঘ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপের কারণে আমার সাথে দেখা করতে আসার জন্য সে ট্রেন ধরতে সক্ষম হননি। তারপর সম্ভবত সে পদযাত্রা শুরু করে। ইয়র্কের পকলিংটনের বাসিন্দা মেঘ রোডসের সাথে দীর্ঘ দুইবছর ধরে সম্পর্ক চলছে সাসেক্সের ওয়েন হার্ডিংয়ের।
মেঘ বলেন, ওয়েন ও আমি একে অপরকে ১১ বছর বয়স থেকেই জানি। গত দুই বছরে এটি বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যায়। মেঘ জানান, আমরা দুইজন দুই শহরে বসবাস করি। আমাদের পরস্পরের সঙ্গে দেখা করা কঠিন। তার উপর কোভিড-১৯ আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ওয়েন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হবার পর ট্রেন না পেয়ে সম্ভবত ইয়র্ক আসার জন্য পদযাত্রা করতে পারেন।
ওভেন হার্ডিংকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার মা স্টেলা।তিনি বলেন, নিজ থেকে অন্তর্ধান মতো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ছেলে নয় ওয়েন। আমার ভয় হচ্ছে, তার না আবার কোনো ক্ষতি হয়ে যায়। কারন ওয়েনের নিখোঁজ হওয়া এবং বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ না করা একেবারে অসদৃশ। ফলে আমাদের জন্য এটি একটি সত্যিই কঠিন সময়। আমরা সকলেই দারুনভাবে উদ্বিগ্ন।
দ্য মিরর তাদের প্রতিবেদন জানিয়েছে, ওয়েন হার্ডিংকে ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটার মাঝামাঝি একসময় বাসা থেকে বের হতে দেখা গেছে সর্বশেষ। সাসেক্স পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার সময় তাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় সর্বশেষ দেখা যায়। এরপর থেকে কোনো বন্ধু বা পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ হয়নি। সাসেক্স পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা চিফ ইন্সপেক্টর আলাসদায়ের হেনরি বলেছেন, আমরা ওয়েনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকটি অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। যার মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি খোঁজখবর নেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া তার ফোনটি লন্ডনের ব্রোমলি এলাকায় চালু ছিল বলে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে সেখানেও সেখানেও তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, আমরা ওয়েনের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের পাশাপাশি, ওয়েনের অবস্থান নিশ্চিত হতে তার সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে চাইলে তা নেব। বিশেষত, ওয়েনের নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধ্যায় সল্টডিয়ান এবং টেলসকম্বি ক্লিফস এলাকায় যারা গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার সাথে কথা বলব। তাদের গাড়ির ড্যাশক্যাম ফুটেজ পরীক্ষা করব। নিখোঁজ ওয়েন ৬ ফুট দীর্ঘ, সুঠামদেহের, বাদামী রঙের চুলের এক তরুণ। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সে একটি কালো হুড়ি, ধূসর ট্র্যাকস্যূট ট্রাউজার ও সাদা ট্রেনার পরিহিত ছিলেন। ওয়েনের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য জানা থাকেন জরুরি নাম্বারে ফোন করে সাসেক্স পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।