খেলা
এবার সৈনিক হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে চান চয়ন
স্পোর্টস রিপোর্টার
২ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:১৬ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসে স্থবির পুরো ক্রীড়াঙ্গন। খেলাধুলা বন্ধে সবাই যখন গৃহবন্দি, তখনই দেশকে কিছু দেয়ার জন্য বাইরে বেরুতে চাইছেন মামুনুর রহমান চয়ন। করোনা ক্রান্তিতে এগিয়ে আসতে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় হকি দলের সাবেক এই অধিনায়ক। নির্দেশনা এলেই দেশ ও জনগণের স্বার্থে মাঠে নামতে চান বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর এই পেটি অফিসার।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে চাকরি করছেন জাতীয় হকি দলের রাসেল মাহমুদ জিমি, মামুনুর রহমান চয়ন, ফরহাদ আহমেদ শিতুল, সারওয়ার হোসেইন, আশরাফুল ইসলাম, মইনুল ইলাম কৌশক, ফজলে হোসেইন রাব্বিরা। এরা সবাই সবশেষ ২০১৮ সালে জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। আর নৌবাহিনীর হয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে শহীদ স্মৃতি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। মাঠে খেলেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করতে চান না জাতীয় দলের এসব তারকারা। তারা চাইছেন দেশের এই দুর্যোগে অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মতো জনগণের পাশে দাঁড়াতে। তবে সাধারণ নৌসেনাদের মতো খেলোয়াড়দের দায়িত্ব এক নয়। তাদের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যেন দেশের যেকোনো জরুরি মুহূর্তে অংশ নিতে পারে। এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান চয়ন বলেন, ‘আমরা সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি। চাকরিজীবী হিসেবে আমাদের প্রথম পরিচয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর। তারপর আমরা হকির খেলোয়াড়। নৌবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে আমার প্রথম কাজ হলো দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে আমাদের কোনো ছুটি নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জেলা পর্যায়ে সেবা দিচ্ছে আর আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সমুদ্রে যেখানে সেনাবাহিনী যেতে পারে না। যেহেতু আমরা ঢাকায় আছি, আমাদের দায়িত্ব হলো প্রশাসনিক কাজ করে যাওয়া।’
চয়ন নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবেন, যদি এমন সময়ে দেশের স্বার্থে মাঠে কাজ করার নির্দেশনা আসে। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিত দুদিন থেকে ভালো। কিন্তু খারাপ অবস্থায় গেলে আমরা মন থেকেই যেকোনো নির্দেশনা নিয়েই দেশের স্বার্থে নেমে যেতে প্রস্তুত আছি। জাতীয় দলে যেমন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতাম তেমন নৌবাহিনীর হয়ে মাঠ পর্যায়ে জনগণের সেবা করতে পারলে নিজেকে আরো সৌভাগ্যবান ভাবতাম, আমরা প্রস্তুত। উপর থেকে নির্দেশনা আসলেই আমরা মাঠে নেমে যাবো।’
২০০৪ সালে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন চয়ন। ১৪ বছর ক্যারিয়ারে পাঁচ-ছয় বছর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। পেনাল্টিকর্নার স্পেশালিস্ট হিসেবে বিখ্যাত তিনি। হকি খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে খেলে হঠাত অবসরের ঘোষণা দেন। তবে জাতীয় দল থেকে বিদায় নিলেও হকি ছাড়েননি, খেলে যাচ্ছেন নৌবাহিনীর হয়ে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশের জনগণের প্রতি চয়নের পরামর্শ- স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি। একেবারে জরুরি না হলে বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। বাসায় থাকুন। আপনি, আপনার পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য নির্দেশনা মানা অতি জরুরি।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে চাকরি করছেন জাতীয় হকি দলের রাসেল মাহমুদ জিমি, মামুনুর রহমান চয়ন, ফরহাদ আহমেদ শিতুল, সারওয়ার হোসেইন, আশরাফুল ইসলাম, মইনুল ইলাম কৌশক, ফজলে হোসেইন রাব্বিরা। এরা সবাই সবশেষ ২০১৮ সালে জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। আর নৌবাহিনীর হয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে শহীদ স্মৃতি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। মাঠে খেলেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করতে চান না জাতীয় দলের এসব তারকারা। তারা চাইছেন দেশের এই দুর্যোগে অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মতো জনগণের পাশে দাঁড়াতে। তবে সাধারণ নৌসেনাদের মতো খেলোয়াড়দের দায়িত্ব এক নয়। তাদের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যেন দেশের যেকোনো জরুরি মুহূর্তে অংশ নিতে পারে। এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান চয়ন বলেন, ‘আমরা সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি। চাকরিজীবী হিসেবে আমাদের প্রথম পরিচয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর। তারপর আমরা হকির খেলোয়াড়। নৌবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে আমার প্রথম কাজ হলো দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে আমাদের কোনো ছুটি নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জেলা পর্যায়ে সেবা দিচ্ছে আর আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সমুদ্রে যেখানে সেনাবাহিনী যেতে পারে না। যেহেতু আমরা ঢাকায় আছি, আমাদের দায়িত্ব হলো প্রশাসনিক কাজ করে যাওয়া।’
চয়ন নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবেন, যদি এমন সময়ে দেশের স্বার্থে মাঠে কাজ করার নির্দেশনা আসে। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিত দুদিন থেকে ভালো। কিন্তু খারাপ অবস্থায় গেলে আমরা মন থেকেই যেকোনো নির্দেশনা নিয়েই দেশের স্বার্থে নেমে যেতে প্রস্তুত আছি। জাতীয় দলে যেমন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতাম তেমন নৌবাহিনীর হয়ে মাঠ পর্যায়ে জনগণের সেবা করতে পারলে নিজেকে আরো সৌভাগ্যবান ভাবতাম, আমরা প্রস্তুত। উপর থেকে নির্দেশনা আসলেই আমরা মাঠে নেমে যাবো।’
২০০৪ সালে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন চয়ন। ১৪ বছর ক্যারিয়ারে পাঁচ-ছয় বছর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। পেনাল্টিকর্নার স্পেশালিস্ট হিসেবে বিখ্যাত তিনি। হকি খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে খেলে হঠাত অবসরের ঘোষণা দেন। তবে জাতীয় দল থেকে বিদায় নিলেও হকি ছাড়েননি, খেলে যাচ্ছেন নৌবাহিনীর হয়ে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশের জনগণের প্রতি চয়নের পরামর্শ- স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি। একেবারে জরুরি না হলে বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। বাসায় থাকুন। আপনি, আপনার পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য নির্দেশনা মানা অতি জরুরি।