খেলা
বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেকের ৩৪ বছর
অভিষেক ওয়ানডের যে দুই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি
স্পোর্টস ডেস্ক
৩১ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৪:১৩ পূর্বাহ্ন
আজ থেকে ৩৪ বছর আগে প্রথমবার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামে বাংলাদেশ। ১৯৮৬ সালের ঠিক আজকের দিনে শ্রীলঙ্কার মোরাতুয়ায় হয়েছিল সেই ঐতিহাসিক ম্যাচ। এশিয়া কাপের সে ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। ১৯৮৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে প্রথমবারের মতো এশিয়ার সেরা ক্রিকেট আসরে খেলার সুযোগ পায় লাল-সবুজরা। প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের সামনে ছিল ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তারকাখচিত পাকিস্তান। ইমরানের পাশাপাশি জাভেদ মিয়াঁদাদ, মহসীন খান, আবদুল কাদির, মুদাসসর নজর, ওয়াসিম আকরাম, রমিজ রাজাদের পাকিস্তানের সামনে অনভিজ্ঞ বাংলাদেশ কিন্তু একেবারে খারাপ করেনি। বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচের পুরো ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছিল না বাংলাদেশ। ৩৫.৩ ওভারে ৯৪ রানে থামলেও পাকিস্তানের ৩টি উইকেট ফেলে দিয়ে সবার বাহবাই কুড়িয়েছিল সেদিনের ব্যাঘ্র-শাবকেরা।
বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিয়ে সে ম্যাচের টস ইমরান খান বাউন্ডারির বাইরেই সেরে ফেলেছিলেন এমন আলোচনা এখনো ভেসে বেড়ায় দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সেদিন ইমরান খানের সঙ্গে টস করতে নামা গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ওই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘ইমরান খান আমাকে বাউন্ডারির বাইরেই টস করতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে এতে তার বাংলাদেশকে ছোট করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা, সেটা বলতে পারব না। তবে এটা ঠিক, ইমরানের সেই প্রস্তাবে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম। তখন টসের সময় আম্পায়ার থাকার বাধ্যবাধকতাও ছিল না। অধিনায়করা টস করে গিয়ে আম্পায়ারদের বলে আসতেন। টিভি সম্প্রচার ওই আসরে হয়েছিল সীমিত আকারে। টস দেখায়নি টিভিতে। কোনো আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপার তাই ছিল না।’
টাইগারদের ওয়ানডে শুরুর গল্পটা আকর্ষণীয় না হলেও সে ম্যাচের দুটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি এখনো।
স্পিনার বিহীন একাদশ
দেশে কিংবা বিদেশে যেখানেই বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলতে নামুক একাদশে অন্তত একজন স্পিনার থাকবেই। কিন্তু ৩৪ বছর আগের সে ম্যাচের একাদশে ছিল না কোনো স্বীকৃত স্পিনার। ছয় স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান, একজন উইকেটরক্ষক ও চার পেসার নিয়ে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিলেন রকিবুল হাসান, নুরুল আবেদিন নোবেল, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, শহীদুর রহমান শহিদ, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, রফিকুল আলম। উইকেটরক্ষক ছিলেন হাফিজুর রহমান সানি। চার পেসার হলেন গোলাম নওশের প্রিন্স, সামিউর রহমান সামি, গোলাম ফারুক সুরু ও জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ। অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু অবশ্য খন্ডকালীন অফ স্পিন করতেন। সেদিনও ৩ ওভার বল করে নিয়েছিলেন তখনকার পাকিস্তান দলের সেরা ব্যাটসম্যান জাভেদ মিঁয়াদাদের উইকেট।
দুই ভাইয়ের একই ম্যাচে খেলা
বিশ্ব ক্রিকেটে দুই ভাইয়ের একই সঙ্গে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার দৃশ্যটা বিরল নয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা সাধারণত দেখা যায় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একবারই এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। সেটা ১৯৮৬তে বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেকের ম্যাচে। দুই সহোদর নুরুল আবেদিন নোবেল ও মিনহাজুল আবেদিন নান্নু একসঙ্গে খেলতে নেমেছিলেন সে ম্যাচে।
বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিয়ে সে ম্যাচের টস ইমরান খান বাউন্ডারির বাইরেই সেরে ফেলেছিলেন এমন আলোচনা এখনো ভেসে বেড়ায় দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সেদিন ইমরান খানের সঙ্গে টস করতে নামা গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ওই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘ইমরান খান আমাকে বাউন্ডারির বাইরেই টস করতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে এতে তার বাংলাদেশকে ছোট করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা, সেটা বলতে পারব না। তবে এটা ঠিক, ইমরানের সেই প্রস্তাবে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম। তখন টসের সময় আম্পায়ার থাকার বাধ্যবাধকতাও ছিল না। অধিনায়করা টস করে গিয়ে আম্পায়ারদের বলে আসতেন। টিভি সম্প্রচার ওই আসরে হয়েছিল সীমিত আকারে। টস দেখায়নি টিভিতে। কোনো আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপার তাই ছিল না।’
টাইগারদের ওয়ানডে শুরুর গল্পটা আকর্ষণীয় না হলেও সে ম্যাচের দুটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি এখনো।
স্পিনার বিহীন একাদশ
দেশে কিংবা বিদেশে যেখানেই বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলতে নামুক একাদশে অন্তত একজন স্পিনার থাকবেই। কিন্তু ৩৪ বছর আগের সে ম্যাচের একাদশে ছিল না কোনো স্বীকৃত স্পিনার। ছয় স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান, একজন উইকেটরক্ষক ও চার পেসার নিয়ে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিলেন রকিবুল হাসান, নুরুল আবেদিন নোবেল, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, শহীদুর রহমান শহিদ, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, রফিকুল আলম। উইকেটরক্ষক ছিলেন হাফিজুর রহমান সানি। চার পেসার হলেন গোলাম নওশের প্রিন্স, সামিউর রহমান সামি, গোলাম ফারুক সুরু ও জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ। অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু অবশ্য খন্ডকালীন অফ স্পিন করতেন। সেদিনও ৩ ওভার বল করে নিয়েছিলেন তখনকার পাকিস্তান দলের সেরা ব্যাটসম্যান জাভেদ মিঁয়াদাদের উইকেট।
দুই ভাইয়ের একই ম্যাচে খেলা
বিশ্ব ক্রিকেটে দুই ভাইয়ের একই সঙ্গে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার দৃশ্যটা বিরল নয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা সাধারণত দেখা যায় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে একবারই এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। সেটা ১৯৮৬তে বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেকের ম্যাচে। দুই সহোদর নুরুল আবেদিন নোবেল ও মিনহাজুল আবেদিন নান্নু একসঙ্গে খেলতে নেমেছিলেন সে ম্যাচে।