খেলা
যে ভাবে শিষ্যদের উপর নজর রাখছেন জেমি ডে
স্পোর্টস রিপোর্টার
৩১ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৩:১৬ পূর্বাহ্ন
করোনার দিনগুলিতে এখন ইংল্যান্ডে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হেড কোচ জেমি ডে। সেখানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেও জেমি ডের ভাবনায় আছে বাংলাদেশ। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও জানালেন, প্রেমে পড়ে গেছেন এই দেশটির। এই মহামারীতে ভাবছেন বাংলাদেশের মানুষদের নিয়েও। পাশাপাশি শিষ্যদের নিয়মিত খোজ রাখছেন এই বৃটিশ কোচ। সেখানে বসেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন আফরাফুলÑজীবনদের।
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি একজন কোচ হিসেবে এখন তার মর্যাদা ‘তারকার’ মতো। এত ভালোবাসা যে দেশটির মানুষ দিয়েছে, তাদের প্রতি আলাদা টান না থেকে পারেই না। তাই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেক আগেই বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে নিজের উদ্বেগের বিষয়টি প্রকাশ করেছিলেন। এবার তো সরাসরি বলেই দিলেন, বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় বাড়ি। তাই এই দেশের মানুষদের নিয়ে তার চিন্তাটা একটু বেশি!
জেমি ডের অধীনে বাংলাদেশ খারাপ করছে না। যদিও সাফ কিংবা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠতে পারেনি। তার পরেও জীবন-সাদদের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে আশাজাগানিয়া। তার কোচিং ক্যারিয়ারে বাংলাদেশই প্রথম বড় কোনও প্ল্যাটফর্ম, প্রথম কোনও জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া। তাইতো জাতীয় দল নিয়ে আলাদা ভাবনা তার।
টানা খেলার মধ্যে থাকলে কোন ফুটবলারেরই না ক্লান্তি-অবসাদ দূর করতে বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। একেবারেই অপ্রত্যাশিতভাবে সে ‘সুযোগ’ এনে দিয়েছে করোনা-আতঙ্ক। বল নিয়ে মাঠে দৌড়ানো, জিমনেসিয়ামে ব্যয়ামের সুযোগ একপ্রকার বন্ধ। তবে অপ্রত্যাশিত অবসর শেষে মাঠে ফেরাটা হতে পারে জামাল ভূঁইয়া, আশরাফুল রানা, সাদউদ্দিনদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বাসায় জিম করে পেশি তৈরি রাখবেন, ফিটনেস ঠিক রাখবেন, সে ব্যবস্থাই-বা আছে কতজন ফুটবলারের! তবে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কোচদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন তাঁরা।
ছুটির পর ক্লাব ছাড়ার সময় ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য খেলোয়াড়দের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন কোচরা। সঙ্গে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য রোববার থেকে যোগ হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পর্যবেক্ষণ। খুদে বা ভিডিও বার্তায় খেলোয়াড়দের প্রতি নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডেও, ‘জাতীয় দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা একটি গ্রুপ খুলেছি। সেখানে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সঙ্গে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে ফিট রাখা যায়।’
৪৩ সদস্যের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছেন জাতীয় দল ম্যানেজমেন্ট কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়ালও। খেলোয়াড়দের পর্যবেক্ষণে রাখার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তাবিথ বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে খেলোয়াড়দের করণীয় বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ওজন ও শরীরের চর্বির পরিমাণ জানাতে হবে। সে অনুযায়ী আবার পরবর্তী নির্দেশনা জানানো হবে।’
কোচ বা কর্তারা পরামর্শ-নির্দেশনা দিতেই পারেন। সেগুলো খেলোয়াড়েরা মানছেন কি না, এর ওপরেই নির্ভর করবে এত চেষ্টার ফল। এই ছুটিতেও ক্লাব ভবনের পার্কিংয়ে বল নিয়ে অনুশীলন করেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল, ‘আমার বাসা আর ক্লাব পাশাপাশি। আমাদের ক্লাবের গোলরক্ষক কোচ ক্লাবেই আছেন। আমি বিকেলে ক্লাবে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বল নিয়ে অনুশীলন করি।’ করোনাভাইরাসের মধ্যেই তিন-চার দিন আগে ডেনমার্কে ফিরে যাওয়া জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অনুশীলনের কথা জিজ্ঞেস করতে জানানলেন এখন ফিটনেসের ব্যাপারে তিনি কতোটা সচেতন।
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি একজন কোচ হিসেবে এখন তার মর্যাদা ‘তারকার’ মতো। এত ভালোবাসা যে দেশটির মানুষ দিয়েছে, তাদের প্রতি আলাদা টান না থেকে পারেই না। তাই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেক আগেই বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে নিজের উদ্বেগের বিষয়টি প্রকাশ করেছিলেন। এবার তো সরাসরি বলেই দিলেন, বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় বাড়ি। তাই এই দেশের মানুষদের নিয়ে তার চিন্তাটা একটু বেশি!
জেমি ডের অধীনে বাংলাদেশ খারাপ করছে না। যদিও সাফ কিংবা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠতে পারেনি। তার পরেও জীবন-সাদদের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে আশাজাগানিয়া। তার কোচিং ক্যারিয়ারে বাংলাদেশই প্রথম বড় কোনও প্ল্যাটফর্ম, প্রথম কোনও জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া। তাইতো জাতীয় দল নিয়ে আলাদা ভাবনা তার।
টানা খেলার মধ্যে থাকলে কোন ফুটবলারেরই না ক্লান্তি-অবসাদ দূর করতে বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। একেবারেই অপ্রত্যাশিতভাবে সে ‘সুযোগ’ এনে দিয়েছে করোনা-আতঙ্ক। বল নিয়ে মাঠে দৌড়ানো, জিমনেসিয়ামে ব্যয়ামের সুযোগ একপ্রকার বন্ধ। তবে অপ্রত্যাশিত অবসর শেষে মাঠে ফেরাটা হতে পারে জামাল ভূঁইয়া, আশরাফুল রানা, সাদউদ্দিনদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বাসায় জিম করে পেশি তৈরি রাখবেন, ফিটনেস ঠিক রাখবেন, সে ব্যবস্থাই-বা আছে কতজন ফুটবলারের! তবে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কোচদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন তাঁরা।
ছুটির পর ক্লাব ছাড়ার সময় ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য খেলোয়াড়দের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন কোচরা। সঙ্গে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য রোববার থেকে যোগ হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পর্যবেক্ষণ। খুদে বা ভিডিও বার্তায় খেলোয়াড়দের প্রতি নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডেও, ‘জাতীয় দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা একটি গ্রুপ খুলেছি। সেখানে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সঙ্গে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে ফিট রাখা যায়।’
৪৩ সদস্যের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছেন জাতীয় দল ম্যানেজমেন্ট কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়ালও। খেলোয়াড়দের পর্যবেক্ষণে রাখার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তাবিথ বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে খেলোয়াড়দের করণীয় বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ওজন ও শরীরের চর্বির পরিমাণ জানাতে হবে। সে অনুযায়ী আবার পরবর্তী নির্দেশনা জানানো হবে।’
কোচ বা কর্তারা পরামর্শ-নির্দেশনা দিতেই পারেন। সেগুলো খেলোয়াড়েরা মানছেন কি না, এর ওপরেই নির্ভর করবে এত চেষ্টার ফল। এই ছুটিতেও ক্লাব ভবনের পার্কিংয়ে বল নিয়ে অনুশীলন করেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল, ‘আমার বাসা আর ক্লাব পাশাপাশি। আমাদের ক্লাবের গোলরক্ষক কোচ ক্লাবেই আছেন। আমি বিকেলে ক্লাবে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বল নিয়ে অনুশীলন করি।’ করোনাভাইরাসের মধ্যেই তিন-চার দিন আগে ডেনমার্কে ফিরে যাওয়া জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অনুশীলনের কথা জিজ্ঞেস করতে জানানলেন এখন ফিটনেসের ব্যাপারে তিনি কতোটা সচেতন।