বিশ্বজমিন
এপির রিপোর্ট
৩০০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল
মানবজমিন ডেস্ক
৩১ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:২৪ অপরাহ্ন
করোনার প্রভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় তিনশ কোটি মার্কিন ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। সোমবার এ সম্পর্কৃত সামগ্রিক তথ্য প্রকাশ করে সংগঠনটি। গার্মেন্টসগুলো বিজিএমইএকে বাতিল হওয়া বা স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। এতে দেখা গেছে, ইউরোপীয় ক্রেতা ছি এন্ড এ, প্রিমার্ক অব আয়ারল্যান্ড ও বৃটেনের মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের মত বড় বড় অনেক ক্রেতাই কোটি কোটি পন্যের অর্ডার বাতিল বা স্থগিত করেছে। এদিকে বাংলাদেশের উৎপাদনকারীদের ও শ্রমিক সংগঠনগুলো ক্রেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে যাতে তারা তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি ধরে রাখে। বার্তা সংস্থা এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারির প্রভাব টের পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে সরাসরি কিছু ক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে করোনা। করোনার বিস্তার ঠেকাতে ইতিমধ্যে বেশিরভাগ ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে কয়েক সপ্তাহের জন্য রপ্তানি থমকে যাবে বাংলাদেশের। গত শুক্রবার গার্মেন্টস মালিকদের একটি জরিপ প্রকাশ করা হয় যাতে দেখা গেছে, কয়েক মিলিয়ন গার্মেন্টসকর্মীকে ছুটি দেয়া হয়েছে কোনো ধরণের বেতনভাতা ছাড়াই। বিজিএমইএ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৮০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্যের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। অপরদিকে বাতিল হয়েছে আরো ১৪০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ। সংগঠনটি বলছে, বাস্তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি। তবে সুইডেনের এইচ এন্ড এম কোম্পানি জানিয়েছে, তারা তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে কিন্তু ইতিমধ্যে যা তৈরি করা হয়েছে সে পণ্যের জন্য অর্থ প্রদান করবে তারা। কোম্পানিটি এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়, একটি দায়িত্বশীল কোম্পানি হিসেবে তারা ইতিমধ্যে প্রস্তুতকৃত পণ্যের জন্য অর্থ পরিশোধ করবে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্যেই নয়, সব দেশের ক্রয়াদেশের জন্যই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে টালমাটাল অর্থনীতি। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের পণ্যের প্রধান ক্রেতা। সেখানে বেশিরভাগ মানুষই এখন লকডাউনে রয়েছে। বন্ধ রয়েছে দোকান। ফলে ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সাপ্লাই চেইন। এর প্রভাব পরেছে বাংলাদেশেও। ইতিমধ্যে ১০ লক্ষাধিক গার্মেন্টস শ্রমিকের চাকরি হুমকির মুখে পরেছে।